সরকারের সুর নরম হয়ে এসেছে: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি: বণিক বার্তা

মার্কিন ভিসা নীতি ঘোষণার পর সরকারের সুর নরম হয়ে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই সময়ে সরকারের কোনো ট্র্যাপে পা না দেয়ার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি। সোমবার (২৯ মে)  জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটে আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির প্রসঙ্গ তুলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কয়েকদিন আগে সরকার খুব লাফালাফি করেছিল। এখন কিন্তু থেমে গেছে। তারা এখন বলছে আমরা সংঘাত চাই না। আলোচনা বসতে চাই। এক ভিসা নীতিতেই সরকারের লাফালাফি থেমে গেছে গেছে। সরকারের সুর নিচে নেমে এসেছে, এখন বলছেআমরা সংঘাত চাই না, আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়েই করতে হবে, বাধা তো দিচ্ছি না। এই সেদিনও বিভিন্ন জেলায় আমাদের বাধা দেওয়া হয়েছে।

এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় জানিয়ে তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না, ২০১৪ ও ২০১৮ সাল আমরা দেখেছি। আর দেখতে চাই না। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সরকারের পরিবর্তন চাই, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ভোট দেওয়ার অধিকার চাই।

নেতাকর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার আমাদের সব সময় ট্র্যাপে ফেলতে চায়, তাই আমাদের সব সময় সাবধান থাকতে হবে। এরা আগুন লাগিয়ে আমাদের দোষ দেবে। আগেও দিয়েছিল। এখন দেবে। তাই কোনো ট্র্যাপে পা দেয়া যাবে না।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যেদিন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের লাশ চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আনা হয়েছিল। গার্ড দেয়ার জন্য সেনা সদস্যরা দাঁড়িয়ে ছিল, কিন্তু তার কফিন দেখে সেই সুশৃঙ্খল বাহিনী তার লাইন ভেঙে কান্নায় ভেঙে পড়েছিল।

রেমিট্যান্সের প্রসঙ্গ টেনে ফখরুল বলেন, সরকার বলছে এখন নাকি আমেরিকা থেকে রেমিট্যান্স বেশি আসছে। কি এমন জাদু পেল? আমেরিকা গেলে সবাই বাড়ি ভিটা বিক্রি করে যায়। তারা আবার টাকা কোথায় পাবে এমন মন্তব্য করে মহাসচিব বলেন, ওরা চোর, এই চোরেরা টাকা পাচার করে এখন সেই টাকা ফিরে আনছে এখন।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, জিয়াউর রহমান জীবনে তিনটি সফল ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন, এক সৈনিক জীবন, রাজনৈতিক জীবন, রাষ্ট্র প্রধান হিসেবে তিনি সফল।

তিনি বলেন, সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির নামে লুটপাট হচ্ছিল, সেজন্য তিনি সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি বাতিল করে মুক্ত অর্থনীতি চালু করেছিলেন। এই আওয়ামী লীগ সব দল নিষিদ্ধ করে বাকশাল করেছিল। আর জিয়াউর রহমান সুযোগ পেয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে গিয়েছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন