
ইউক্রেনে আক্রমণের পর থেকে দুই লাখ আট
হাজারের মতো রুশ সৈন্য নিহত হয়েছে। ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর এক মুখপাত্র এই দাবি
করেছেন। খবর সিএনএন।
সেরহি চেরেভাতি নামের ওই কর্মকর্তা জানান,
গত বছর আক্রমণের শুরুর দিকে যোগ দেয় এক লাখ ৭০ হাজার রুশ সেনা। এক বছরে নিহত এর চেয়েও
বেশি।
তবে সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, দাবি করা
সংখ্যাটি নিশ্চিত করা যায়নি।
এর আগে গত মে মাসে বাইডেন প্রশাসন বলেছিল,
গত ডিসেম্বর থেকে এক লাখের বেশি রুশ সেনা হতাহতের শিকার হয়েছে। যার মধ্যে নিহত ও আহত
উভয়ই রয়েছে।
তখন ক্রেমলিন সংখ্যাটি প্রত্যাখ্যান করে
বলেছিল, সঠিকভাবে গণনার কোনো মাধ্যম যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নেই।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গত সেপ্টেম্বর
থেকে হতাহতের হালনাগাদ বন্ধ রেখেছে। এর আগে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেছিলেন,
নিহতের সংখ্যা ছয় হাজারেরও কম।
এ দিকে আজ শুক্রবার (২ জুন) ইউক্রেন জুড়ে
বিমান হামলার সতর্কতা জারি করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
কর্মকর্তারা জানান, আজ ভোর পর্যন্ত ইউক্রেনের
বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী কিয়েভের আশপাশে ৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন ধ্বংস
করেছে।
কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান সেরহি
পপকো আজ টেলিগ্রাম পোস্টে বলেন, গত ছয় দিনে কিয়েভে ষষ্ঠবারের মতো হামলা চালানো হলো।
সর্বশেষ হামলায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন উভয়ই ব্যবহার করা হয়েছে।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানায়, গতকাল
বৃহস্পতিবার বাখমুতে তাদের অবস্থানে অন্তত ৪৭৬ বার গোলাবর্ষণ করেছে রাশিয়া। সঙ্গে জানানো
হয়, ইউক্রেনীয় বাহিনী লুহানস্কের দুটি অঞ্চলে বেশ কয়েকটি ট্যাঙ্ক এবং অন্যান্য সামরিক
সরঞ্জাম ধ্বংস করে।
উল্টো দিকে কুরস্ক ও বেলগোরোডসহ বেশ কয়েকটি রুশ অঞ্চলে হামলা জোরদার হয়েছে। এ বিষয়ে ইউক্রেনকে দোষ দিচ্ছে মস্কো। তবে সরাসরি জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছে মস্কো।