হিলি স্থলবন্দর

সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১৫ টাকা

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, হিলি

সপ্তাহের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে দেশীয় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১৫ টাকা। ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় দেশীয় পেঁয়াজের চাহিদা বেড়েছে। কারণেই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে পণ্যটি। দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আবারো আমদানির অনুমতি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন বন্দরের আমদানিকারকরা।

হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সব দোকানেই পর্যাপ্ত পরিমাণ পেঁয়াজের সরবরাহ রয়েছে। এর পরও দাম ঊর্ধ্বমুখী। ঈদের আগে যে পেঁয়াজ ৩৫ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছিল তা বর্তমানে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, ‘আমি স্থানীয় একটি এনজিওতে মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করি। আমার একার আয় দিয়ে সংসার চলে। আমাদের আয় তো সীমিত। কিন্তু যে হারে পণ্যের দাম বাড়ছে তাতে আমাদের মতো মানুষদের জীবন ধারণ করা অসম্ভব হয়ে পড়ছে। ঈদের আগে যে পেঁয়াজ ৩৫ টাকা দরে কিনেছি তা এখন ৫০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। বাজারে পণ্যের দামের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। যে যার মতো দাম বাড়াচ্ছে।

হিলি বাজারের পেঁয়াজবিক্রেতা শাকিল খান বলেন, ‘প্রায় দেড় মাস ধরে ভারত থেকে আমদানি বন্ধ। যার কারণে বেশ কিছুদিন ধরেই দেশীয় পেঁয়াজ দিয়েই চাহিদা মেটানো হচ্ছে। আগে শুধু পাবনা অঞ্চল থেকে পেঁয়াজ এলেও এখন নাটোর অঞ্চলের পেঁয়াজও আসতে শুরু করেছে। মোকামে পেঁয়াজের সরবরাহ বেশ ভালো রয়েছে। তার পরও দাম বেশি। আগে যে পেঁয়াজ মণপ্রতি হাজার ২০০ টাকায় মোকাম থেকে কিনেছি, এখন তা কিনতে হচ্ছে হাজার ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়। মণপ্রতি ৪০০-৫০০ টাকা দাম বেড়েছে। এর সঙ্গে পরিবহনসহ অন্যান্য ব্যয় তো আছেই। আমরা ৪৮ টাকা পাইকারি বিক্রি করছি। খুচরা বাজারে যা ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আমদানি শুরু হলে দেশীয় পেঁয়াজের ওপর থেকে চাপ কমে আসবে।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘১৫ মার্চ থেকে হিলিসহ দেশের সব বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ। এতে বিভিন্ন মোকামে আমাদের বকেয়া আছে। নতুন করে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে না। যার কারণে মোকামগুলোয় পেঁয়াজ দিতে পারছি না। এতে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছি। আমদানি বন্ধ থাকায় চাষীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দিনাজপুরের সহকারী পরিচালক মমতাজ বেগম বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রুখতে আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি, মাঠপর্যায়ে কাজ করছি। কেউ যদি অন্যায়ভাবে দাম বাড়ায় সেক্ষেত্রে জরিমানাসহ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সঙ্গ নিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সঙ্গ নিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, ‘পেঁয়াজ আমদানির জন্য অনুমতির সময়সীমা ছিল গত ১৫ মার্চ পর্যন্ত। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত নতুন করে কোনো পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়নি সরকার। নতুন করে কবে অনুমতিপত্র (আইপি) দেবে তা আমাদের জানা নেই।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন