সুদানে গৃহযুদ্ধের শঙ্কা বাইডেনের

বণিক বার্তা অনলাইন

নিউজ উইকের ছবি।

কয়েক দিন ধরেই আধাসামরিক বাহিনীর সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ চলছে সুদানে। এমন অবস্থায় দেশটিতে গৃহযুদ্ধের শঙ্কা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বাইডেনকে উদ্ধৃত করে হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এখনই সহিংসতা বন্ধ না হলে দীর্ঘমেয়াদে সংঘাতের মুখে পড়বে দেশটি।

রোববার (২৩ এপ্রিল) জো বাইডেন বলেছেন, সুদানের পরিস্থিতি যেদিকে তা গৃহযুদ্ধে পরিণত হতে পারে। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। দুই পক্ষই যেন আলোচনার ভিত্তিতে সংকট সমাধানে এগিয়ে আসে, এই আমাদের আহ্বান। এরই মধ্যে সেখানে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আমরা চাই না পরিস্থিতি আরো খারাপ হোক।

এদিকে সুদান সরকারের অভিযোগ, বিদ্রোহী প্যারা মিলিটারি বাহিনী অস্ত্রবিরতি প্রত্যাখ্যান করায় সহিংসতা অব্যাহ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সুদানের অবরুদ্ধ রাজধানী খার্তুম থেকে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশী নাগরিকদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

সুদানের ডেপুটি সেনাপ্রধান জেনারেল আব্দেল হাম্মাদ বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল এই চুক্তির মাধ্যমে বেসামরিকদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া। এর পাশাপাশি অবরুদ্ধ এলাকাগুলোয় খাবার, পানি এবং জরুরি ত্রাণ পৌঁছানো। কিন্তু বিদ্রোহীরা এই অস্ত্রবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। তাদের লক্ষ্য সুদানকে অস্থিতিশীল করে তোলা যাতে বিদেশি শক্তি এখানে নাক গলানোর সুযোগ পায়। কিন্তু আমরা সে সুযোগ আরএসএফকে দেবো না।

অন্যদিকে, আরএসএফ প্রধান হামদান দাগালো বলেন, দেশজুড়ে যে সহিংসতা তার জন্য দায়ী সেনাপ্রধান নিজেই। তার কারণেই আমরা গণতান্ত্রিক চর্চা থেকে ছিটকে পড়েছি। যতক্ষণ না জেনারেল বুরহান এবং তার বন্দুকবাজ অনুসারীরা আত্মসমর্পণ করছেন ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা লড়াই চালিয়ে যাব।

প্রতি মুহূর্তে বিস্ফোরণে প্রকম্পিত হচ্ছে খার্তুমের বিভিন্ন এলাকা। অবরুদ্ধ রাজধানীর পথে পথে চলছে সামরিক বাহিনী আর বিদ্রোহী আরএসএফের টহল। অস্ত্রবিরতি সত্ত্বেও চলছে লড়াই। সহিংসতার জন্য উভয় পক্ষ দোষারোপ করছে পরস্পরকে।

এদিকে, খার্তুমে আটকে পড়া বিদেশঅদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে ৬টি সামরিক বিমানে করে সরিয়ে নেয়া হয়েছে মার্কিন নাগরিকদের। অন্যদিকে, সৌদি আরবের উদ্যোগে সরানো হয়েছে জর্ডানসহ বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিকদের।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন