ওপেনহাইমার দেখার নানা পন্থা জানালেন নোলান

ফিচার ডেস্ক

সিনেমার দৃশ্যে কিলিয়ান মারফি ও এমিলি ব্লান্ট ছবি: আইএমডিবি, ক্রিস্টোফার নোলান

ক্রিস্টোফার নোলানের বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা ওপেনহাইমার। সিনেমাটি যেমন বিগ বাজেটের, তেমনি বড় পর্দায়ও দেখার মতো। এ কারণে সিনেমা দেখার উপায় অনেকগুলো। ক্রিস্টোফার নোলান এমন একটি গল্প উপস্থাপন করছেন, যার জন্য থাকছে একটি ভিন্ন ভিজ্যুয়াল জার্নি। তবে সেজন্য ভিএফএক্সের দ্বারস্থ হননি। তিনি ক্ল্যাসিক ধারার সিনেমাই নির্মাণ করেছেন। দেখার ক্ষেত্রে নানা উপায় আছে। সে কথা জানিয়েছেন খোদ নোলান। ভিন্ন ভিন্ন মাধ্যমে সিনেমাটি দেখার অভিজ্ঞতাও হবে ভিন্ন।

ওপেনহাইমার দেখানোর জন্য ইউনিভার্সাল পিকচার্স প্রথমেই হাজারের বেশি ‘‌প্রিমিয়াম লার্জ ফরম্যাট’ স্ক্রিনে দেখাচ্ছে। থাকছে আইম্যাক্স ৭০এমএম, ৭০এমএম, আইম্যাক্স ডিজিটাল, ৩৫এমএম, ডলবি সিনেমা ও অন্যান্য ফরম্যাটে মুক্তি দেয়া হবে। এ পুরো বিষয়গুলো দর্শকের জন্য কঠিন হতে পারে। নোলান এ কারণে দি অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তার নিজের পছন্দের ফরম্যাট ও সিনেমাটি দেখার গাইড নিয়ে কথা বলেছেন।

নোলান বলেন, ‘‌আপনি সহজে একজন সিনেমার দর্শককে নিজের প্রিয় ফরম্যাট সম্পর্কে বলার সুযোগ পাবেন না। তাকে বোঝাতে পারবেন না কেন সেটা পছন্দ করেন। সে কারণেই সিনেমাটি আইম্যাক্সে দেখাটা কেন ভালো হবে, তা বোঝানো কঠিন।’ সেটা বোঝানোর চেষ্টা করেছেন নোলান। আর বোঝাতে গিয়ে বলেছেন, সিনেমাটি তিনি কীভাবে নির্মাণ করেছেন। নোলান বলেন, ‘‌আমরা সিনেমাটি এমনভাবেই শুট করেছি, যেন তা বড় পর্দায় দর্শককে একটি ভিন্ন অভিজ্ঞতা দেয়। এমন এক অভিজ্ঞতা, যা সে বাসায় বসে সিনেমা দেখে পাবে না।’ আশ্চর্যের ব্যাপার, সিনেমার রিলের দৈর্ঘ্য ১১ মাইল ও ওজন ৬০০ পাউন্ড।

সিনেমা নিয়ে আরো বিস্তারে বলতে হয়, ওপেনহাইমার শুট করা হয়েছে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে হাই রেজল্যুশন ক্যামেরার মাধ্যমে। ডানকার্ক, টেনেটের মতো ওপেনহাইমারও বড় ফরম্যাটের সিনেমা। এটি আইম্যাক্স ও প্যানভিশনে দেখা, তাই সবচেয়ে লাভজনক। মানে ভিজ্যুয়াল যা নোলান দিয়েছেন, তা এ পর্দায় দেখলে দর্শক এর পুরোটা বুঝতে পারবেন। নোলান এ নিয়ে বলেন, ‘‌ছবির স্পষ্টতা ও তীক্ষ্ণতা এখানে অন্য কিছুর সঙ্গে তুলনা করা যাবে না। আইম্যাক্স ৭০এমএম থেকে সিনেমাটি দেখলে আপনাদের সামনে থেকে আসলে পর্দাটি সরে যাবে। সেখানে যদি সিনেমাটি দেখেন তাহলে থ্রিডি গ্লাস ছাড়াই থ্রিডির অভিজ্ঞতা নেয়া সম্ভব।’

নোলান মূলত দ্য ডার্ক নাইট থেকেই আইম্যাক্সে শুট করে অভ্যস্ত। এ সিনেমায় তিনি বিষয়টিকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়েছেন। মূলত ৩৫এমএম প্রজেক্টরের তুলনায় আইম্যাক্সে প্রায় ১০ গুণ ভালো রেজল্যুশনে দেখা যাবে। প্রতিটি ফ্রেমে সেখানে থাকে ১৮ হাজার পিক্সেল। অথচ এইচডিতে থাকে মাত্র ১৯২০ পিক্সেল। এখান থেকে একজন সাধারণ দর্শকও বুঝতে পারবেন পার্থক্যটা আকাশ-পাতাল।

কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন মাধ্যমে দেখলে কতটা পার্থক্য হবে? এ প্রসঙ্গেও কথা বলেছেন নোলান। তিনি বলেন, ‘‌এখানে আমাদের একটু সতর্ক হতে হয়েছে। আইম্যাক্সে শুট করলে অনেক কিছু সেখানে ধরা পড়ে। সিনেমাটি যেকোনো ফরম্যাটেই আপনাকে ভালো অভিজ্ঞতা দেবে, কিন্তু আইম্যাক্সে দেবে সবচেয়ে ভালো অডিও ভিজ্যুয়ালের অভিজ্ঞতা। তবে পার্থক্য থাকবে সিনেমার স্ক্রিনে।’ সে পার্থক্য মাথায় রেখে দর্শককে সিনেমা দেখার জন্য স্ক্রিন বাছাই করার পরামর্শ দিয়েছেন নোলান। সিনেমাটি মুক্তিতে বাকি আছে দেড় মাসের মতো। আগামী ২১ জুলাই থিয়েটারে আসবে ওপেনহাইমার।

সূত্র: ভ্যারাইটি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন