পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউটের
সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের নিয়ে যাত্রা করল ‘পাঠশালা ফিল্ম
ক্লাব’। প্রাথমিকভাবে
ঘোষিত হয়েছে ১২ সদস্যের কার্যনির্বাহী পরিষদ।
গতকাল শনিবার (২৭ মে) পান্থপথের দৃক পাঠ
ভবনে দুপুর ২টায় মৃণাল সেনের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত দুইদিনব্যাপী অনুষ্ঠানের
শেষ দিনে ক্লাব গঠন ও সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হয়।
ফিল্ম ক্লাবের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন
পাঠশালার ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশনের পঞ্চম ব্যাচের শিক্ষার্থী রকিবুল হাসান জুয়েল ও
সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন একই ব্যাচের শিশির বিন্দু বিশ্বাস। সহ-সভাপতি পদে আছেন পঞ্চম
ব্যাচের শরীফ নাসরুল্লাহ ও চতুর্থ ব্যাচের শিক্ষার্থী কুলসুমা বেগম।
ক্লাবের নির্বাহী সম্পাদক হয়েছেন পঞ্চম
ব্যাচের ইব্রাহীম খলিল, অর্থ-সম্পাদক প্রথম ব্যাচের রওনক মুরাদ, প্রচার সম্পাদক হয়েছেন
তৃতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম। এছাড়া প্রশিক্ষণ ও অনুষ্ঠান সম্পাদক হয়েছেন
চতুর্থ ব্যাচের শিক্ষার্থী সুকান্ত কুমার এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পঞ্চম ব্যাচের
ফারহানা সেতু।
সিনেমাটোগ্রাফি প্রফেশনাল কোর্সের শিক্ষার্থী
সাদমান সাকিব চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছেন দপ্তর সম্পাদক। এছাড়া কার্যকরী পরিষদের সদস্য
নির্বাচিত হয়েছেন ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্ক্রিনপ্লে অ্যান্ড ডিরেকশন প্রফেশনাল কোর্সের
শিকড় চৌধুরী, ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশনের দ্বিতীয় ব্যাচের আজিজুর রহমান, পঞ্চম ব্যাচের
হাসান তারেক ও চতুর্থ ব্যাচের রাজিয়া রহমান।
এছাড়া পাঁচ সদস্যের একটি উপদেষ্টা পরিষদে
আছেন প্রখ্যাত আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলম, পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউটের
অধ্যক্ষ খ ম হারূন আল রশিদ, পাঠশালার ফটোগ্রাফি বিভাগের হেড অব ডিপার্টমেন্ট খন্দকার
তানভীর মুরাদ তপু, ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষক এন রাশেদ চৌধুরী ও এডিটিং
বিভাগের শিক্ষক ময়ুখ আল বারী।
দুইদিনের এ আয়োজনের প্রথম দিন শুক্রবার
মৃণাল সেনের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন চলচ্চিত্র সমালোচক ও লেখক মাহমুদুল হোসেন।
প্রদর্শিত হয় মৃণাল সেনের ‘ভুবন সোম’ (১৯৬৯)।
দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানের শুরুতে ছিল মৃণাল
সেনের নির্মিত ‘পদাতিক’ (১৯৭৩)। মৃণাল
সেন ও তার চলচ্চিত্রের ওপর মাস্টার ক্লাস নেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র সমালোচক ও শিক্ষক
মইনুদ্দীন খালেদ। মুক্ত আলোচনার পর বিকাল পৌনে ৬টায় মৃণাল সেনের ‘আকালের সন্ধানে’ (১৯৮২) প্রদর্শনের
মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।