সংকট মোকাবেলা ও নীতিগত ধারাবাহিকতা বজায় রাখার পরামর্শ অ্যামচেমের

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম) সংকট মোকাবেলা, ব্যয়ের অগ্রাধিকার নির্ধারণ ও নীতিগত ধারাবাহিকতা বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছে। 

বাংলাদেশ–মার্কিন কোম্পানিগুলোর এ সংগঠনের মতে, টেকসই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ব্যতীত উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কল্পনা করা যায় না। এ কারণে আমদানিতে পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞার পরিবর্তে বিদেশী অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পে গতি বাড়াতে হবে। এছাড়া নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পে যাতে আমদানীকৃত উপকরণ থাকে তার ব্যবস্থা করতে হবে, যা অস্থিতিশীল জ্বালানি তেল আমদানির ধাক্কা সামলাতে ভূমিকা রাখবে এবং ব্যালান্স অব পেমেন্ট (বিওপি) ঘাটতি মোকাবেলায় সহায়তা করবে। 

আমেরিকান চেম্বার বলেছে, তৈরি পোশাক খাত বা আরএমজির মতো প্রথাগত রফতানি খাতে অধিক নির্ভরশীলতা কমিয়ে ব্যবসা/শিল্পের অন্যান্য খাতে সহায়তা বিস্তৃত করতে হবে। নীতিগত সহায়তা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি সম্ভাব্য সেসব উৎসে অর্থ বরাদ্দ বাড়াতে হবে। 

ব্যবসায়ীদের এ সংগঠন বলেছে, কিছু শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে আগাম করকে ন্যূনতম কর হিসেবে বিবেচনা করা এবং মোট ব্যয়ের ওপর ৫ শতাংশ কর আরোপ বিদ্যমান বিনিয়োগকারীদের জন্য ক্ষতিকর হবে। তাই ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের স্বার্থে এ প্রস্তাবটি পুনরায় বিবেচনা করতে হবে। 

নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ কেবল পরিবেশগত দিক থেকে উপকারী এমন নয় বরং কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ক্লিন-এনার্জি প্রযুক্তি সহায়ক শিল্পের বাজার সম্প্রসারণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে। এ খাতে অবিলম্বে অনুকূল পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করেছে অ্যামচেম।

আমেরিকান চেম্বার আরো বলেছে, ব্যক্তিগত করহার, কর রেয়াত, কর মওকুফের ক্ষেত্রে ভিন্ন নীতি গ্রহণের ফলে বিভিন্ন আয়ের নাগরিকদের ওপর ভিন্ন প্রভাব রাখে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে আমাদের পরামর্শ, সব স্তরে অটোমেশন নিয়ে আসে এবং ট্যাক্স নেট সম্প্রসারণ করে। সর্বস্তরে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ই-পেমেন্ট, ই-টিডিএস সিস্টেম ও ডিজিটাল পেমেন্ট ইনসেনটিভ চালু করতে হবে। অ্যামচেম বিশ্বাস করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি চাঙ্গায় উন্নয়নশীল দেশগুলো বড় আকারে বিদেশী ঋণের ওপর নির্ভরশীল। ঋণ ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনয়নে সুবিবেচনাপ্রসূত পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়া পরিবেশবিরোধী সব প্রকল্প প্রত্যাহার এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু ঝুঁকি বিবেচনা করে নেয়া প্রকল্পগুলোয় বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন