জন্মহার সর্বনিম্নে, বিপর্যয়ের মুখে জাপানের অর্থনীতি ও সামাজিক কাঠামো

বণিক বার্তা অনলাইন

ছবি : রয়টার্স

টানা ৭ বছর ধরে জাপানে কমছে জন্মহার, যা ২০২২ সালে এসে রেকর্ড সর্বনিম্নে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। জনসংখ্যা কমার সঙ্গে প্রবীণদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় দেশটি সংকটে পড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।

জাপানে একজন নারীর জীবদ্দশায় জন্ম দেয়া সন্তানের গড় সংখ্যা দশমিক ২৫।  ২০০৫ সালে এ হার ছিল ১ দশমিক ২৬ শতাংশ। দেশটির জনসংখ্যা স্থিতিশীল রাখার জন্য জন্মহার দশমিক শূন্য সাত হওয়া উচিৎ বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

জনসংখ্যা কমে গেলে অর্থনীতি, শ্রমশক্তি, সমাজকল্যাণ এবং সামাজিক ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়ে। যুবকদের জনসংখ্যা কমার ফলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান চাকরিক্ষেত্রে কর্মীর অভাব, পণ্য চাহিদার অভাব বিপণন ব্যবস্থায় সংকট তৈরি হচ্ছে। হ্রাস পেতে থাকা কর্মক্ষম জনবলের বিপরীতে বাড়ছে প্রবীণদের  সংখ্যা। পরিণতিতে, মোটের ওপর জনসংখ্যা বোঝা হয়ে উঠছে। ভেঙে পড়ছে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা।

সরকারের বিশাল অংকের ঋণ থাকা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এবং তার সরকার দেশের জন্মহার ধসকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছেন। শিশুদের ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়া এবং বাবা-মাদের সহায়তা করার জন্য তার সরকার বছরে দশমিক ট্রিলিয়ন ইয়েন (২৫ বিলিয়ন ডলার) ব্যয়ের পরিকল্পনা করছে৷

সপ্তাহে একটি ডে-কেয়ার পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, ২০৩০-এর দশকে তরুণ জনসংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেতে শুরু করবে। ত্রিশের দশক পর্যন্তই নিম্ন জন্মহারকে ইতিবাচক পরিবর্তন করার শেষ সুযোগ আমাদের।

কভিড মহামারী জাপানের জনসংখ্যার চ্যালেঞ্জকে আরো তীব্র করে তুলেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জন্মহার প্রশমনের অন্যতম কারণ বিয়ে হ্রাস পাওয়া। পাশাপাশি মহামারীজনিত মৃত্যুর ফলে জনসংখ্যা হ্রাসে আংশিকভাবে দায়ী কভিড-১৯।

জাপানে নবজাতকের সংখ্যা গত বছর শতাংশ হ্রাস পেয়ে সর্বনিম্ন ৭ লাখ ৭০ হাজার ৭৪৭- দাঁড়ায়।  বিপরীতে মৃত্যুর সংখ্যা শতাংশ বেড়ে রেকর্ড ১৫ লাখ ৭০ হাজার হয়ে ওঠে। উল্লেখ্য, গত বছর জাপানে করোনাভাইরাস মহামারীতে ৪৭ হাজারেরও বেশি লোকের মৃত্যু হয়েছিল। সূত্র: রয়টার্স

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন