‘ফলো দ্য মানি, ফলো দ্য ক্রাইম’ এ নীতিতেই দুদক চলছে

মো. খুরশীদ আলম খান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্যানেলভুক্ত আইনজীবী। বিদেশে অর্থ পাচার, মানি লন্ডারিং আইন, মামলায় দীর্ঘসূত্রতা, দুদকের আইনজীবীদের সক্ষমতা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে বণিক বার্তার সঙ্গে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আনিকা মাহজাবিন 

দুদকের মামলাগুলো নিয়ে বলা হয় যে সরকারি দলের চেয়ে বিরোধী দলের নেতাদেরই উদ্দেশ্য করে করা হয়। একজন আইনজীবী হিসেবে এ বিষয়ে আপনি কী মনে করেন?

তৃতীয় বিশ্বের দেশে ক্ষমতাসীনদের দুর্নীতির খবর তেমন একটা বের হয় না। সাধারণত ক্ষমতা হারানোর পর তাদের দুর্নীতির খবর প্রকাশ হয়। ক্ষমতায় থাকাকালীন তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি বের করা খুবই কঠিন বিষয়। এটি একটি কারণ হতে পারে। অন্য একটি কারণ হতে পারে—যখন কেউ ক্ষমতায় থাকে তখন তাকে সৎ মানুষ হিসেবে দেখা হয়। ক্ষমতা হারালেই দুর্নীতির বিষয়গুলো সামনে আসে। 

এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি থাকা দরকার। এটি হতে পারে যে আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবাই এক, কোনো দুর্নীতিবাজকে প্রশ্রয় দেয়া হবে না। এ ধরনের প্রতিশ্রুতি থাকলে দুর্নীতির মামলা অনুসন্ধান সহজ করবে।

আলোচিত বেসিক ব্যাংকের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় মামলা এখনো চলমান। এছাড়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলা চলমান রয়েছে। এ দীর্ঘসূত্রতার কারণ কী? 

একটি মামলার চার্জশিট হওয়ার পর সেটি আদালতে যায়। তখন দুদকের কাজ হলো তার আইনজীবীর মাধ্যমে মামলাটি প্রমাণ করা। সেক্ষেত্রে দুদক যে সুযোগ-সুবিধা পায়, আসামিও একই সুযোগ-সুবিধা পায়। সেক্ষেত্রে আমি মনে করি, আদালতের কার্যক্রমটি আরো দ্রুত হলে অথবা সময় কম মঞ্জুর করলে মামলার দীর্ঘসূত্রতা কমবে। যেমন হতে পারে ১৩৫ দিনের মধ্যে মামলার কার্যক্রম শেষ করা। যদিও দুদকের আইনে মামলা শেষ করার নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়া আছে। কিন্তু এটা সম্ভব হয় না। আসামি পলাতক থাকলে মামলা একপক্ষ হয়ে শেষ হয়ে যায়। অন্যথায় সময়সাপেক্ষ।

বেসিক ব্যাংকের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিটে চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাচ্চুসহ পরিচালনা পর্ষদের কাউকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এ বিষয়ে আপনার মতামত শুনতে চাই।

আব্দুল হাই বাচ্চুকে কেন এফআইআরের আসামি করা হলো না—এ নিয়ে হাইকোর্ট ডিভিশন, অ্যাপিলেট ডিভিশন এবং বিচারপতিও প্রশ্ন করেছেন। যেহেতু বাচ্চুর বিরুদ্ধে গ্রহণযোগ্য তথ্যাদি আছে তাই আমরা আশা করছি, কমিশন এটিকে গুরুত্বসহকারে দেখবে।

বেসিক ব্যাংকের মোট ৫২টি মামলায় ২ হাজার ৫০০ জনের সাক্ষী নেয়া হয়েছে। তদন্ত চলাকালীন আব্দুল হাই বাচ্চুকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সে সময় যে তথ্য পাওয়া গেছে সেগুলো কমিশন অবশ্যই আমলে এনে দেখবে। সম্ভবত তাড়াতাড়িই চার্জশিট দেয়া হবে। যাদের বিরুদ্ধে বিশ্বাসযোগ্য তথ্যাদি আসবে তারা অবশ্যই চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত হবে। 

সোনালী ব্যাংক থেকে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা উঠিয়ে নেয় হলমার্ক। এটির অগ্রগতি নিয়ে জানতে চাই।

হলমার্কের ঘটনায় অগ্রগতি বেসিক ব্যাংকের চেয়ে বেশি। এটি বিচারের শেষ পর্যায়ে আছে। সোনালী ব্যাংকের এ মামলায় অনেকের সাজা হয়েছে এবং তাদের অনেকে পলাতক, যাদের মধ্যে সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডিও আছেন। আবার কিছু মামলা এখনো চলমান। তবে চলমান মামলার সংখ্যা কম। 

সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডিসহ আরো কয়েকজন আসামি পলাতক আছে। তাদের ফিরিয়ে আনতে কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে?

সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডিসহ আরো অনেকে পলাতক আছেন। এ মুহূর্তে সঠিক সংখ্যাটি বলতে পারছি না। 

দুদকে কোনো মামলার রায় হয়ে গেলে সাধারণত আসামিকে নিরাপদ গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন আদালত। ঢাকার উপকমিশনার ও পুলিশ সুপারের ওপর এ নির্দেশনা দেয়া থাকে। আইনানুযায়ী সব কাজ করা হয়। তার পরও আসামিকে গ্রেফতার করা না গেলে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের জন্য ‘রেড অ্যালার্ট’ নোটিস জারি করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় সোনালী ব্যাংকের এমডির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট আছে। পরবর্তী সময়ে রেড অ্যালার্ট জারি হয়েছে কিনা সেটির সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে আমি জানি না। 

সাধারণত ব্যাংকের বিরুদ্ধে দুদকের দায়েরকৃত মামলায় মধ্য বা নিম্নমধ্য শ্রেণীর কর্মকর্তাদের আসামি করা হয়। ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ছাড় পাওয়ার বিষয়টাকে আপনি কীভাবে দেখেন? 

ধারণাটি সঠিক নয় বলে আমি করি। একটি চেন অব কমান্ডের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে টাকা পাচার হয়। এমডি একা কিছু করতে পারবেন না। অনেকের সহযোগিতা নিয়েই তাকে কাজটি করতে হয়। এত বড় অপরাধ করা তার একার পক্ষে করা সম্ভব হতো না। তাই প্রত্যেক কর্মচারীকে চাকরিরত সময়ে কী কী কাজ করতে পারবেন, সেটি নিয়ে অবশ্যই ভেবে কাজ করা উচিত। এমডি হুকুম দিলেই কাজ করে দেবে, সেই জমানা শেষ হয়ে গেছে। 

আর্থিক অব্যবস্থাপনা ও টাকা পাচারের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে দুদক। সোনালী ব্যাংকের অনেক ডিএমডি অনেক তদবির করেছিলেন। তাদের বিষয়ে ছাড় দেয়ার জন্য আমাদের কাছেও তদবির এসেছিল। আমরা কোনো ছাড় দিইনি। 

সরকার দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলাগুলোর তদন্ত দীর্ঘদিন ধরে চলার পেছনে কারণ কী? 

‘ফলো দ্য মানি, ফলো দ্য ক্রাইম’—এ নীতিটাই দুদক মেনে চলছে। কোনটি সরকারি দল আর কোনটি বেসরকারি দল সেটি আমাদের দেখার বিষয় নয়। আমাদের মুখ্য বিষয় হলো অপরাধ। অপরাধী সরকারি দলের হলেও দুদক তাকে ধরতে পিছপা হবে না। 

দুদক ১৮ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু টাকা পাচার রোধের চিত্রটি নিয়ে এখনো সন্তোষজনক অবস্থা তৈরি হয়নি। একজন আইনজীবী হিসেবে মানি লন্ডারিং আইনের কোথায় পরিবর্তন করা প্রয়োজন? 

পৃথিবীর সব দেশেই টাকা পাচার একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। এটি নিয়ে প্রত্যেক দেশের সরকারই হিমশিম খাচ্ছে। আমাদের দেশে মানি লন্ডারিং আইনটি হয় ২০০২ সালে। দুদকের বার্ষিক রেট অব কনভিকশন ৭০ শতাংশের কাছাকাছি। যেখানে সরকারের রেট অব কনভিকশন ২-৩ শতাংশ। এদিক থেকে দুদক সফল। কিন্তু যে হারে দেশে মানি লন্ডারিং ও দুর্নীতি হচ্ছে সেদিক থেকে বিবেচনা করলে দুদক ব্যর্থ বলে আমি মনে করি। 

দুদকের কিছু আইন ও কাঠামোগত দুর্বলতা রয়েছে। যেমন দুর্নীতির কোনো সংজ্ঞা নেই। যেখানে তফসিলভুক্ত অপরাধগুলোকে বলা হয় দুর্নীতি। কিন্তু ব্যাংক বনাম ব্যাংকের যে দুর্নীতিগুলো হচ্ছে তার জন্য দুদকের কাছে যাওয়া যায় না। দুর্নীতির মামলা করতে হলে দুদকের শিডিউল আসতে হবে। সেই শিডিউলটা পর্যাপ্ত। কিন্তু দুদকের যে অভ্যন্তরীণ সহায়তা সেটি কম। পাশাপাশি আরেকটি বিষয় হলো, অর্থ পাচারের জন্য এখানে সাজা হলো সর্বনিম্ন চার বছর ও সর্বোচ্চ ১২ বছর। আমরা মনে করি, এটিকে সর্বনিম্ন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড দেয়া উচিত। কেননা হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের সাজা ১২ বছর যথেষ্ট নয়। এ ১২ বছরের মধ্যে চার-পাঁচ বছর জেল খাটার পরই সেই আসামি জামিনে বের হয়ে যায়। বিচার হতে দীর্ঘ সময় লাগে। 

এ বিষয়গুলো চিন্তাভাবনা করা উচিত বলে আমি মনে করি। এখন পর্যন্ত দুদকের মানি লন্ডারিংয়ের যেসব মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে, সেগুলোর সাজা হয়েছে। এখন মোবাইল ফাইন্যান্সিংয়ের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা পাচার হচ্ছে। তা নিয়ে সিআইডি কাজ করছে। কিন্তু তারা বিচার পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারছে না। আবার বিচারে গেলেও এটির নিষ্পত্তির হার খুব কম। এ পর্যন্ত সিআইডির মাত্র একটি মামলায় সাজা হয়েছে। নীতিনির্ধারক মহলের উচিত সিআইডিতে একটা পাবলিক প্রসিকিউশন রাখা। দুদকে যেমন আছে তেমনই। এটি হলে সিআইডির মামলাগুলো প্রমাণ করাতে সহজ হবে। নয়তো এটা কঠিন হয়ে যাবে। 

বিদেশে যেসব সম্পদ পাচার হয়েছে সেগুলো ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে আইনগত সমস্যা কোথায়?

বাইরের দেশের সম্পদ ও অর্থ ফেরত আনার জন্য বাংলাদেশের রাষ্ট্র বনাম রাষ্ট্রের কোনো চুক্তি নেই। ভারতের এ ধরনের চুক্তি আছে বিধায় তারা তথ্য পেয়ে থাকে। ভারতের সঙ্গে আমাদের দেশের আর্থিক অপরাধের তথ্য ‘মিউচুয়াল ইনফরমেশন অ্যাক্ট’ সংগ্রহ করে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। তারা তথ্য সংগ্রহ করে বিভিন্ন সংস্থাকে দিচ্ছে। কিন্তু সংগ্রহ করা তথ্যগুলো তারা আদালতে ব্যবহার করতে পারে না। আদালতে ব্যবহারের শর্ত হলো, যে দেশ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে সেই দেশের সরকারের অনুমতি নিয়েই ব্যবহার করতে হবে। সেই দেশ আবার সবসময় অনুমতি দেয় না। আমাদের সঙ্গে অনেক দেশের বন্দি বিনিময় চুক্তি আছে। যেমন ভারত, থাইল্যান্ডের সঙ্গে আছে। এ চুক্তির মতো মুদ্রা পাচারের চুক্তিও থাকা উচিত। তবে বর্তমানে যে পারস্পরিক আইনগত সহযোগিতা আবেদন (মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট) চুক্তিটি আছে, এটির মাধ্যমে পাওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে অভিযুক্ত ব্যক্তির জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ বের করতে পারছি। এটি দিয়ে মানি লন্ডারিংয়ের মামলা করছি। আমরা এগোতে পারছি। কিন্তু দেশের বাইরের সম্পদ অথবা অর্থ কোনো বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পারছি না। এটির মাধ্যমে আমরা পি কে হালদারের তথ্যগুলো ভারতের কাছ থেকে পেয়েছি। অর্থাৎ তাকে অ্যারেস্ট করা হলো বাংলাদেশের এমএলএআরের মাধ্যমে। যেটি বড় ধরনের সফলতা।

আমাদের দেশ থেকে টাকা পাচার হওয়া দেশের মধ্যে অগ্রগণ্য হলো মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, দুবাই, আরব আমিরাত। তবে আশার কথা হলো, সম্পদ ও অর্থ ফেরত পাওয়ার জন্য বাংলাদেশের সরকার পৃথিবীর সব দেশের সঙ্গেই চেষ্টা করছে। আমার মনে হয়, দ্রুতই ফলাফল পেতে পারি।

অর্থ পাচার নিয়ে দুদক বিভিন্ন মামলায় লড়ছে। একজন আইনজীবী হিসেবে এসব মামলায় দুদকের সফলতার চিত্রটি কেমন? 

মামলা লড়ে অর্থ পাচারের টাকা ফেরত আনার ঘটনা একটিই আছে। সেটি হলো সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর টাকা দেশে ফেরত আনতে পেরেছি। এটিতে সফল হওয়ার পেছনে ছিল সিঙ্গাপুর সরকারের সম্মতি এবং ওই দেশের আদালতের সহযোগিতা। অন্যদিকে মানি লন্ডারিংয়ের এক মামলায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুন আর তারেক রহমানকে ২০ কোটি করে ৪০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। ২০ কোটি টাকা ব্যাংকে ছিল এবং সরকার সেগুলো বাজেয়াপ্ত করেছে। এরই সঙ্গে অনেকের টাকার ওপর আমাদের আদালতে ইনজাংকশন আছে। আমাদের মানি লন্ডারিং আইনে একটি প্রভিশন আছে যে আমার দেশের কোনো ব্যক্তি টাকা পাচার করে যদি বিদেশে কোনো ব্যাংক বা ইন্স্যুরেন্সে রাখে তাহলে ওই ব্যাংকের তথ্যের মাধ্যমে আদালতকে দেখাতে পারি—এটি বাংলাদেশের টাকা তখন আমাদের দেশের দরখাস্ত দিই। আদালত যাচাই-বাছাই করে দেখে এটি আমাদের দেশের টাকা। আদালত সন্তুষ্ট হলে সেই টাকার ওপর ইনজাংকশন জারি করেন। যেমন গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের মামলার ইনজাংকশন আছে। এভাবে ইনজাংকশনের মাধ্যমে জব্দ আছে প্রায় ৮০ কোটি টাকা। এ টাকাগুলো হংকং, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, নেট ওয়েস্ট ব্যাংকসহ অনেক জায়গায় আছে। এ ব্যক্তিগত টাকাগুলোর মালিক রাজনীতিবিদ, সাবেক মন্ত্রী ও ব্যবসায়ীসহ অনেকে। যেহেতু বিষয়টি বিচারাধীন তাই কারো নাম উল্লেখ করতে পারছি না।

মানি লন্ডারিংয়ের টাকা ফেরত আনার উদাহরণ তৈরি করতে না পারার পেছনে কারণ কী?

যেহেতু মামলাগুলো নিষ্পত্তি হচ্ছে না তাই এ রকম উদাহরণ তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। বিচারিক আদালতে মামলা নিষ্পত্তি হলে হাইকোর্টে আপিল হয়। হাইকোর্টে আপিল হলে ফাইনটা স্টে হয়ে যায়। স্টে হয়ে গেলে আপিল নিষ্পত্তি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। আবার হাইকোর্টের নিষ্পত্তিগুলো আপিল বিভাগে যায়। সেখানে আবার ইন্টেরিম আদেশ থাকলে অপেক্ষা করতে হয়। একটি দীর্ঘসূত্রতা আছে। আইনের এ বিধান মেনেই চলতে হয়। তার পরও আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি মামলাগুলো নিষ্পত্তি করে যাওয়ার জন্য।

দুদকের আইনজীবীদের ম্যানেজ করে ফেলা যায় বলে একটি কথা শোনা যায়। বিষয়টিকে প্রতিরোধের জন্য দুদকের প্যানেলভুক্ত আইনজীবী হিসেবে আপনার পরামর্শ কী?

এ বিষয় আমি আগে শুনিনি। এ ধরনের তথ্য থাকলে আমরা কমিশনকে অবহিত করব। এসবের বিরুদ্ধে কমিশন কার্যকর ব্যবস্থা নেবে। 

দুদকের আইনজীবীদের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। আইনজীবীদের দক্ষ করার বিষয়ে আপনার গাইডলাইন...

বিষয়টি অনেকেই বলে থাকেন। আইনজীবীদের প্রায়ই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা দরকার। অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারলে ভালো করতে পারবে। দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আমি মনে করি আইনজীবীদের ফি বাড়িয়ে দেয়া উচিত। কেননা একজন আইনজীবীকে দুদক ছাড়াও অন্যান্য মামলা নিয়ে কাজ করতে হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন