
গতবারের চ্যাম্পিয়ন
গুজরাট টাইটান্স এবারও শিরোপার ফেভারিট ছিল এবং ফাইনালে অল্পের জন্য দ্বিতীয়
শিরোপা স্পর্শ করতে ব্যর্থ হয়। এবার যে কজন খেলোয়াড় গুজরাটকে রানার্সআপ করেছেন
তাদের মধ্যে অন্যতম শুভমান গিল। এই আসরে তিনটি সেঞ্চুরিসহ মোট ৮৯০ রান করে তিনি
জিতেছেন অরেঞ্জ ক্যাপ।
চার ইনিংসের মধ্যে
তিনটি সেঞ্চুরি করার কৃতিত্ব দেখান তিনি। আহমেদাবাদে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের
বিপক্ষে ১০১ রান করার পর বেঙ্গালুরুতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে
করেন হার না মানা ১০৪ রান। প্রথম প্লে-অফ ম্যাচে ৪২ রান করার পর দ্বিতীয়
কোয়ালিফায়ারে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে করেন ১২৯ রান।
এই অবিশ্বাস্য
রানবন্যার দুই ম্যাচ আগেই তিনি লখনউ সুপার জায়ান্টের বিপক্ষে আহমেদাবাদে করেন হার
না মানা ৯৪ রান।
সেঞ্চুরিতে
রেকর্ডের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন গিল। এক আসরে সর্বোচ্চ চারটি সেঞ্চুরির কীর্তিটা
যুগ্মভাবে ধরে রেখেছেন বেঙ্গালুরুর বিরাট কোহলি ও রাজস্থান রয়্যালসের জস বাটলার।
কোহলি ২০১৬ সালে ও বাটলার ২০২২ সালে চারটি করে সেঞ্চুরি করেন। ২০১৬ সালে কোহলি করেছিলেন
৯৭৩ রান, ২০২২ সালে বাটলার করেছিলেন ৮৬৩ রান। মৌসুমে সর্বোচ্চ রানের হিসেবে গিল
এখন দুই নম্বরে।
যাই হোক, এবার
সবচেয়ে বেশি রান করে অরেঞ্জ ক্যাপ জিতে নিয়েছেন ভারতীয় জাতীয় দলের সেনসেশন গিল।
তিনি ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্টও হয়েছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৩০ রান করেছেন
বেঙ্গালুরুর ফাফ ডু প্লেসি ও ৬৭২ রান করেন তিনে চেন্নাই সুপার কিংসের ডেভন কনওয়ে।
সর্বোচ্চ উইকেটের পুরস্কার পার্পল ক্যাপ জিতেছেন ভারতীয় দলের পেস বোলার মোহাম্মদ শামি। তিনি নিয়েছেন ২৮ উইকেট। ২৭ উইকেট করে নিয়েছেন তারই দুই সতীর্থ মোহিত শর্মা ও রশিদ খান।