স্বাস্থ্যবিধি ও সুস্বাস্থ্য

দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে থাকুন সচেতন

বণিক বার্তা ডেস্ক

যেকোনো ধরনের অসুস্থতা ও রোগ ছড়ানো প্রতিরোধ করতে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং হাত ধোয়ার কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু কখনো কখনো পরিবেশ-পরিস্থিতি এমন হয়ে পড়ে যে সেখানে নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য সচেতন থাকাই কঠিন হয়ে পড়ে। যেমন বন্যা, ঘূর্ণিঝড় বা ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ে স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি বিশেষত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। কারণ সেই সময়ে পরিষ্কার ও নিরাপদ পানি পাওয়া খুব বেশি কঠিন হয়ে পড়ে, আবার সচেতন না থাকলে অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কাও বেশি থাকে। এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে থাকতে হবে বাড়তি সচেতন। 

এমন পরিস্থিতিতেও নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের বরাতে জেনে নিন সেসবই। 

জীবাণু যেন না ছড়ায় তাই নিজের হাত ধুয়ে নিন নিয়ম করে। অন্তত ২০ মিনিট ধরে সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। বিশেষ করে যখন আপনি জীবাণু ছড়ানোর ঝুঁকিতে থাকছেন সবচেয়ে বেশি। ট্যাপের পানিতে হাত ধোয়ার ক্ষেত্রে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা ডাক্তার কোনো সতর্কবার্তা না দিলে তা ব্যবহার করতে পারেন। তা না হলে ফোটানো পানিতে ধুয়ে নিন। যদি ট্যাপের পানি না পান তাহলে বড় একটি জগ ব্যবহার করে হাত ধোয়ার জায়গা তৈরি করুন। যদি হাতের কাছে সাবান বা পানি না থাকে চেষ্টা করুন হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করার। 

স্থানীয় স্বাস্থ্য ও পানি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে নিন যে পানি পাওয়া যাচ্ছে তাতে গোসল করা যাবে কিনা। কখনো কখনো পানি খাওয়ার জন্য নিরাপদ না হলেও গোসলের জন্য ব্যবহার করা যায়। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন সে পানি কোনোভাবে মুখের ভেতরে বা চোখের ভেতরে না যায়।

জরুরি পরিস্থিতিতে শরীরে কোনো ধরনের ক্ষত তৈরি হলে তা নিয়মিত পরিষ্কার করে ও ঢেকে রাখতে হবে। সেটা যেন কোনো ধরনের দূষিত পানির সংস্পর্শে না আসে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ক্ষতস্থানে কোনো লাল ভাব, ফোলা ভাব বা পুঁজ ঝরলে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। 

এ সময়ে স্যানিটেশনের ক্ষেত্রেও থাকতে হবে বিশেষ সতর্ক। তা না হলে পরিবেশের ওপর তার অনেক বেশি প্রভাব সৃষ্টি হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করতে হবে সব থেকে বেশি।

জরুরি পরিস্থিতিতে সতর্কতা বা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে খাবারের বিষয়টিও। দূষিত বা বাসি খাবার খেলে এ সময়ে স্বাস্থ্যপরিস্থিতি আরো বেশি জটিল আকার ধারণ করতে পারে। দুর্যোগের কারণে প্রভাব পড়তে পারে খাদ্য সরবরাহে। তিন বেলা খাবার মিলবে কিনা তারও কোনো নিশ্চয়তা থাকে না অনেক সময়। তাই এমন পরিস্থিতিতে বেশিদিন ভালো থাকে এমন সব খাবার বেছে নিতে হবে। চেষ্টা করতে হবে খাবারে যেন অনেক লবণ বা অনেক মসলা না থাকে। কারণ সেগুলো পানিতৃষ্ণা বাড়িয়ে তোলে। বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় থেকে এ সময় খাবারগুলো রক্ষা করতে হবে। 

বন্যার সময় খাবারগুলো ওপরের দিকের কোনো তাকে সংরক্ষণ করুন। কোনো বক্সে বা কাগজের কার্টনে এসব খাবার সংরক্ষণ করুন। তাহলে অনেকদিন ভালো থাকবে। খেয়াল রাখুন খাবারে যেন বন্যা বা ঝড়ের পানি না পড়ে। শুকনো খাবারের মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ পেরিয়ে যাওয়ার আগেই সেগুলো ব্যবহার করে ফেলুন। প্রয়োজনে বিকল্প খাবার নিজের সংগ্রহে রাখুন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন