
ঢাকায়
নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, নতুন মার্কিন ভিসা নীতি সকলের জন্য প্রযোজ্য।
এটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশের সকলকে সঠিক আচরণ করতে উৎসাহিত
করবে। তিনি বলেন, নীতির (নতুন ভিসা নীতি) পেছনের
ধারণাটি হলো- এটি প্রত্যেকের জন্য প্রযোজ্য। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে- সঠিক আচরণ এবং অবাধ
ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে উৎসাহিত করা। তাই যারা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকে সমর্থন করেন,
তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
আজ
মঙ্গলবার (৩০ মে) রাজধানীর ধানমন্ডির অ্যাডওয়ার্ড এম কেনেডি সেন্টার ফর পাবলিক সার্ভিস
অ্যান্ড দ্য আর্টস (ইএমকে সেন্টার)-এ এই বিশেষ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ঢাকায়
নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। আলোকচিত্র
প্রদর্শনীর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন পিটার হাস।
সাংবাদিকদের
সঙ্গে আলাপকালে হাস বলেন, বাংলাদেশ সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ,
আর যুক্তরাষ্ট্রও তাই চায়। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) তার প্রতিশ্রুতি
(অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান) স্পষ্ট করেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীও সুষ্ঠু নির্বাচনের
প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের নির্বাচন দেখার জন্য স্বাগত জানিয়েছেন।
সুতরাং, আমি কোনো মতবিরোধ দেখছি না। মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাই চায়,
যা প্রতিটি বাংলাদেশী চায়- অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন।
রাষ্ট্রদূত
হাস বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বানের প্রেক্ষিতে
এবং বাংলাদেশী জনগণের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। এটি আমাদের
নীতি ব্যবহার করে সমর্থন করার আমাদের একটি উপায়
বর্তমানে
বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জগুলো কী জানতে চাওয়া হলে হাস জানান,
তিনি চ্যালেঞ্জের পরিবর্তে ইতিবাচক দিকে মনোনিবেশ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীর বর্ধিত উদযাপনের অংশ হিসেবে ৫০টি ঐতিহাসিক আলোকচিত্র নিয়ে আয়োজিত এই প্রদর্শনীটি ছয়টি স্বতন্ত্র বিভাগে বিভক্ত। ‘স্বাধীনতাপূর্ব যোগাযোগ’ বিভাগে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতারও আগে বাংলাদেশী ও আমেরিকানদের তথা শুরুর দিকের অভিবাসী, শিল্পী, পণ্ডিত, স্থপতি, ডাক্তার ও উদ্যোক্তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার আদি বীজ নিহিত আছে। ‘দাপ্তরিক সফর’ বিভাগে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের দ্বিপাক্ষিক সফর ও বৈঠকের ছবি দেখানো হয়েছে।