ভারতে পাম অয়েল আমদানি ২৭ মাসের সর্বনিম্নে নামার আশঙ্কা

বণিক বার্তা ডেস্ক

ভারতে চলতি মাসে পাম অয়েল আমদানি কমে ২৭ মাসের সর্বনিম্নে নামবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ নজিরবিহীন মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে ক্রেতারা পণ্যটির ক্রয়াদেশ বাতিল করে দিচ্ছেন। অনেকের মধ্যে পণ্যটি আমদানিতে অনীহাও দেখা গেছে। বিপরীতে তারা সয়াবিন তেল ও সূর্যমুখী তেল আমদানিকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এসব তথ্য জানিয়েছে দেশটির ডিলার ও কার্গোর তথ্য সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।

ভারত বিশ্বের শীর্ষ উদ্ভিজ্জ তেল আমদানিকারক। দেশটিতে আমদানি এত বেশি মাত্রায় কমলে নিম্নমুখী চাপের মুখে পড়বে পাম অয়েলের বাজারদর। মালয়েশিয়া ও ‍ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের শীর্ষ দুই পাম অয়েল ‍উৎপাদক। দেশ দুটি বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় পাম অয়েলের দাম কমিয়ে দিতে পারে। যাতে অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী তেলের বিপরীতে পাম অয়েলের বাজার ধরে রাখা যায়।

এদিকে ভারতের আমদানি কমে যাওয়ার খবরে বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জে আগস্টে সরবরাহের জন্য চুক্তীকৃত পাম অয়েলের দাম ১ দশমিক ৮৫ শতাংশ কমেছে। প্রতি টনের মূল্য স্থির হয়েছে ৩ হাজার ৩৬৫ রিঙ্গিতে। 

ডিলাররা জানান, চলতি মাসের প্রথম ২০ দিনে ভারতের বিভিন্ন বন্দরে ২ লাখ ৬১ হাজার টন পাম অয়েল খালাস করা হয়েছে। বাকি ১১ দিনে আরো দেড় লাখ টন খালাসের কথা রয়েছে। অর্থাৎ মোট খালাসের পরিমাণ দাঁড়াবে ৪ লাখ ১১ হাজার টনে।

সলভেন্ট এক্সট্রাক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (এসইএ) জানায়, ২০২২-২৩ মৌসুমের প্রথম ছয় মাসে ভারতের গড় মাসভিত্তিক পাম অয়েল আমদানি দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ১৮ হাজার ২০৩ টনে। গত বছরের নভেম্বরে এ মৌসুম শুরু হয়েছে। 

জিজিএন রিসার্চের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজেশ প্যাটেল বলেন, ‘‌প্রতিযোগিতামূলক দামের কারণে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে পাম অয়েলের জায়গা দখল করে নিয়েছে সূর্যমুখী তেল।’

এপ্রিলে ভারতের ক্রেতারা কয়েক বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো বড় পরিসরে পাম অয়েলের ক্রয়াদেশ বাতিল করে দেয়। শিল্পসংশ্লিষ্টদের ধারণা, চলতি মাসে পণ্যটির আমদানি কমে সাত লাখ টনে নামতে পারে।

দ্রুত জাহাজীকরণ ও কম দামের কারণে এশিয়ার মূল্যসংবেদনশীল ক্রেতারা প্রথাগতভাবে পাম অয়েলের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু বর্তমানে পাম অয়েলের তুলনায় অন্যান্য ভোজ্যতেলের দাম কম। কারণ এ বছর এসব তেলের উৎপাদন বেশি হয়েছে।

ডিলাররা জানান, চলতি মাসে ভারতে সূর্যমুখী তেল আমদানি এক মাসের ব্যবধানে ২৮ শতাংশ বাড়তে পারে। আমদানির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ৩ লাখ ১৯ হাজার টনে। অন্যদিকে সয়াবিন তেল আমদানি ১৬ শতাংশ বেড়ে ৩ লাখ ৫ হাজার টনে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন