টানা তৃতীয় মেয়াদে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত এরদোগান

বণিক বার্তা ডেস্ক

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট পদে টানা তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হয়েছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। গতকাল দ্বিতীয় দফা ভোটে বিজয়ী হয়েছেন বর্ষীয়ান এ নেতা। বিজয়ী হয়েই ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। 

প্রথম দফা ভোটে এগিয়ে থাকলেও ৫০ শতাংশ ভোট পেতে ব্যর্থ হয়েছিলেন এরদোগান। তাই দ্বিতীয় দফায় ভোট হয় গতকাল। আল জাজিরার তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ সময় রাত দেড়টা পর্যন্ত ৯৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ ভোট গণনা শেষ হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, এরদোগান পেয়েছেন ৫২ দশমিক ১৪ শতাংশ ভোট। আর প্রধান বিরোধী জোটের প্রার্থী কেমাল কিলিচদারোগলু পেয়েছেন ৪৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ ভোট।

সরকারিভাবে যদিও এখনো নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়নি। দেশটির সুপ্রিম ইলেকশন কাউন্সিল আনুষ্ঠানিক ফলাফল প্রকাশ করবে। তাই প্রাপ্ত এ ফলাফল মিলেছে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলুর মাধ্যমে। ভোটের ফল আসার পর নিজের শহর ইস্তানবুলে ছাদ খোলা বাসের ওপর দাঁড়িয়ে উচ্ছ্বসিত সমর্থকদের উদ্দেশে এক ভাষণে এরদোগান বলেন, ‘জাতির পক্ষে রায় নিয়ে আমরা দ্বিতীয় দফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শেষ করেছি। আমরা আপনাদের আস্থা রক্ষা করব।’ 

এদিকে পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় এরদোগানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ, হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্তর অরবানসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা। এক টুইটে কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ লিখেছেন, ‘রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান, প্রিয় ভাই আমার। আপনার বিজয়ে অভিনন্দন। নতুন মেয়াদে আপনার সাফল্য কামনা করছি।’

প্রথম দফায় ১৪ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য কোনো প্রার্থীই প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশ ভোট পাননি। এরদোগান পেয়েছিলেন ৪৯ দশমিক ৫২ শতাংশ ভোট। আর কেমাল কিলিচদারোগলু পেয়েছিলেন ৪৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ ভোট। এ পরিস্থিতিতে দেশটির নির্বাচন কমিশন ২৮ মে দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের ঘোষণা দেয়। সে অনুযায়ী গতকাল স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়। প্রায় ৬ কোটি লোক তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৫০ লাখই প্রথম ভোট দিয়েছেন। 

রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান এ নিয়ে তৃতীয় মেয়াদে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন। এর আগে ২০০৩ সালের ১৫ মার্চ দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা নিয়েছিলেন তিনি। পরে ২০১৪ সালে তুরস্ককে সংসদীয় ব্যবস্থা থেকে প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতিতে রূপান্তর করেন। সেই থেকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন এরদোগান। যদিও বিরোধীদের মতে, একক ক্ষমতা উপভোগ করতেই শাসন ব্যবস্থায় এমন পরিবর্তন আনেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার আগে এরদোগান ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ইস্তানবুলের মেয়র ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন