
শিক্ষার্থীদের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের
জীবনীনির্ভর ‘আনোয়ার: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ নামের চলচ্চিত্র
দেখার আমন্ত্রণ জানিয়ে বিতর্কে পড়েছে মালয়েশিয়া সরকার। অভিভাবকদের একটি পক্ষ বলছে,
এ বায়োপিক দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানাতে চাইলে সরকারের উচিত শিক্ষার্থীদের সমালোচনার
সুযোগ দেয়া। খবর ফ্রি মালয়েশিয়ার টুডে।
প্যারেন্ট অ্যাকশন গ্রুপ ফর এডুকেশনের
(পিএজিই)- অনারারি সেক্রেটারি টুঙ্কু মুনাভিরাহ পুত্র বলছেন, ‘আনোয়ার: দ্য
আনটোল্ড স্টোরি’-এর মতো সিনেমার চিত্রনাট্যে নিয়ে শ্রেণীকক্ষে সমালোচনামূলক
আলোচনা করা উচিত। কারণ এটি রাজনীতি ও ইতিহাস সংশ্লিষ্ট।
সঙ্গে এও বলেন, বর্তমান সরকারের পক্ষে
মতামত দিতে শিক্ষার্থীরা বাধ্য নয়।
বায়োপিকের বিশেষ প্রদর্শনীতে ফর্ম সিক্স
বা প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণ জানানোর পর ব্যাপক প্রতিক্রিয়া
তৈরি হয়। আমন্ত্রণ জানিয়েছিল শিক্ষামন্ত্রী ফাদলিনা সিডেকের অফিস।
কর্মকর্তারা বলছেন, শিক্ষার্থীদের প্রদর্শনীতে
অংশ নিতে বাধ্য করা হয়নি। চলচ্চিত্রে থাকা দুর্নীতি ও শাসনের সম্পর্কিত বিষয়গুলো তাদের
পাঠ্যক্রমের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক।
তবে নেটিজেন ও একজন বিরোধী সংসদ সদস্য
সমালোচনা করে বলছেন, ছবিটি শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রপাগান্ডার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার
করা হয়েছে।
‘আনোয়ার: দ্য আনটোল্ড
স্টোরি’ সিনেমার সময়কাল
১৯৯৩ থেকে ১৯৯৮ সাল। উপ-প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে আনোয়ার ইব্রাহিমের
দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান ও তার কারাবাস তুলে ধরা হয়েছে গল্পে।
একটি পক্ষ বলছে, প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের
শিক্ষার্থীরা ভোটার। ফলে তাদের ভালো-মন্দ বিবেচনার করার বয়স হয়েছে। অন্যদিকে কিছু গোষ্ঠী
বলছে, শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণের কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে। পাশাপাশি এই বাবদ খরচ হওয়া
তহবিলের উৎস জানাতে হবে শিক্ষামন্ত্রীকে।