
সাম্প্রতিক সময়ে নিজেদের নীতি নিয়ে এতটা
উল্টো সুর দেখায়নি ইউটিউব, যতটা দেখা যাচ্ছে বিগত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রসঙ্গে।
সত্যতা নেই কিন্তু ওই নির্বাচনে ‘ব্যাপক জালিয়াতি হয়েছে’ এমন অভিযোগ তোলা
ভিডিও সরাবে না স্ট্রিমিং প্লাটফর্মটি। এক ব্লগ পোস্টে গত ২ জুন এসব বলা হয়েছে।
এক প্রতিবেদনে মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি
জানিয়েছে, গুগলের মালিকানাধীন প্লাটফর্মের নতুন নীতিমালা ২০২০ সালের মার্কিন নির্বাচনের
সময় ঘোষিত নীতিমালার সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক।
নির্বাচনের এক মাস পরে ইউটিউব বলেছিল,
ভোট জালিয়াতি সম্পর্কিত মিথ্যা তথ্য দেয়া হয়েছে এমন সব ভিডিও অপসারণ করা হবে।
এখন ব্লগ পোস্টে ইউটিউব ‘রাজনৈতিক অধিকার’কে বেশ গুরুত্ব
দেয়ার কথা বলছে। তাদের দাবি, বিতর্কিত ও প্রমাণিত নয় কিন্তু বহুল আলোচিত রাজনৈতিক তথ্য
নিয়ে কথা বলার অধিকারকে রক্ষা করার চেষ্টা থাকছে নতুন নীতিমালায়।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ইউটিউব লক্ষ্য করেছে,
কনটেন্ট অপসারণের মাধ্যমে কিছু ভুল তথ্য হয়তো আটকানো যায়; কিন্তু এতে করে রাজিনৈতিক
বক্তৃতা আটকানোর অনিচ্ছাকৃত প্রভাবও থাকতে পারে। যা কার্যকরভাবে বাস্তব দুনিয়ায় সহিংসতা
বা ক্ষতিকর কিছু বিস্তারের ঝুঁকি হ্রাস করে না।
নতুন এই নীতিমালা দ্রুতই কার্যকর হবে বলে
জানিয়েছে ইউটিউব। তবে আগামী ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটারদের সম্পূর্ণ
প্রতারিত করে এমন ভিডিও আগের মতোই অপসারণ করা হবে। একই নীতি যুক্তরাষ্ট্রের বাইরেও
কার্যকর থাকবে।
সংস্থাটি আরো বলছে, অপরিবর্তিত থাকবে নির্বাচনী
গুজব বা ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে তাদের বিদ্যমান অন্যান্য নীতিমালা।