বাজেট ২০২৩-২৪ প্রতিক্রিয়া

বাজেটে দেশীয় শিল্পের সক্ষমতা বাড়ানোর দিকনির্দেশনা নেই —বিসিআই

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রস্তাবিত বাজেটে দেশীয় শিল্পের সক্ষমতা ও আমদানি বিকল্প শিল্পের প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর কোনো দিকনির্দেশনা নেই। বিশেষ করে মাইক্রো, কুটির ও ক্ষুদ্র শিল্পের উন্নয়নেও কোনো দিকনির্দেশনা দেয়া হয়নি। শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) গতকাল এক প্রাথমিক বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন। 

প্রতিক্রিয়ায় বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) বলেন, করোনা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে মাইক্রো, কুটির ও ক্ষুদ্র শিল্পগুলোর মধ্যে প্রায় ৪৫ শতাংশ ঝরে পড়েছে। রাজস্ব আয় প্রধানত বেসরকারি খাত থেকে সংগ্রহ করা হলেও বর্তমানে উচ্চমূল্যস্ফীতি, ডলার সংকট, জ্বালানি সমস্যার কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। এরই প্রভাবে উৎপাদনশীল কারখানাগুলোও প্রবৃদ্ধি হারিয়েছে। এদিকে বেসরকারি খাতের ক্রেডিট গ্রোথ নিম্নগামী, রফতানিও মন্থর এবং রেমিট্যান্সও ওই পরিমাণে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে না। দেশের অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখতে গেলে আমদানি বিকল্প শিল্প এবং কীভাবে কারখানাগুলোর প্রবৃদ্ধির সক্ষমতা ফিরিয়ে আনা যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে এর কোনো দিকনির্দেশনা নেই।    

বিসিআই সভাপতি বলেন, ‘শুধু আইএমএফের শর্তে গুরুত্ব না দিয়ে দেশের অর্থনীতি কীভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়া যাবে তার প্রতি গুরুত্বারোপ করতে হবে। আমাদের এখন স্থানীয়, আমদানি বিকল্প শিল্পের সক্ষমতা ফিরিয়ে আনা, টেকসই করা এবং কর্মসংস্থান ধরে রাখার দিকে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে।’

বিসিআই বলছে, বেসরকারি খাতে জ্বালানি স্বল্পতা, বিদ্যুৎ-গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি এবং নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ না থাকায় শিল্প-কারখানাগুলো ৫০ থেকে ৬০ শতাংশের বেশি উৎপাদন ক্ষমতা ধরে রাখতে পারছে না। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংকোচন নীতির কারণে গত ১০ মাসে শিল্পগুলো মূলধনি যন্ত্রপাতিতে ৫৬ শতাংশ, মধ্যবর্তী কাঁচামাল ৩১ দশমিক ৩ শতাংশ এবং কাঁচামাল ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ কম ঋণপত্র খুলেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনো অবস্থাতেই শিল্পের কাঁচামাল, মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি, বিদ্যুৎ সরবরাহ বাধাগ্রস্ত না হয় তার জন্য উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। অন্যথায় দেশীয় শিল্প সক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে না এবং উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। এতে মূল্যস্ফীতি না কমে বেকারত্বের হার বাড়বে, কর আহরণ বাধাগ্রস্ত হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন