ইউরোপীয় এলএনজি আমদানি বাড়ছে

বণিক বার্তা ডেস্ক

আগামী কয়েক বছরে ইউরোপীয় এলএনজি বা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানির সক্ষমতা ৭৪ শতাংশ বাড়তে পারে। ফিচ রেটিংয়ের নতুন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এখন পর্যন্ত ঘোষিত প্রকল্পগুলোর ওপর ভিত্তি করে এ সক্ষমতা বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউরোপীয় এলএনজি আমদানির সক্ষমতা ২০২২ সালের অক্টোবরে মোট ১৬ হাজার ৯০০ কোটি ঘনমিটারে (বিসিএম) উত্তীর্ণ হয়েছে। এলএনজি ক্রয় ৪ হাজার ৫০০ কোটি ঘনমিটার থেকে ২০২২ সালে বছরওয়ারি ১২ হাজার কোটি ঘনমিটার বেড়েছে। চলতি বছর এলএনজি ক্রয় আরো ১৫ হাজার ৫০০ কোটি ঘনমিটার বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, চলতি বছর ইউরোপ প্রয়োজনীয় ক্রয়ের স্তরে পৌঁছতে সক্ষম হবে। যদিও বিশ্ববাজারে প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রাপ্যতা বাড়ছে, যা ইউরোপীয় এলএনজি আমদানির পরিকল্পনার বিপরীতে খানিকটা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে। তবে ইউরোপ ২০২৩ সালে বর্ধিত এলএনজি চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম।

২০২৪ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারে গ্যাসভিত্তিক বৃহৎ প্রকল্পগুলো শুরুর কথা রয়েছে। এ কার্যক্রম শুরুর পর বিশ্বব্যাপী প্রাকৃতিক গ্যাসকে তরলীকরণের সক্ষমতা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ২০২৫ ও ২০২৬ সালে এটি অনেক বেশি অর্থবহ বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি করবে। এদিকে ২০২২ সালে চূড়ান্ত বৃদ্ধির পর চলতি বছর ইউরোপীয় প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। শীতের উষ্ণ আবহাওয়া, এলএনজির পর্যাপ্ত সরবরাহ ও চাহিদা হ্রাসের ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহ মজুদ মাত্রার ওপরে রয়েছে।

ইইউর গ্যাস মজুদের ক্ষেত্রগুলোয় ৬৫ শতাংশ ধারণক্ষমতা বিদ্যমান। শীতের আগে এগুলো পূর্ণ সক্ষমতায় পৌঁছতে পারে। গ্যাস মজুদ ক্ষেত্রগুলো প্রাকৃতিক গ্যাস সংরক্ষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো হিসেবে কাজ করে। এগুলো উচ্চ চাহিদার সময় গ্যাসের একটি নির্ভরযোগ্য সরবরাহ নিশ্চিতে সাহায্য করে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন