তৃতীয় প্রান্তিকে ওয়ালটনের মুনাফা বেড়েছে

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির তৃতীয় প্রান্তিকে মুনাফা বেড়েছে। চলতি হিসাব তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি ২০২৩-মার্চ ২০২৩) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। গতকাল কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সভায় ওই প্রতিবেদন অনুমোদন দেয়া হয়।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত (তৃতীয় প্রান্তিক) প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৮ দশমিক ২৫ টাকা। এ সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) পুনর্মূল্যায়ন ব্যতীত দাঁড়িয়েছে ২২৪ দশমিক ৫৭ টাকা এবং পুনর্মূল্যায়নসহ ৩২৭ দশমিক ৮৪ টাকা। তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৭৩ দশমিক ৭০ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৫০ দশমিক ৪৯ গুণ বেশি। এছাড়া চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির সার্বিক ঋণের পরিমাণ কমেছে।

তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির মজুদ-পণ্যের ওপর অধিকতর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা এবং রিসিভেবলসের উন্নতি হয়েছে। কোম্পানির সব খরচের ওপর পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ এবং সম্পদের সঠিক ব্যবহারের ফলে উল্লেখযোগ্য হারে নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) বেড়েছে। এদিকে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই ২০২২-মার্চ ২০২৩) কোম্পানির পরিচালন মুনাফা দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এ সময়ে বিক্রয় এবং ঋণের বিপরীতে আর্থিক ব্যয়ের শতকরা হার দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৪ দশমিক ৭৯ এবং ১৫ দশমিক ৮০ শতাংশ, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ২ দশমিক ৭৯ এবং ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। 

এ সময়ে বাংলাদেশী মুদ্রার মান কমে যাওয়ায় কোম্পানিটি ৩৯২ দশমিক ৭৪ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল মাত্র ৪৪ দশমিক ১৮ কোটি টাকা। তৃতীয় প্রান্তিক শেষে কোম্পানির মোট আর্থিক ব্যয় হয়েছে ৬০৪ দশমিক ৭৯ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল মাত্র ১৪৯ দশমিক ৬০ কোটি টাকা। যার ফলে ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির কর-পরবর্তী মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১১ শতাংশ। —বিজ্ঞপ্তি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন