
গুঞ্জনটা
আগেই ওঠে। রোববার সকালে ক্লাবের পক্ষ থেকে আসে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। ১৪ বছরের
বর্ণাঢ্য অধ্যায় শেষে রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে যাচ্ছেন করিম বেনজেমা। অ্যাথলেটিক বিলবাও
ক্লাবের বিপক্ষে রিয়ালের জার্সিতে শেষ ম্যাচ খেললেন ফরাসি ফরওয়ার্ড।
রিয়াল
মাদ্রিদ ও বিলবাওয়ের মধ্যকার ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়। এই ম্যাচে ৭২ মিনিটে
পেনাল্টি থেকে গোল করেন বেনজেমা। তার গোলেই সমতা আনে রিয়াল। বার্সেলোনা আগেই লিগ
শিরোপা জিতে নেয়ায় এই ম্যাচের ফল নিয়ে মানুষের খুব বেশি আগ্রহ ছিল না। বরং সবার চোখ
ছিল বেনজেমার দিকে। এটিই যে বার্নাব্যুতে খেলোয়াড় হিসেবে তার শেষ বিকেল ছিল। ক্লাবের
ইতিহাসে অন্যতম সেরা খেলোয়াড়কে বিদায় জানায় ইউরোপের সবচেয়ে সফলতম দল।
২০০৯
সালে ফ্রান্সের লিওঁ থেকে বার্নাব্যুতে আগমন বেনজেমার। ওই সময় তারকাবহুল দলে তার
জায়গা পাওয়া ছিল কঠিন। প্রায় এক দশক তিনি ছিলেন রোনালদোর ছাঁয়ায়। রোনালদোর
রেকর্ডবন্যায় বেনজেমার সাদামাটা পারফরম্যান্স কিংবা ভালো পারফরম্যান্সও যেন হারিয়ে
যেত। পর্তুগিজ সুপারস্টার জুভেন্টাসে নাম লেখানোর পর বার্নাব্যুতে উৎকন্ঠা,
শূন্যতা পূরণ হবে কীভাবে? তখনই ত্রাতা হয়ে আবির্ভাব বেনজেমার। তিনি নিজেকে ক্লাবের
জন্য অপরিহার্য এক খেলোয়াড়ের পরিণত করেন। তাকে ঘিরেই তৈরি হয় রিয়ালের আক্রমণভাগ। ২০২১/২২
মৌসুমে বলতে গেলে তার নৈপুন্যেই লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জয় করে রিয়াল।
রিয়ালের
হয়ে মোট ৬৪৮টি ম্যাচ খেলেছেন বেনজেমা। রিয়ালের গৌরবের সাদা জার্সি তার চেয়ে
বেশিবার পরেছেন মাত্র চারজন। গোলের হিসেবেও তিনি গৌরবের অধিকারী। ৩৫৪ গোল করে লস
ব্লাঙ্কোসদের ইতিহাসে তিনি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলের মালিক। ৪৫১ গোল নিয়ে তার উপরে
শুধুই ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
গত পাঁচ
মৌসুমের মধ্যে চারবারই তিনি ত্রিশের বেশি গোল করেছেন। তার সেরা মৌসুম ছিল ২০২১/২২,
যখন তিনি মোট ৪৪ গোল করেন। ওই মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদ ১৪তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা
জয় করে এবং বেনজেমা প্রথমবারের মতো ব্যালন ডি’অর পুরস্কার জয় করেন।