প্রথম প্রান্তিকে লাফার্জ হোলসিমের বিক্রি বেড়েছে ৩৭%

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিমেন্ট খাতের কোম্পানি লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের চলতি ২০২৩ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) আগের হিসাব বছরের একই সময়ের তুলনায় বিক্রি বেড়েছে ৩৭ শতাংশ। এক্ষেত্রে নতুন পণ্য, উদ্ভাবনী সমাধান, টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সেবা, ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট এবং নতুন নতুন চ্যানেল স্থাপন এ বিক্রি বৃদ্ধির পেছনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে বলে মনে করছেন কোম্পানি-সংশ্লিষ্টরা। গতকাল প্রকাশিত বহুজাতিক কোম্পানিটির চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। 

প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের সমন্বিত বিক্রি হয়েছে ৮৫৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৬২৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির বিক্রি বেড়েছে ৩৭ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানির পরিচালন মুনাফা হয়েছে ২৪৩ কোটি ২০ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১২৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। বছরের ব্যবধানে এ মুনাফা বেড়েছে ৯০ শতাংশ। চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১৯০ কোটি ৯০ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৯৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। সে হিসাবে বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে ১০২ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৬৪ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৮১ পয়সা। গত ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির সমিন্বত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ১১ পয়সায়। 

এ বিষয়ে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী ইকবাল চৌধুরী বলেন, পণ্যের বৈচিত্র্য, উদ্ভাবনী সমাধান, ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট ও নতুন নতুন চ্যানেল স্থাপনের কারণে আমরা আলোচ্য সময়ের এ আর্থিক ফলাফল অর্জনে সক্ষম হয়েছি। পাশাপাশি আমরা আমাদের জিওসাইকেল প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রাহকদের টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সেবা দিচ্ছি। ভবিষতেও ভালো ব্যবসা করার জন্য ডিজিটাল ফুটপ্রিন্টের পাশাপাশি চ্যানেল বাড়ানো, অ্যাগ্রিগেটস ব্যবসা, নতুন পণ্য ও উদ্ভাবনী সমাধানগুলোর ওপর জোর দেন তিনি।

লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের পর্ষদ সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৫ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে। এর বাইরে আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটি দুই দফায় ১৫ ও ১৮ শতাংশ হারে অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল, যা এরই মধ্যে বিতরণও সম্পন্ন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে আলোচ্য হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের কোম্পানিটি মোট ৪৮ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা কোম্পনিটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ। ঘোষিত লভ্যাংশ ও অন্যান্য এজেন্ডায় বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে আজ বেলা ৩টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করেছে কোম্পানিটি। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ছিল গত ২৭ মার্চ।

২০২২ হিসাব বছরে কোম্পানিটির নিট বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২ হাজার ৫৩ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট বিক্রি বেড়েছে ১৫ শতাংশ। ২০২২ হিসাব বছরে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৪৪৪ কোটি ৮১ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৩৮৮ কোটি ১৯ লাখ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে প্রায় ১৫ শতাংশ। সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৮৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৩ টাকা ৩৪ পয়সা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন