জাপানে গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত ৪

বণিক বার্তা অনলাইন

বাড়ি ফিরে নিজেকে অবরুদ্ধ করে রাখেন সন্দেহভাজন ব্যক্তি। ছবি: সিএনএন

জাপানে বন্দুক ও ছুরি নিয়ে হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন। বিরল এই ঘটনার পর একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নাকানো শহরের সড়কে এই ঘটনা ঘটেছে। খবর বিবিসি।

অভিযুক্ত ব্যক্তি একজন নারীকে ছুরিকাঘাত করে ও দুই পুলিশ সদস্যকে একটি হান্টিং রাইফেল দিয়ে গুলি করে। পরে চতুর্থ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

সন্দেহভাজন মাসানোরি আওকি (৩১) স্থানীয় রাজনীতিকের ছেলে।

গত বছরের জুলাইয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবেকে জনসভায় গুলিতে হত্যা করা হয়। তা সত্ত্বেও জাপানে বন্দুক সহিংসতা অত্যন্ত বিরল।

জাপানি বার্তা সংস্থা কিয়োডো জানায়, স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশ এক ফোনকলে জানতে পারে, একজন নারীকে ধাওয়া করেছিল ওই ব্যক্তি এবং তারপর ছুরিকাঘাত করে।

হত্যার উদ্দেশ্য স্পষ্ট নয়। সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জিজ্ঞাসা করলে তিনি কেন নারীকে ছুরিকাঘাত করেছিলেন, তখন উত্তর বলেছিলেন, আমি তাকে হত্যা করতে চেয়েছিলাম বলেই হত্যা করেছি।

ইউনিফর্ম, টুপি, সানগ্লাস ও মুখোশ পরে ওই নারীর ওপর হামলা করেন আওকি। এরপর ঘটনাস্থলে আসা পুলিশ কর্মকর্তাদের গুলি করেন। আরও একজন বৃদ্ধা ঘটনাস্থলে মারা গেছেন, তবে কীভাবে মারা গেছেন তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হয়নি।

ওই ঘটনার পর বাবার বাড়িতে ফিরে যান আওকি। সেখানে ঘণ্টা খানেক ভেতর থেকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।

আওকির বাবা মাসামিচি আওকি স্থানীয় নাকানো অ্যাসেম্বলির স্পিকার।

জাপানের গণমাধ্যম এনএইচকে-র ফুটেজে ওই বাড়ির কাছে পুলিশের গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স দেখা গেছে। নিরপত্তায় সজ্জিত পুলিশ কর্মকর্তারা বাড়ির চারপাশে একটি ৩০০ মিটার এলাকা ঘিরে রাখে।

একপর্যায়ে সন্দেহভাজন ব্যক্তি বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলে পুলিশ তাকে আটক করে।

জাপানে হ্যান্ডগান নিষিদ্ধ ও রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা খুব একটা শোনা যায় না। দেশটিতে ব্যক্তিগত অস্ত্র রাখার জন্য কড়া পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। মানসিক স্বাস্থ্যও পরীক্ষা করতে হয়। এরপর শুধু শটগান ও এয়ার রাইফেল রাখার অনুমতি পাওয়া যায়।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ৩৩ হাজার ৫৯৯ এর তুলনায় জাপানে বন্দুকে মৃত্যুর ঘটনা মাত্র ছয়টি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন