বাজেট ২০২৩-২৪ প্রতিক্রিয়া

মূল্যস্ফীতি হ্রাসে বাজেটে সুনির্দিষ্ট কিছু নেই —এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম

বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি যেটা ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ, এটা বাস্তবায়নের সম্ভাবনা দেখছি না। বর্তমানে প্রবৃদ্ধি আছে ৬ শতাংশের মতো। এখান থেকে সাড়ে ৭ শতাংশে ওঠার সম্ভাবনা খুব বলে আমি মনে করি, বিশেষ করে অন্যান্য যে সমস্যা আছে তার ওপর ভিত্তি করে। দ্বিতীয় বিষয় হলো মূল্যস্ফীতি, এ সম্পর্কে বাজেটে খুব একটা সুস্পষ্ট কিছু নেই। লক্ষ্য ধরা হয়েছে সাড়ে ৬ শতাংশ। বর্তমানে ৯ শতাংশের মতো মূল্যস্ফীতি আছে। এটা কমিয়ে আনতে দিকনির্দেশনা না থাকলে কেমন করে হবে বোধগম্য নয়। অন্যদিকে সরকার ব্যাংক থেকে বেশি ঋণ নিচ্ছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অনেক বেশি ঋণ নিচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়াকে অর্থনীতির ভাষায় বলা হয় হাই পাওয়ার্ড মানি। এতে বাজারে মুদ্রা সরবরাহ বেড়ে যায়, সাধারণত মূল্যস্ফীতি বেড়ে যায়। তৃতীয় বিষয় হলো এক্সপেন্ডিচার জিডিপি। আমাদের দেশে সরকারি ব্যয় বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা আছে নিঃসন্দেহে, জাতীয় উৎপাদনের আনুপাতিক হিসাবে এটা পৃথিবীর অন্যতম সর্বনিম্নে। কিন্তু কথা হচ্ছে আমাদের বাজেট ঘাটতিও একটা সীমারেখার মধ্যে রাখতে লাগবে। সে পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের রাজস্ব আহরণ বাড়াতে লাগবে। কিন্তু রাজস্ব আহরণের ক্ষেত্রে নতুন কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে মনে হয় না। রাজস্ব পরিসর বাড়াতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তাব্যক্তিদের দক্ষতা বৃদ্ধি করার দিকে নজর দিতে হবে। 


এবিএম মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন