
পরিবেশের দূষণ রোধ ও ভারসাম্য রক্ষায়
পলিথিনসহ প্লাস্টিক উৎপাদনের কাঁচামালের আমদানির ওপর অতিরিক্ত কর আরোপ করা উচিত। একই
সঙ্গে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর প্লাস্টিক ব্যবহার কমিয়ে আনতে সরকারকে চাপ প্রয়োগ করতে
হবে। কারণ প্লাস্টিকের ব্যবহার বাড়ার কারণে পরিবেশের বিপর্যয় বাড়ছে। সেকারণে প্লাস্টিক
আমদানিকারকদের উপর নজরদারি বাড়াতে হবে সরকারকে।
সোমবার (৫ জুন) চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমীর
অডিটোরিয়ামে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অংশ
নিয়ে বক্তারা এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম মহানগর পরিবেশ অধিদপ্তর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন
করে। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য 'প্লাস্টিক দূষণ সমাধানে সামিল হই সকলে।'
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয়
কমিশনার ড. মো. আমিনুর রহমান বলেন, প্লাস্টিকের বর্জ্যের কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা দিন
দিন বেড়ে যাচ্ছে। বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলন থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিভিন্ন
সময়ে পরিবেশ রক্ষার কথা তুলে ধরছেন। বৈশ্বিক পেক্ষাপটে বাংলাদেশকে জলবায়ু স্বাভাবিক
রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বিভিন্ন কারণে আমাদের নদী, পুকুর জলাশয় ভরাট ও পাহাড় কাটা
হচ্ছে। এসব বন্ধে করতে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সবাইকে সচেতন হতে হবে। একই সঙ্গে পরিবেশের
ভারসাম্য রক্ষায় সরকারের নেওয়া বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক
রাকিব হাসান (সাকিব) বলেন, প্রথমে বিদ্যামান আইনে জেল-জরিমানা না করে মানুষকে সচেতন
করা হবে। উৎপাদন থেকে শুরু করে গ্রাহক কাছে পৌঁছে পর্যন্ত সময়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
উৎপাদন কমাতে কাঁচামাল আমদানির ওপর কঠোর বিধিনিষেধ প্রয়োগ করতে হবে। এরপর আইন অনুযায়ী
ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পহেলা জুলাই থেকে নগরকে পলিথিনমুক্ত করা হবে না। আগামী সপ্তাহ
থেকে ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে অভিযান শুরু হবে।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তর
গবেষণাকারের পরিচালক নাসিম ফারহানা শিরীন, চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (মেট্রো)
হিল্লোল বিশ্বাস, চট্টগ্রামের রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিইজি মো. মাহফুজুর রহমান, সিএমপির অতিরিক্ত উপ কমিশনার
(ট্রাফিক) ফয়সাল মাহমুদ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর অলক পাল।
অনুষ্ঠান শেষে পারিবেশ অধিদপ্তরের আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।