গৃহিণী থেকে দেশের দ্বিতীয় নারী মেয়র জায়েদা খাতুন

বণিক বার্তা অনলাইন

ছবি: বণিক বার্তা

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়ে জায়েদা খাতুন এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। একদিন আগেও তার পরিচয় ছিল সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা। এখন তিনি দেশের দ্বিতীয় নারী মেয়র।

গত বুধবার মার্কিন ভিসা নীতির সঙ্গে বাংলাদেশের নির্বাচন জড়িয়ে নতুন ঘোষণা আসার পর থেকে আলোচনায় ছিল গাজীপুরের নির্বাচন। অবশ্য সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনে তার দৃঢপ্রতিজ্ঞ। এই সব নিয়ে তুমুল আলোচনার মাঝে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা।

হলফনামা সূত্রে জানা যায়, জায়েদা খাতুন গৃহিণী ও স্বশিক্ষিত। ১৯৬২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কানাইয়া এলাকায় তার জন্ম। স্বামী মো. মিজানুর রহমান পাঁচ বছর আগে মারা গেছেন। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলার তথ্য নেই বলে জানা যায় নির্বাচনী হলফনামায়।

জাহাঙ্গীর আলমসহ দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন জায়েদার।

নির্বাচন সামনে রেখে, মহানগরের উন্নয়ন ও নগরবাসীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে ৯ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছিলেন জায়েদা খাতুন। নির্বাচিত হলে পাঁচ বছরের জন্য হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফের প্রতিশ্রুতি দেন। পাশাপাশি সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের অসমাপ্ত কাজ শেষ করারও অঙ্গীকার করেন।

২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হারিয়ে মেয়র হন জাহাঙ্গীর আলম। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এক মন্তব্যের পর তিনি মেয়াদ শেষ করতে পারেননি। পরে দলীয় ক্ষমা পেলেও মনোনয়ন পাননি। এরপর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে একইদিন মা-ছেলে মনোনয়নপত্র জমা দেন। কিন্তু ঋণখেলাপির জামিনদার হওয়ার অভিযোগে জাহাঙ্গীরের প্রার্থীতা বাতিল হয়।

শুরু থেকে জায়েদার নির্বাচনকে জাহাঙ্গীরের একটি কৌশল হিসেবে দেখা হয়েছিল। ছেলের জনপ্রিয়তাকে ভিত্তি করেই প্রচার চালান তিনি। আর জায়েদার নির্বাচনী কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়কারীও ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন