দুদিনের সীমান্ত সম্মেলন শেষ

সীমান্ত সুরক্ষা আরো জোরদারে বিজিপিকে আহ্বান বিজিবির

নিজস্ব প্রতিবেদক

মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে (বিজিপি) তাদের সীমান্ত সুরক্ষার বিষয়টি আরো জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মাদক, অস্ত্র মানব পাচারের মতো ঘটনা নিয়ন্ত্রণে উভয় বাহিনীর মধ্যে ত্বরিত যোগাযোগ স্থাপনে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্তও হয়েছে দুই বাহিনীর মধ্যে।

গতকাল কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবি বিজিপির মধ্যে রিজিয়ন কমান্ডার পর্যায়ের দুই দিনব্যাপী সীমান্ত সম্মেলন শেষে আহ্বানের কথা জানায় বিজিবি।

বিজিবি-বিজিপির সম্মেলনে সীমান্তবর্তী জনসাধারণের নিরাপত্তা, সীমান্তে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা, আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস নির্মূল, মানব মাদক পাচার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করার লক্ষ্যে উভয় ডেলিগেশন প্রধান নিজ নিজ সীমান্তরক্ষী বাহিনী একসঙ্গে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সম্মেলনে ১৫ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন কক্সবাজারের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজম-উস-সাকিব। মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিতেত লুইনের নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের মিয়ানমার প্রতিনিধি দল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে। সম্মেলনে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা বর্তমান সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে ফলপ্রসূ এবং বিস্তারিত আলোচনা হয়।

বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের প্রধান মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে ইয়াবা ক্রিস্টাল মেথ আইসসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য বাংলাদেশে পাচারের বিষয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয়টি অবহিত করেন। তিনি বিজিপিকে সীমান্ত সুরক্ষার বিষয়টি আরো জোরদার করার আহ্বান জানান। ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে মিয়ানমার প্রতিনিধি দল আশ্বস্ত করেন।

এছাড়া অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস দমন দুষ্কৃতকারীদের প্রতিহতকরণ, মিয়ানমার কর্তৃক সীমান্তে ইইডি স্থাপন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত চুক্তি-১৯৮০ অনুযায়ী অসতর্কতা/ভুলবশত অথবা ঝড়ের কবলে পড়ে আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রম করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে প্রবেশের ফলে আটককৃত বাংলাদেশী নাগরিকদের দ্রুত ফেরত প্রদানের বিষয়টি ত্বরান্বিত সহজীকরণ, সীমান্তের নানাবিধ সমস্যা নিরসনকল্পে উভয় দেশের বর্ডার লিঁয়াজো অফিসের (বিএলও) কার্যক্রম পূর্ণরূপে সক্রিয়করণ, উভয় বাহিনীর মধ্যে ত্বরিত যোগাযোগ স্থাপনে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে যৌথ সমন্বিত টহল পরিচালনা পিলার পরিদর্শন ইত্যাদি বিষয়ের ওপর বিস্তারিত ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন