ঢাকায় ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে নতুন মুক্তিযুদ্ধ গ্যালারি উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ও বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এ গ্যালারি উদ্বোধন করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের বীরত্বপূর্ণ গল্প, ছবি ও নথি প্রদর্শন করা হবে গ্যালারিতে। এর মাধ্যমে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে স্থায়ী বন্ধুত্বের স্মৃতি প্রদর্শিত হবে দর্শনার্থীদের মাঝে। এ গ্যালারি দুই দেশের ইতিহাসের অভ্যন্তরে একটি অনুপ্রেরণামূলক ভ্রমণের মাধ্যম এবং বাংলাদেশের জনগণের বীরত্ব, প্রাণোচ্ছলতা ও অদম্য চেতনার প্রতীক হিসেবে কাজ করবে বলে মন্তব্য করেন উদ্বোধকরা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রণয় ভার্মা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ গ্যালারি ১৯৭১ সালের চেতনাকে রক্ষা করা এবং উদযাপন করতে দুই দেশের যৌথ অঙ্গীকারকে তুলে ধরবে। এটি আমাদের সম্পর্ককে দিকনির্দেশনা প্রদান অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশ-ভারত উভয় দেশের জন্যই ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক তাৎপর্যের ওপর জোর দেয়া হয়েছে। দুই দেশই বন্ধুত্ব ও সংহতির অটুট চেতনার ওপর গুরুত্বারোপ করে, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ভারতের সমর্থনকে নির্দেশ করে। এ গ্যালরি ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের একটি স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে কাজ করবে। এই স্মৃতিস্তম্ভ আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম দেখবে এবং অনুপ্রেরণা লাভ করবে।’
তিনি বলেন, ‘সূক্ষ্মভাবে কিউরেট করা গ্যালারির বিপুলসংখ্যক প্রদর্শনী সামগ্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াইকারীদের সাহসিকতা, সংকল্প ও আত্মত্যাগকে তুলে ধরে। এটি নিপীড়ন ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা সকল বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এবং জীবন উৎসর্গকারী অজ্ঞাতনামা লাখো মানুষের স্মৃতিকে সম্মান জানায়।’ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও একাডেমিক ক্ষেত্রের প্রতিনিধিসহ বেশ কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, ইতিহাসবিদ ও বিশিষ্ট অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
