
করযোগ্য নয় এমন টিনধারীদের ওপর ন্যূনতম ২ হাজার টাকা আয়কর আরোপের প্রস্তাব প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার। তিনি বলেন, ‘উচ্চমূল্যস্ফীতির এ সময়ে করযোগ্য নয় এমন টিনধারীদের ওপর ন্যূনতম ২ হাজার টাকা আয়কর আরোপের সিদ্ধান্ত স্বল্প আয়ের জনগোষ্ঠীর ওপর করের বোঝা তৈরি করবে। তাই এ প্রস্তাব প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি। প্রস্তাবিত বাজেটে করমুক্ত ব্যক্তিগত আয়ের সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে, তবে উচ্চমূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিয়ে সেটাকে ৫ লাখ টাকা করা প্রয়োজন।’
বাজেট-পরবর্তী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘বিদ্যমান সংকটময় ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে স্থিতিশীল করতে সরকার এ বিশাল আকৃতির বাজেট প্রণয়ন করেছে। তবে দেশীয় অর্থনীতিতে বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি, রাজস্ব ঘাটতি মেটানো ও অর্থায়ন নিশ্চিতকরণ, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রিজার্ভ স্থিতিশীলতা আনয়নে আমরা বর্তমানে যে চ্যালেঞ্জিং সময় অতিবাহিত করছি তা মোকাবেলায় বাজেটে ব্যবসা ও অর্থনীতির সমন্বয় করা হয়েছে।’
সামীর সাত্তার বলেন, ‘কর আদায়ের জন্য এজেন্ট নিয়োগের বিষয়ে একটি সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরি করে এজেন্টদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের আওতায় রাখলে করজাল বৃদ্ধি পাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। ভ্যাট টার্নওভারের সীমা বৃদ্ধিসহ ভ্যাট রিটার্ন ও অডিট প্রক্রিয়া অটোমেশন করা প্রয়োজন। এছাড়া রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যকার পার্টনারশিপ বাড়ানো যেতে পারে।’
জ্বালানি খাতে মূল্য সহনীয় রাখতে বাজেটে ১৩ ধরনের পেট্রোলিয়াম পণ্য আমদানিতে ট্যারিফ ভ্যালু ও ভ্যাট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ডিসিসিআই এবং ডিজেল আমদানিতে ৫ শতাংশ ডিউটি কমানোর পাশাপাশি উৎসে কর সমন্বয় করার বিধানের কারণে তেলের মূল্য কমবে, যেটি মূল্যস্ফীতি হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
মো. সামীর সাত্তার, সভাপতি, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)