
আগামী জুলাই থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন কমিয়ে দেবে সৌদি আরব। প্রতিদিনের নিয়মিত পরিমাণের চেয়ে ১০ লাখ ব্যারেল কম জ্বালানি তেল উত্তোলন করবে তারা। অপরিশোধিত তেলের মূল্য জটিলতা মীমাংসায় শীর্ষ তেল উৎপাদক ও রফতানিকারকদের জোট ওপেক প্লাসের সিদ্ধান্তেই তেল উত্তোলন কমাচ্ছে সৌদি। তবে এর কারণে বিশ্বজুড়ে বেড়ে যাচ্ছে জ্বালানি তেলের মূল্য।
গতকাল
রোববার (৪ জুন) সৌদি আরবের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানিয়েছে, দেশটি প্রতিদিন ১০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমিয়ে দেবে। সিনএন বিজনেস বলছে, এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই
লাগামছাড়া হয়ে উঠছে জ্বালানি তেলের মূল্য।
আজ সোমবার সকালে আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম ১ শতাংশ বেড়ে ৭৬ ডলার ৯ সেন্টে বিক্রি হচ্ছে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেল। অন্যদিকে মার্কিন বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম ১ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৭২ ডলার ৬ সেন্টে দাঁড়িয়েছে।
রয়টার্সের
খবর জানিয়েছে, গত রোববার ভিয়েনায় শীর্ষ তেল উৎপাদক
ও রফতানিকারকদের জোট ওপেক প্লাসের বৈঠকের পর সৌদি এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। ওই
বৈঠকে রিয়াদ ২০২৪ সাল নাগাদ প্রতিদিন ৫ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমিয়ে দেয়ার বিষয়ও
সম্মত হয়েছে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জোটের অন্যান্য দেশও আগামী বছরের শেষ
পর্যন্ত তেল উত্তোলন কমিয়ে রাখবে।
সৌদি আরব
বলছে,
স্বেচ্ছায় জ্বালানি তেল উত্তোলন কমানোর এ সিদ্ধান্তের
মাধ্যমে বাজার স্থিতিশীলতা এবং ভারসাম্য বজায় রাখতে ভূমিকা রাখছে তারা।
এ খবরে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউস বলেছে, আমরা ওপেক প্লাসের পক্ষে নই। তারা নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নেয়। আমরা লক্ষ রাখছি নিজেদের দেশে জ্বালানি তেলের মূল্যের দিকে। এখানে গত বছরের তুলনায় তেলের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছে।