নবায়নযোগ্য জ্বালানির ভবিষ্যৎ

আজাদ আবুল কালাম , ব্যবস্থাপক-এফজিজি একশনএইড বাংলাদেশ

পৃথিবীর মোট গ্রীন হাউজ গ্যাস নিঃসরণের ৮৪ ভাগের জন্য দায়ী জীবাশ্ম জ্বালানি। বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতের জলবায়ুবান্ধব রূপান্তর ব্যতিত বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব না। প্যারিস জলবায়ূ চুক্তির মধ্য দিয়ে বৈশ্বিক জ্বালানি খাতের রূপান্তর বিশেষত কয়লা, তেল গ্যাসের মত জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে সৌর, বায়ূ জলবিদ্যূত্সহ অন্যান্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন ব্যবহারের প্রশ্নটি  জোরেসোরে সামনে আসে।

এক দশক ধরে বিশ্বজুড়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বেড়েছে। একইসাথে প্রযুক্তিরও বিকাশ ঘটছে। বিপরীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ প্রবণতা ধারাবাহিকভাবে কমছে। বাংলাদেশের বিদ্যুত্খাতের প্রায় ৯৭ শতাংশ তেল, গ্যাস কয়লাভিত্তিক আমদানিকৃত জ্বালানির উপর নির্ভরশীল, যার সক্ষমতা ২৬ হাজার মেগাওয়াট। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর থেকে জীবাশ্ম জ্বালানির বাজার অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে এবং এর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে।


পাশাপাশি ডলার সংকটের কারণে বাংলাদেশের পক্ষে নিয়মিত জ্বালানি মূল্য প্রদান করা ব্যহত হচ্ছে ফলে বিদ্যূত্খাতকে এর মূল্য দিতে হচ্ছে। বারবার জ্বালানি বিদ্যূতের দাম বৃদ্ধি করেও গ্রাহককে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যূৎ সরবরাহ করতে পারছে না সংশ্লিষ্ট দপ্তর। নবায়নযোগ্য জ্বালানি এই সমস্যার সবচাইতে ভাল সমাধান হতে পারে। এর জন্য প্রয়োজন এখাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি। শ্রেডা প্রণীত খসড়া সোলার এনার্জি রোডম্যাপ অনুযায়ী, ২৫ থেকে ৪০ হাজার মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে। সম্ভাবনা কাজে লাগানোর জন্য জাতিয় বাজেটে বরাদ্ধ বৃদ্ধির পাশাপাশি বেসরকারি বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করতে নীতি সহায়তা দেয়া প্রয়োজন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন