সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী

ভিসা নীতিতে সরকার চিন্তিত নয়, এটি সবার জন্য সতর্কবার্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক

সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দিলে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞার যে হুঁশিয়ারি দিয়েছে সেই বিষয়ে সরকার চিন্তিত নয় এবং চাপ অনুভব করছে না। এটি সবার জন্য সতর্কবার্তা। ভিসা প্রক্রিয়া পরিবর্তন সব নাগরিকের জন্য সমান। এটা আলাদা কোনো দল বা ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা নয়। আমার মনে হয়, ভিসা প্রক্রিয়ার পরিবর্তন বিএনপির জন্যও প্রযোজ্য। তারা মানুষ পুড়িয়েছেগণপরিবহনে আগুন দিয়েছে গর্ভবতী মায়ের অ্যাম্বুলেন্স আটকে রেখেছে। এগুলোর কারণে তাদের ভিসা প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতিবিনিময়কালে কৃষিমন্ত্রী আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য . মো. আবদুর রাজ্জাক যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন।

নতুন ভিসা নীতি দেশে অশুভ শক্তি, অসাংবিধানিক শক্তি যারা পাকিস্তানি কায়দায় নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসতে চায়, তাদের নিরুৎসাহিত করবে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র দেশে একটি সুষ্ঠু, সুন্দর গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার বার বলেছেন, সম্প্রতি কাতার সফরেও বলেছেন, দেশে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর গ্রহণযোগ্য হবে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের আয়োজন করবে। সরকার তাতে সহায়তা করবে।

এদিকে বাংলাদেশে কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরির কারখানা, কৃষি প্রক্রিয়াকরণের জন্য এগ্রো-ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, বিজ্ঞানীদের প্রশিক্ষণ যৌথ গবেষণার জন্য এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি কো-অপারেশন সেন্টার স্থাপনের জন্য গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীন। গতকাল সকালে সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এসব প্রস্তাব দেন।

কৃষিমন্ত্রী চীনের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ সরকার সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে। বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের জন্য উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে আরো বেশি স্কলারশিপ প্রদানের জন্য মন্ত্রী অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, ‘জাতীয় স্বার্থকে সবার আগে বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চায়। অর্থনৈতিক উন্নয়ন অঞ্চলের শান্তি-স্থিতিশীলতার জন্য বাংলাদেশ-চীনের সুসম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ চীনের মধ্যে কৃষি খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে। এসব সহযোগিতার মাধ্যমে কৃষি খাতে বাংলাদেশ চীনের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হবে।

মন্ত্রী রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের জন্য বোঝা উল্লেখ করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে চীনের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ছোট্ট দেশ, ১৭ কোটি জনসংখ্যা। অবস্থায় ১০ লাখ রোহিঙ্গার খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা খুবই কঠিন। তাছাড়া দেশের নিরাপত্তার জন্যও রোহিঙ্গারা হুমকিস্বরূপ। চীনা রাষ্ট্রদূত জানান, চীন রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে আন্তরিকভাবে কাজ করছে।

সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন তালুকদার, উপসচিব ইশরাত রেজা, চীনা দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর সঙ ইয়ান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন