আইফোনের স্থায়িত্ব কমানোর অভিযোগ ফ্রান্সের

বণিক বার্তা ডেস্ক

আইফোন ও অন্যান্য পণ্যের আয়ুষ্কাল বা স্থায়িত্ব সীমিত করার জন্য অ্যাপলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে ফ্রান্স। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্যারিসের একজন প্রসিকিউটর এ প্রযুক্তি জায়ান্টের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার পরিকল্পনা করছে। যেটা সেখানকার প্রতিযোগিতা, কনজিউমারস অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ফ্রড প্রিভেনশন বিভাগের ওপর অর্পণ করা হয়েছে। তারা প্রমাণ করার চেষ্টা করছে যে অ্যাপল ফ্রান্সের আইন ভঙ্গ করেছে। খবর টেক টাইমস। 

অ্যাপলের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্যারিসের প্রসিকিউটর গ্যাজেট ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানটিকে জরিমানা করতে পারবে। আর্স টেকনিকার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাপল একটি পরিকল্পিত ‘‌অবসোলেসিন বা বিলোপ পাওয়ার’ বিজনেস মডেল প্রয়োগ করছে তাদের বানানো পণ্যগুলোয়। যারা অবসোলেসিন বা বিলোপ পাওয়ার ব্যবসা মডেলের সঙ্গে পরিচিত নয়, তাদের উদ্দেশ্যে বলা যায়, এটি এমন একটি পদ্ধতি যেখানে কোনো একটি পণ্য এমনভাবে ডিজাইন করা হয় যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পণ্যের জীবনকাল সীমিত করে দেয়। 

দ্য রিপেয়ার অ্যাকাডেমির সিইও আলেক্সান্ডার আইজ্যাক বলেন, ‘‌অ্যাপল পণ্যের স্বল্পজীবনকাল একটি বড় সমস্যা এবং যেটা ক্রমাগত আরো খারাপ হচ্ছে।’ 

তিনি আরো বলেন, তার টিম সবসময় বাজারে নতুন আসা আইফোনগুলোর লক করা অংশ খুঁজে বের করে, যেমন মাদারবোর্ডে থাকা চিপ। এরপর বেশকিছু পার্টসের লিস্ট আবিষ্কার করে যেগুলোয় রিপেয়ার রেস্ট্রিকশন রয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ফেস আইডি, টাচ আইডি, ক্যামেরা, ডিসপ্লে ও ব্যাটারি। 

আইজ্যাক ব্যাখ্যা করেন, টেকনিশিয়ানদের টাকা দিতে গ্রাহককে বাধ্য করার অর্থ হলো যেন তারা তাদের ডিভাইসটি ঠিক করার বদলে সেটা বাতিল করতে বেশি উৎসাহিত হন। কারণ অ্যাপলের বিভিন্ন পণ্যের মেরামত করার খরচ কোনো সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন এবং অন্যান্য ব্যবহার করা অ্যাপল ডিভাইসের তুলনায়ও বেশ বেশি।

বিগত বেশ কিছু বছর ফ্রান্সের সরকার মেরামত করার অধিকার নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এটি ফ্রান্সের অনেক পদক্ষেপের একটি, যেখানে ইউরোপের প্রথম রিপেয়ারেবিলিটি স্কোরিং সিস্টেমকে সবার সঙ্গে পরিচিত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। 

ফ্রান্স এখন অ্যাপলের দিকে নজর দিচ্ছে এবং দেখছে তারা কীভাবে আইফোন এবং অন্যান্য গ্যাজেট ডিজাইন ও প্রস্তুত করে। আইফিক্সইট সাসটেইনেবিলিটির পরিচালক এলিজাবেথ চেম্বারলেইন বলেন, ‘‌ফ্রান্স এখন মেরামত করার অধিকারের বিষয়ে চাপ তৈরি করছে, এভাবে এর আগে আর কেউ করেনি। তিনি যোগ করেন, এবারই প্রথমবারের মতো অ্যাবসোলেসেন্সের বিরুদ্ধে কোনো আন্দোলন জাতীয়ভাবে হতে দেখা যাচ্ছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন