গতি পেয়েছে তাইওয়ানের আবাসন খাত

বণিক বার্তা ডেস্ক

মহামারীর অভিঘাত কাটিয়ে ওঠার মাধ্যমে স্বাভাবিত গতি ফিরে পেয়েছে তাইওয়ানের আবাসন খাত। ছয়টি ভিন্ন শহরে সার্বিকভাবে গত মাসে বিক্রি হয়েছে ২১ হাজার ৩৬৮ ইউনিট। মাসিক ভিত্তিতে বিক্রি বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৭ শতাংশ। চাহিদা বৃদ্ধি, নতুন আবাসন তৈরি ও মধ্যস্থতাকারীদের তৎপরতার জেরে বেড়েছে লেনদেন। তাইপে টাইমস প্রকাশিত প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তাইপে নগরীতে বাসা বেচাকেনা ৩০ শতাংশ বেড়েছে। চুক্তি নিবন্ধিত হয়েছে ২ হাজার ৫৫৩টি। নিউ তাইপে সিটি, তাওইউয়ান, তাইচাং ও কাওসিয়াংয়ের চেয়ে নিবন্ধন সংখ্যায় এগিয়ে তাইপে। তাইওয়ান রিয়েলটি কোম্পানির গবেষণা প্রধান চারলিন চাং দাবি করেছেন, কম মূল্যে বাসা পাওয়ার জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষায় থাকা মানুষ এখন কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। নতুন পরিস্থিতিতে ক্রেতারা আর অপেক্ষা করতে নারাজ। 

নিউ তাইপে সিটির বেচাকেনা মাসিক ভিত্তিতে ৪৩ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৫৬২ ইউনিটে। ৪০ দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধি নিয়ে পরের অবস্থানেই রয়েছে তাওইউয়ান। বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৭২৪ ইউনিট। এদিকে তাইচাংয়ে বিক্রির নিবন্ধন ৩২ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৫২ ইউনিটে। কাওসিয়াংয়ের ক্ষেত্রে ৩৪ শতাংশ, নিবন্ধনের সংখ্যা ৩ হাজার ৫২৫। ৮ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি নিয়ে তাইনানের বাসা বিক্রির সংখ্যা ছিল অপেক্ষাকৃত দুর্বল। তার পরও সূচক অতিক্রম করেছে ১ হাজার ৯৫২ ইউনিট। এভারট্রাস্ট রিহাউজ কোম্পানির ভাষ্য অনুযায়ী, সরকারের গৃহীত নীতিমালা ও পদক্ষেপ বিক্রয় বাড়াতে ভূমিকা পালন করেছে।  

নতুন বাসা তৈরির কারণেও বেড়েছে বেচাকেনার হার। বিশেষ করে নিউ তাইপে শহরের সিনচুয়অং, সানচং, সিজিহ জেলায় গড়ে উঠেছে নতুন বাসাবাড়ি। একই সঙ্গে তাওইউয়ানের লংটান ও চংলি জেলায় বাড়ছে বাসাবাড়ির সংখ্যা। 

এভারট্রাস্টের সহযোগী গবেষক চেন চিন ফিং বলেন, ‘‌পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াকে টেকসই পুনরুদ্ধার হিসেবে এখনই বিবেচনায় নেয়া উচিত হবে না। কারণ গত বছরের তুলনায় বেচাকেনা বাড়েনি, বরং কমেছে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসের সম্মিলিত বিক্রি বছরওয়ারি কমেছে ২১ দশমিক ৪ শতাংশ। তাইওয়ানের ছয়টি শহরে বিক্রয় কমে দাঁড়িয়েছে ৮৬ হাজার ৬৪০ ইউনিটে।’ 

গ্রেট হোম রিয়েলটি কোম্পানির প্রধান গবেষক ম্যান্ডি ল্যাং বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন। তিনি জানান, ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ই বাসার মূল্য নিয়ে কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত। ফলে হয়তো শিগগিরই কমতে পারে বিক্রির গতি। তাছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার বাড়ানোর কারণেও থমকে যেতে পারে পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া। উল্লেখ্য, ১৫ জুন কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল্যস্ফীতি ও সুদের হার পর্যালোচনা করবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন