কার্যকর গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে পাটের বাজার সম্ভাবনার বিকাশ ঘটাতে হবে

পাট খাতে বিনিয়োগ রয়েছে আকিজ বশির গ্রুপের। নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনার প্রাক্কালে খাতের বর্তমান পরিস্থিতি, সম্ভাবনা চ্যালেঞ্জ নিয়ে বণিক বার্তা সঙ্গে কথা বলেছেন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ বশির উদ্দিন সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বদরুল আলম

বর্তমানে পাট খাতের চ্যালেঞ্জগুলো সম্পর্কে বলুন?

সরকার পাটকে শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বর্তমান ট্যাক্স রুল অনুযায়ী পাট সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে একটা উৎসে আয়কর কাটার নিয়ম আছে। উৎসে আয়করের সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। এটা কৃষকের ঘাড়ে গিয়ে পড়বে। পাট শিল্পের উৎপাদন ব্যয় বাড়বে। পাট শিল্পটি ছোট হয়ে আসছে। এটা উদ্বেগের। পাটপণ্যের সর্ববৃহৎ বাজার ছিল তুরস্ক। বাজারে দুই লাখ টনের চাহিদা এখন এক লাখ টনের নিচে নেমে এসেছে। দ্বিতীয় বৃহৎ বাজার ছিল চীন। এখন ভারত সবচেয়ে বড় বাজার। কিন্তু বাজারটি টেকসই না। দেশটির পক্ষ হতে অ্যান্টি-ডাম্পিং ডিউটি আরোপিত থাকার ফলে কয়েকজনের মধ্যে ব্যবসাটা নিয়ন্ত্রিত হয়। কারণ অ্যান্টি-ডাম্পিং ডিউটির হার বাংলাদেশের সব মিলারদের ক্ষেত্রে সমান নয়। এতে করে কিছু কিছু বাংলাদেশী মিলার ডিউটির ক্ষেত্রে লেভারেজ পায়, কিছু মিলার তা পায় না। ভিন্ন ভিন্ন ডিউটি হারের ক্ষেত্রে আমরাও সুবিধা পাই। কিন্তু ডিউটির হারে ভিন্নতা থাকা উচিত নয়। এটা জেনারালাইজ করলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হলে শিল্প টিকে থাকতে পারবে। এই অ্যান্টি-ডাম্পিং প্রত্যাহার করাতে অর্থনৈতিক কূটনৈতিক উদ্যোগ নেয়া উচিত।

পাট একটা কৃষিপণ্য। উৎপাদন পর্যায়ে ৭০-৭৫ শতাংশ হলো উপকরণ মূল্য। এরপর আছে শ্রমের মজুরি এবং অন্যান্য পরিষেবা। তিন ব্যয়ের ক্ষেত্র নির্বাহ করে কম মূল্যে ডাম্পিং করার কোনো সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের গবেষণা হতে পারে বাংলাদেশী মিলারদের ইনভয়েস মূল্য নিয়ে। ইনভয়েসের মূল্যের ক্ষেত্রে মিলে সর্বনিম্ন স্তরের কাটিং জুট, আর সর্বোচ্চ স্তরের জুট হচ্ছে ফাইন জুট, যেটা দিয়ে চিকন সুতা বানানো হয়। ধরনের ভিন্নতায় মূল্য পার্থক্য দু থেকে তিন গুণ। যেসব মিল কাটিং জুট দিয়ে উৎপাদিত সুতা বিক্রি করেছে, সেটার দাম স্বাভাবিকভাবেই কম, কারণ মিলগুলোর উপকরণ মূল্য ছিল কম। আর যার উপকরণ মূল্য বেশি তার ইনভয়েস মূল্য দেখে কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হলে সেটা মিসলিডিং হবে।

চলতি বছর একমাত্র জনতা-সাদাত বাদ দিয়ে গোটা পাট শিল্প নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির মধ্যে রয়েছে। এটা কোনো ভালো খবর নয়। বছর পাট খাত মারাত্মক খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। দুই বছর আগে পাটের মূল্যে অযৌক্তিক প্রবৃদ্ধি হয়, সেই সময় অনভিজ্ঞ ক্ষুদ্র পুঁজিপতিরা পাট মজুদ করতে শুরু করে। বাজারে সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছিল তারা। বিনিয়োগকারীদের কেউ কেউ ১০ বা ১২ হাজার টন পাট কিনে রেখে দিচ্ছে। কিনে মৌসুমে বিক্রি করবে না বিনিয়োগকারীরা। মজুদ করে রাখবে। যেহেতু এরা সংখ্যায় অনেক কিন্তু তাদের অনভিজ্ঞতার কারণে সরবরাহ পর্যায়ে পাটের দাম বেড়ে যায়। দুই বছর আগে পাটের সুতার দামের সঙ্গে সমন্বয়ে ওই পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সম্ভব হয়েছিল। এরপর বৈশ্বিক চাহিদা কমে যাওয়া, তুরস্কের ভূমিকম্প মিলিয়ে পাটের দামে ধারাবাহিক পতন ঘটছে। আমরা এখন যে মূল্যে বিক্রি করছি তা আমাদের ধারণা মতে গত ১৫ বছরের সর্বনিম্ন। সরকারের প্রণোদনা আছে। কিন্তু এক্ষেত্রে প্রণোদনা ছাড় করা নিয়ে সমস্যা রয়েছে। যার ফলে তারল্য সমস্যা রয়েছে।

আরেকটা সমস্যা হলো, পাটের দাম এত কমে যাওয়ার পরও আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যাপক মূল্য হ্রাস হয়েছে। ভলিউম গ্রোথ হচ্ছে না। এর একটা কারণ তুরস্কের ভূমিকম্প। দেশটি একক দেশ হিসেবে সবচেয়ে বড় রফতানি গন্তব্য। এছাড়া আরেকটা কারণ হলো ভারতের অ্যান্টি-ডাম্পিং ডিউটি। এর প্রভাবে শিল্পটি যতটা প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারত ততটা করতে পারছে না। পশ্চিম বাংলায় জুট কমিশন রয়েছে। বাংলাদেশে ধরনের কোনো কিছু নেই। সরবরাহ ব্যবস্থার মধ্যে হঠাৎ একদল মজুদদারের আবির্ভাব শিল্পকে ব্যাপক মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এদের তত্পরতা অব্যাহত থাকলে আগামীতে বাজার পরিস্থিতি নেতিবাচক হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

পাট খাতকে টেকসই করতে করণীয়গুলো কী?

পাট খাতে বৈচিত্র্যকরণের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকারের একাধিক উদ্যোগ রয়েছে। কিন্তু একটা পর্যায় পর্যন্ত গিয়ে সেগুলো কার্যকারিতা ধরে রাখতে পারেনি। এখন পর্যন্ত কোনো গবেষণাতেই বাণিজ্যিকভাবে সফল পণ্য উন্নয়ন সম্ভব হয়নি। পাটের বাজার সম্ভাবনার বিকাশ ঘটাতে হবে। প্রাথমিকভাবে পাটের ব্যবহার তিন-চার ধরনের। কার্পেটের ব্যাকিং হিসেবে শিল্পপণ্য, আরেকটা হলো স্যাকিং ম্যাটেরিয়াল হিসেবে বস্তা, আরেকটা হলো হেসিয়ান। তিনটি মৌলিক ব্যবহার ছাড়া কিছু সয়েল সেভার, শপিং ব্যাগ হিসেবে ব্যবহার হয়। অবস্থায় স্কেল আপ করতে গেলে বাংলাদেশে কার্পেট ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে ঝুঁকতে হবে। এছাড়া ব্যাগ উৎপাদনে যেতে হবে। উৎপাদন খরচ কমানোর দিকেও মনোনিবেশ করতে হবে। পাট উৎপাদনে যে যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয় সেগুলো অনেক পুরনো। প্রযুক্তিগত তেমন কোনো উদ্ভাবন হয়নি। কিন্তু সুযোগ রয়েছে। আমরা করার চেষ্টা করছি। বিদ্যুৎ, জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি, অপচয় কমানোর চেষ্টা করছি। এসব উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা পাটকে প্রতিযোগিতামূলক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। গোটা শিল্পে ঘটনাগুলো যতক্ষণ পর্যন্ত না ঘটানো যাবে, আগ্রহী ক্রেতাদের কাছে আকর্ষণীয় এবং অ্যাফর্ড করার মতো একটা পণ্য হিসেবে উপস্থাপন করা সম্ভব হবে না।

পাটের পচন পদ্ধতি প্রক্রিয়াকে কীভাবে আরো পরিবেশবান্ধব করা যায় সে বিষয়ে ভাবতে হবে। পাটের জাগ দেয়ার কাজটি জুলাই-সেপ্টেম্বরের মধ্যে করতে হয়, কারণ পানি থাকে। জাগ দেয়ার জন্য পানির বিকল্প বের করতে পারলে যেকোনো সময় পাটের জাগ দেয়া সম্ভব। এতে করে পাটের মানও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আকিজ বশির গ্রুপ পাট নিয়ে অনেক ধরনের গবেষণার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। পাটের ব্যবহার বৃদ্ধি নিয়ে আমাদের গবেষণা চলমান আছে। পাটের ভ্যালু চেইনে কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরকারি সহায়তা দরকার তার একটা মূল্যায়ন প্রয়োজন। পাটের বীজের ক্ষেত্রে শতভাগ ভারতীয় নির্ভরতা রয়েছে। এক্ষেত্রে সরকারের নীতি সহায়তার সুযোগ রয়েছে। দ্বিতীয়ত, পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা দরকার। পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত না হওয়ায় পাটের দাম বেড়ে যাওয়ার ঘটনা বিগত দিনগুলোয় ঘটেছে। পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার জন্য ফরিদপুরে কিছু কৃত্রিম নালা আছে। নালার মাধ্যমে ফরিদপুরজুড়ে পানি সরবরাহ হয়। ফরিদপুর, কুড়িগ্রাম অঞ্চলের নালাগুলোর মাধ্যমে পানির প্রবাহ ঠিক রাখতে পারলে অনেক সমস্যাই থাকে না। সামগ্রিকভাবে বলতে গেলে পাট পাটজাত পণ্যকে টেকসই করতে পণ্যগুলোর রফতানি বৃদ্ধি করতে হলে সরকারের নীতি সহায়তা প্রয়োজন আছে। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদার ওপর আমাদের নিয়ন্ত্রণ নেই।

পাটের উপাদন, চাহিদা সরবরাহ সম্পর্কে আপনাদের নিজস্ব কোনো সমীক্ষা আছে?

আকিজ গ্রুপের স্বাধীন সমীক্ষা অনুযায়ী, দেশে ১২ লাখ টন কাঁচাপাট উপাদন হয়। পরিমাণকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। তিন-চার বছর আগে ১০ লাখ টন পাট রফতানি হতো। গত দুই বছরের রফতানি ট্রেন্ড অনুযায়ী উৎপাদনের ১২ লাখ টন পাট থেকে আট থেকে সাড়ে আট লাখ টন কাঁচাপাট রফতানি হয়। স্থানীয় পর্যায়ে ব্যবহার হয় দুই থেকে আড়াই লাখ টন। পাট প্রাথমিকভাবে বস্তা তৈরিতে ব্যবহার হয়। সবচেয়ে বেশি পাটের বস্তা ব্যবহার হয় আলু সংরক্ষণের জন্য। কারণ আলু সংরক্ষণের ক্ষেত্রে পাটের বস্তার বিকল্প নেই। সরকার বছরে ৫০-৫৫ হাজার টন পাট ব্যবহার করে বিভিন্ন পণ্য যেমন ধান-চাল সংরক্ষণের কাজে। দেড়-দুই লাখ টন পাট ব্যবহার করা হয়ে ওঠে না।

গত দুই বছরে পাটজাত পণ্যে রফতানি আট থেকে সাড়ে আট লাখ টনের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। সুতা, বস্তা হেসিয়ানের মতো পাটজাত পণ্য উৎপাদনে জনতা-সাদাতের সক্ষমতা দৈনিক ৩০০ টন। প্রতিষ্ঠানটি এখন বাংলাদেশের শীর্ষ পাটজাত পণ্য রফতানিকারক। এখন বৈশ্বিক চাহিদা নিম্নমুখী। বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি পাটজাত সুতা আমদানিকারক দেশ ছিল তুরস্ক। দেশটি বছরে গড়ে দুই লাখ টন পাটজাত সুতা আমদানি করত। গত দুই বছরে যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। দেশটি পাটজাত সুতার বিকল্প হিসেবে একটি পণ্য ব্যবহার করছে। ঝুট পোশাক থেকে দেশটি কটন জেনারেট করে, যা পাটজাত সুতার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার হয়। এছাড়া স্যাকিং হেসিয়ান পণ্যের চাহিদাও সংকুচিত হয়েছে। বাংলাদেশের পাটের বস্তা রফতানি হতো আফ্রিকায়। ওই অঞ্চলের ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সেখানে রফতানি করা সম্ভব হচ্ছে না।

পাট খাতে আপনার সামগ্রিক অভিজ্ঞতা কেমন?

আমাদের মৌলিক ব্যবসা ছিল পাট। নতুন দুটি পাট কোম্পানি আমি অধিগ্রহণ করেছি। পাট খাতে আকিজ গ্রুপের অভিজ্ঞতা অনেক পুরনো। জনতা-সাদাত জুট মিলের মালিকানার মাধ্যমে পাট খাতে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলতে গেলে প্রবেশের পর আমার মনে হয়েছে, খাতটি কার্যকারিতার চেয়ে আবেগ দিয়েই পরিচালিত হয় বেশি। কৃষি থেকে শুরু করে পাট এবং পাটজাত পণ্যের ভোক্তা পর্যন্ত যে সুযোগ বাজারে রয়েছে, সেখানে অনেকগুলো ডট আছে। ডটগুলোর সংযোগ ঘটানো হয়নি সঠিকভাবে। ফলে খাতটির প্রকৃত সম্ভাবনা বিকশিত হয়নি। খাতটির বাণিজ্যিক সম্ভাবনা বিকশিত হওয়া প্রয়োজন। পাট পাটজাত পণ্যের ক্রেতাদের সঙ্গে আলাপচারিতায় আমার মনে হয়েছে, খাতের উন্নয়ন সম্ভাবনার মাত্রা অনেক বেশি ওপরে। বর্তমানে পাটজাত পণ্যের বেশির ভাগটাই র্যাপিং ম্যাটেরিয়াল। একটি পাটের বস্তার ক্ষেত্রে দেখা যাবে প্লাস্টিক বস্তার চেয়ে সেটা অপ্রয়োজনীয় ধরনের ভারী। আর পাট খাতের উন্নয়নের চেষ্টা হচ্ছে শুধু রাষ্ট্রীয় সহায়তা কাজে লাগিয়ে। কৃষিপণ্য বলে এতে রাষ্ট্রীয় সহায়তা লাগবেই। কিন্তু শিল্পকেও সঠিক সৃজনশীলতার মাধ্যমে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ শুধু নিয়ন্ত্রণমূলক সহায়তা কাজে লাগিয়ে শিল্পে বিপ্লব সম্ভব হবে না। আমার অভিজ্ঞতা বলে সম্ভাবনা অপার। খাতের ভ্যালু চেইনের প্রতি ক্ষেত্রেই অদক্ষতা আছে। আমাদের প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি সই করেছে। আমরা পাটের আইটেমগুলো সম্পর্কে আরো বেশি জানতে বুঝতে চাই। পাটের পচন প্রক্রিয়া বোঝার চেষ্টা করছি। এটার মাইক্রোবায়োলজিক্যাল বিষয়গুলো বোঝার চেষ্টা করছি। বিশ্লেষণগুলোর জন্য অনেক বিনিয়োগ করছি। কিছু সুফলও পেতে শুরু করেছি। তবে এগুলো দীর্ঘমেয়াদি কর্মকাণ্ড। আশা করছি একটা নেতৃত্বের জায়গায় আসতে পারব, যেটা খাতে প্রয়োজন ছিল। পাট একটা গোল্ডেন ইন্ডাস্ট্রি, যেটা বহুদিন ধরে অবহেলিত ছিল। এখানে উপযুক্ত প্রযুক্তি প্রক্রিয়া যুক্ত করার প্রয়োজন রয়েছে, যা আমরা শুরু করেছি। এছাড়া অন্য শিল্প প্রকল্পগুলোর দিকেও একই ধরনের উদ্ভাবনী বিষয়ে নজর রয়েছে। প্রকল্পসহ পণ্যের দিকেও বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকি। প্রকল্পের আগে আমরা পণ্য নিয়ে চিন্তা করি। আমাদের মানসিকতা অনেক বিশ্লেষণধর্মী। গবেষণাধর্মী কাজে বেশি গুরুত্ব দিই, যার ছাপ আমাদের সব পণ্যেই দৃশ্যমান। যার কারণে আমরা সেরা ব্র্যান্ডের স্বীকৃতিও পেয়েছি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন