স্বাস্থ্যবিধি ও সুস্বাস্থ্য

হাসপাতালেও থাকতে হবে সুরক্ষিত

বণিক বার্তা ডেস্ক

বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হলে সুস্থ হওয়ার জন্য মানুষ হাসপাতালে যায়। পরে দেখা যায় সেখানে গিয়ে কোনো না কোনো জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। রোগাক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে গিয়ে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে জটিলতা আরো বাড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে হাসপাতালে থাকতে হবে সবচেয়ে সতর্ক। 

টার্নোপিল স্টেট মেডিকেল ইউনিভার্সিটির মতে, হাসপাতালে থাকার সময়ে রোগীর কিছু হাইজিন মেনে চলার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। নিয়ম মেনে গোসল করা, মুখ পরিষ্কার করা, অচেতন রোগীর ক্ষেত্রে পিঠের যত্ন নেয়া এবং চুলের যত্ন নেয়া জরুরি। তাহলে রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারবে।

রোগীর স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করাটা তার সেবা ও সুস্থ করে তোলার প্রক্রিয়ারই একটি অংশ। পাশাপাশি রোগীর স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার জন্য যেসব আবিষ্কার কাজে লাগানো দরকার সেগুলো ব্যবহার করতে হবে যতটা সম্ভব। তাহলে সেগুলো আরো দক্ষ ও কার্যকরভাবে কর্মসম্পাদন করতে পারবে এবং রোগীকে সেবা প্রদানের কাজটি অনেক সহজ হয়ে যাবে। এসব রোগীর জন্য সারা দিনকে ভাগ করে নিয়ে তারপর সেবা প্রদান করতে হবে, যেন রোগীর সব ধরনের সেবা নিশ্চিত করা যায়। 

একটি হাসপাতালে কিছু জায়গা অন্য জায়গাগুলোর তুলনায় অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে থাকে। সেসব স্থান থেকে সংক্রমণ ছড়ায় দ্রুত, যেমন শৌচাগার। তাই সেখানে পরিকল্পিত স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন করা খুবই জরুরি। এসব জায়গা বিশ্লেষণ করে কীভাবে সেটা জীবাণুমুক্ত রাখা যাবে তা ভাবতে হবে। 

হাসপাতালের কর্মীদেরও যথাযথভাবে প্রশিক্ষিত করতে হবে। যেন নার্সরা রোগীকে তার প্রয়োজনীয় সেবাটা দিতে পারেন এবং অন্যান্য কর্মী তাদের কাজটা ঠিকমতো করতে পারেন। এটা সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা রোগীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

শুধু হাসপাতালের ভেতরেই যে রোগ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে তা না, এটি পরিবেশের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে এবং তা ফেলে বেশ বড় আকারেই। সেজন্য হাসপাতালের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ঠিকঠাক করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোন বর্জ্য কীভাবে ফেলা হবে সেই বিষয়টা ভাবনায় রাখা পরিবেশগত স্বাস্থ্যবিধির জন্য খুবই জরুরি। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন