সর্ববৃহৎ বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল ‘সিরাজগঞ্জ ইকোনমিক জোন’

সিরাজগঞ্জ সদরের সয়দাবাদ ইউনিয়ন ও বেলকুচি উপজেলায় গড়ে উঠেছে সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চল ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। যেখানে বেসরকারি খাতের সক্রিয় অর্থনৈতিক অঞ্চল ১২টি, যার মধ্যে সবচেয়ে বড় সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চল। এটি গড়ে তোলার গল্পটা বণিক বার্তার পাঠকদের উদ্দেশে বলবেন।

এখানে আমরা ১১টা বিজনেস হাউজ সম্মিলিত হয়ে কাজটি করছি। আমাদের সবাই রফতানিমুখী শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত, যে কারণে আমাদেরপ্রায়ই দেশের বাইরে যেতে হয়। সেখানে আমরা দেখি, তাদের কল-কারখানাগুলো শৃঙ্খলা সাজানো এলাকায় অবস্থিত। থেকেই ধারণাটা এসেছে। অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়ন বাংলাদেশের জন্য নতুন হলেও আমাদের প্রতিবেশী দেশ থেকে শুরু করে এশিয়া, ইউরোপে কোথাও নতুন ধারণা নয়। আমাদের দেশে ধারণাটা সরকারের পক্ষ থেকেই প্রথম উত্থাপন করে একটি কর্তৃপক্ষ তৈরি করা হয়, যা বেজা (বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ) নামে পরিচিত। আমরা জানতে পারি, বেজায় প্রাইভেট লাইসেন্স দেয়া হচ্ছে। সে পরিপ্রেক্ষিতে সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চল করা। তবে বিষয়টি মোটেও এমন নয় যে আমরা ১১টা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান মিলে রাতারাতি বসে সব করে ফেলেছি। অনেক আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এটি বর্তমান আকার ধারণ করেছে। তাছাড়া আজ থেকে পাঁচ বা ১০ বছর পর আমাদের জন্য যে চ্যালেঞ্জ আসবে তা হলো, আমরা চাইলেই ইন্ডাস্ট্রি করার জন্য জমি কিনতে পারব না।


তাহলে আপনারা ১১ জন উদ্যোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত? অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য সম্মিলিত হওয়ার এমন দৃষ্টান্ত বিরল। এটা কীভাবে সম্ভব হলো?

আমরা ১১টা বিজনেস হাউজ। আমি মনে করি না এটা বিরল। অর্থনৈতিক অঞ্চলের ক্ষেত্রে এটি বিরল হতে পারে। বাংলাদেশে ব্যাংক, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি বা অন্য যেসব করপোরেট প্রতিষ্ঠান আছে, যেখানে অনেকেই মিলে কাজটি করছে। যা বললাম, আমাদের অধিকাংশই রফতানিমুখী শিল্প। আরো যদি সংক্ষিপ্ত করি, তাহলে বলতে হয় আমাদের অধিকাংশই টেক্সটাইল আরএমজির লোক।

অন্যান্য অর্থনৈতিক অঞ্চল থেকে সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চলের ভিন্নতা, মৌলিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে চাই।

অন্যান্য অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো সাধারণত সংগঠন, কোম্পানি বা গ্রুপ অব কোম্পানির ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে বড় আকারে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। আমাদের ইকোনমিক জোন সবার জন্য উন্মুক্ত। এখানে বাইরের ব্যবসায়ীরা যেন ফ্রিতে প্রবেশ করতে পারেন, কার্যক্রম চালাতে পারেনতা নিয়ে আমরা কাজ করছি। অন্যান্য অর্থনৈতিক অঞ্চলে এমনটা নেই যে পুরো জমি কেউ চাইলে দিয়ে দেবে। অন্য অর্থনৈতিক অঞ্চলের মালিকরা নিজেদের ব্যবসার জন্য ৭০-৮০ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করেছেন। কাজেই সেখানে যে বৈষম্য থাকবে আমাদের এখানে তা থাকবে না। আমাদের অঞ্চলটা উন্মুক্ত থাকবে। দেশী কিংবা বিদেশী যে কেউ চাইলে এখানে কারখানা স্থাপন করতে পারবেন। অ্যাকচুয়াল ইকোনমিক নিউট্রাল জোন হিসেবে আমাদের এখানে সুযোগ-সুবিধা বেশি।

গ্রিন ইকোনমিক জোনের প্রেক্ষাপটে আপনাদের কোনো ভিন্নতা আছে কি?

ভিন্নতা আছে, আবার নেই। অন্য যাদের প্রাইভেট ইকোনমিক জোন আছে তারা গ্রিন করতে পারবেন না এমন না। আমাদেরটা গ্রিন হবেএটা নিশ্চিত। আমরা ইকোনমিক জোন তৈরির লাইসেন্স পেয়েছি। আমরা যা করছি তা প্রকৃত অর্থেই ইকোনমিক জোন। আমরা যদি অন্যদের কলকারখা তৈরির সুযোগ না দিই তাহলে রাষ্ট্র সরকারের চিন্তা তো প্রতিফলিত হলো না। আমরা যারা উদ্যোক্তা তাদের কারখানা তৈরির সুযোগ আছে। আমরা চাইলে করতে পারি আবার নাও করতে পারি। অন্যদের জন্য উন্মুক্ত রেখেছি। অন্যরা চাইলে জমি লিজ নিয়ে এখানে কারখানা করতে পারবেন।

অন্যান্য অর্থনৈতিক অঞ্চলে বাইরের কেউ অংশগ্রহণ করতে পারছেন না?

খুবই কম। বেসরকারি যেগুলো আছে সেখানে নিজেদেরই কারখানা, অথবা নিজেদের খুব কাছের কারো ফ্যাক্টরি রয়েছে। অধিকাংশ জমিতে তাদের কারখানার হয়ে গেছে।

এখনো পর্যন্ত যেসব বিনিয়োগ নিয়ে আপনারা চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন সে সম্পর্কে জানতে চাই

দুই ধরনের বিনিয়োগ রয়েছে। এক. যারা ইন্ডাস্ট্রি করবে বলে জমি কিনেছে যারা লিজ নিয়েছে। রকম ১৩টি কোম্পানি আমাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। দুই. বাইরের কোম্পানিকে আমন্ত্রণ করা। যারা এখানে সরাসরি জমি লিজ নেবে, ক্রয় করবে এবং বিনিয়োগ করবে। এটা আমরা এখনো ওপেন করিনি। আমরা অবকাঠামো নিয়ে কাজ করছি, যা বছরের শেষে দৃশ্যমান হবে। কারণ বিদেশী কোম্পানিকে আমন্ত্রণ জানানোর পর তাদের আমরা সময়মতো জমি অন্যান্য অবকাঠামো বুঝিয়ে দিতে চাই। যেন আমাদের কোম্পানি দেশের ভাবমূর্তির কোনো ক্ষতি না হয়। বছরের শেষ নাগাদ আমরা এটি উন্মুক্ত করব।

এখন পর্যন্ত অবকাঠামোগত উন্নয়ন কতটুকু হয়েছে?

শতকরা হিসেবে বলতে গেলে মাটি বালি ভরাট, স্থানীয় বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের মতো প্রধান প্রতিবন্ধকতাগুলো আমরা সম্পন্ন করেছি। প্রায় ৫০-৬০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।

আমরা ইপিজেডের কথা জানিএখানে সরকারের এক ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা ছিল। বেসরকারি খাতের মাধ্যমে অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়ন হবে, বেসরকারি খাত বিনিয়োগ করবে ধারণা অন্যান্য দেশে থাকলেও বাংলাদেশে তুলনামূলক নতুন। পর্যন্ত আপনাদের অভিজ্ঞতা কেমন?

আমাদের অভিজ্ঞতা দুই রকমের। আপনি যেমনটা বললেন, বাংলাদেশে হয়নি। বাংলাদেশে অনেক কিছুই হয়নি। আমরা যদি আমাদের অভিজ্ঞতায় আসি তাহলে দেখা যাচ্ছে, প্রথমে ভূমি উন্নয়নকাজ করতে হয়। দ্বিতীয়ত, রাস্তা কিনতে হয়। তৃতীয়ত, আমাদের গ্যাস লাইন, বিদ্যুৎ লাইন আনতে হয়। এগুলো আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তারপর পানি নিষ্কাষণের কাজ করতে হয়। নতুন নতুন সাইটে গেলে চার-পাঁচটি বড় কাজ আমাদের নতুন করে করতে হয়। ইকোনমিক জোন বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্টেইট বলেন, যেখানে জমি প্রস্তুত থাকবে। সড়ক, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি সব ধরনের ব্যবস্থা থাকবে। এটা হয়তো বাংলাদেশের বুঝতে করতে দেরি হয়েছে। এখন আমরা করছি। আমাদের এখানে ইউটিলিটি, গ্যাস, বিদ্যুৎ পৌঁছানোর প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। সরকারের কাছে কিন্তু ধারণাটা নতুন। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে বলছে করবেন কিন্তু নিম্ন পর্যায়ে এটা এখনো ধারণ করতে পারেনি। তবে কাউকে না কাউকে তো শুরু করতে হয়। আমরা শুরু করছি। পরবর্তী সময়ে যারা আসবে তাদের জন্য কাজটা সহজ হবে। 

আপনারা আন্তর্জাতিক ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত। বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনীতি অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। প্রেক্ষাপটে অর্থনৈতিক অঞ্চলের কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়েছে বলে কি মনে করেন?

ব্যবসা কখনো এককভাবে করা যায় না। বিভিন্ন ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। আমাদের এখন চিন্তা করতে হবে কী উপায়ে আমরা বিপদ থেকে বাঁচতে পারি। আমার মনে হয়, আমাদের চিন্তাকে উন্মুক্ত করা জরুরি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। চীন আগে একসেস অব পাওয়ারে ছিল না, এখন হচ্ছে। ইউরোপ, রাশিয়া থেকে গ্যাস না কিনে চার গুণ দামে আমেরিকা থেকে কিনছে। স্বাভাবিকভাবেই চীন থেকে অনেক কারখানা-কার্যক্রম স্থানান্তরিত হবে। এগুলো কোথায় যাবে? এখানে আমাদের সুযোগ রয়েছে। আমরা যদি এখন বসে থাকি, পরিস্থিতি ভালো হতে হতে সুযোগ অন্যদের কাছে চলে যাবে। আমার মনে হয়, অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য দৌড়ানো দরকার। এগুলো প্রস্তুত করে ফেলতে হবে। তাহলে ব্যবসাটা আমরা ধরতে পারব।

আমাদের সরকার, ব্যবসায়ীসহ সবাইকে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় নামতে হবে। কালকের মধ্যেই টাকা আসবে না, এটা দীর্ঘমেয়াদি বিষয়। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হলে চীনের যে ব্যবসাগুলো স্থানান্তরিত হবে, ভিয়েতনামে যে ব্যবসাগুলো শিফট হবে, তা আমাদের কাছে আসবে। ভারতের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তারা নিজেরা অনেক কিছুই পারে না। আমরা তা তৈরি করে তাদের দিতে পারি। আমাদের রফতানি অঞ্চলের অবস্থানটা গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের সঙ্গে আমাদের সড়ক, নদী, রেল সংযোগ রয়েছে। আমাদের ভৌগোলিক অবস্থানটা ভীষণ উপযুক্ত একটি স্থানে। ভারত অনেক ক্ষেত্রে মানসম্পন্ন পণ্য তৈরির সীমাবদ্ধতা রয়েছে। উন্মুক্ত অর্থনীতির মাধ্যমে আমরা চীন, থাইল্যান্ড থেকে কাঁচামাল এনে তা প্রক্রিয়াজাত করে ভারতে রফতানি করতে পারি। এখন আমাদের প্রয়োজন ভারতের বাজারে ট্যারিফ ফ্রি অ্যাকসেস। এখানে কিন্তু আমাদের সরকার ব্যবসায়ীরা ব্যর্থ। এর যদি সমাধান না করতে পারি, তাহলে আমাদের অনেক বড় একটি বাজার নষ্ট হবে। ভারত আমাদের জন্য অনেক বড় মার্কেট। ভারতের বাজারে ব্যবসার জন্য সিরাজগঞ্জ ইকোনমিক জোন খুবই ভালো অবস্থানে আছে।

আমাদের জমিস্বল্পতা আছে, জ্বালানি অনিশ্চয়তা এখন পর্যন্ত কাটেনি, অপ্রতুল পরিষেবাসহ কারখানা স্থাপনে নানা ধরনের অপর্যাপ্ততা বিদ্যমান। অবস্থায় অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো কী পরিমাণ বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারবে বলে মনে করেন?

এগুলো আগে থেকেই আমাদের পরিকল্পনায় থাকা উচিত ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তা হয়নি। আমাদের অর্থনৈতিক অঞ্চলের বড় সুবিধা কাছেই নদীবন্দর, আইসিডি গায়ে লাগানো, জেটি পাশে, পানির কোনো চিন্তা নেই। অন্য সুযোগ-সুবিধাও বিদ্যমান। সব ক্ষেত্রেই লোকেশন ওয়াইজ আমরা সুইটেবল। অন্য অর্থনেতিক অঞ্চলগুলোয় হয়তো এর কিছু সুবিধা থাকবে, কিছু থাকবে না।

অর্থনৈতিক অঞ্চলের ভেতরের বিনিয়োগ আর বাইরের বিনিয়োগ নীতির মধ্যে এক ধরনের বৈষম্যের কথা ব্যক্তি খাত থেকেই উঠে আসে। কারণে সামনের দিনে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হবে কিনা? সবাই অর্থনৈতিক অঞ্চলের ভেতরে বিনিয়োগ নাও করতে চাইতে পারেন।

বাইরে একটি কারখানা করতে গেলে অনেক সমস্যা থাকে। দেশেরও অনেক রিসোর্স নষ্ট হয়। আমি যদি দশটা ইন্ডাস্ট্রি করি, তাহলে ইউটিলিটির জন্য ১০ ধরনের পাইপ লাগবে। ১০ থেকে ১২বার মাটি খোঁড়া হবে। ১০টা পাইপ ১০ মাইল করে যাবে। ১০টা রাস্তা তৈরি করতে হবে। কিন্তু আমি যদি নির্দিষ্ট অঞ্চলে ১০টা ইন্ডাস্ট্রি করি তাহলে এক পাইপের মাধ্যমে কাজগুলো সম্পন্ন হবে। ভবিষ্যতে যারা ইন্ডাস্ট্রি করবেন তারা এদিকেই ঝুঁকবেন। বাংলাদেশে জমি নির্বাচন করা, পাওয়া, ডকুমেন্টেশন করা ভেরি ভেরি বিগ টাস্ক। কোনো ব্যবসায়ী যদি প্রস্তুতকৃত জমি পান, তাহলে তো অর্ধেক কাজ হয়ে যায়। যা অনেক বড় সুবিধা। যদি ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল করতে পারি তাহলে কেউ আর বাইরে ইন্ডাস্ট্রি করবে বলে মনে হয় না।

যারা অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরে আছেন, বাইরে বিনিয়োগ করেছেন, তারা তো এক ধরনের বৈষম্যের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। তারা চাইলেই সুবিধাটা পাবেন না। এর কারণে তারা কি নিরুৎসাহিত হবেন না?

তারা নিরুৎসাহিত হবে না। আর তারা মানে তো আমরা। আমরাই তো আগে বাইরে বিনিয়োগ করেছি। নিয়ে আমাদের আলাদা স্টাডি রয়েছে। বাইরের কারখানাগুলো তাদের মতো করে চলবে। কিন্তু এখানে ভিন্ন। এখানে আমি ট্যাক্স সুবিধা পাব। ওখানে আমি পাব না জেনেই করেছি। কাজেই ওটার সঙ্গে আমার সম্ভব্যতা সমীক্ষা আলাদা। ভবিষ্যতে আমি আর ওখানে বিনিয়োগ করব না। বৈষম্য না বলে ইকোনমিক জোনের বাড়তি কিছু সুবিধা বলা যায়। বিনিয়োগকারীদের আকর্ষিত করতে সুবিধা দেয়া হচ্ছে। বিশৃঙ্খলা না করে, তাদের শৃঙ্খলার মধ্যে আসতে হবে। তবে ট্যাক্স সুবিধাও সাময়িক- বছরের জন্য।

বাইরে যারা বিনিয়োগকারী আছেন, তাদের জন্য কোনো পরামর্শ?

আমরা যখন একটা জোনে চলে যাব, তখন স্থানীয় ব্যবসায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরো ভালো হবে। সরকার অনেক কিছুই বলেছে, কিন্তু তা বাস্তবায়ন করতে পারছে না। ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার (ওএসএস), ইমিডিয়েট লাইনএগুলো নামে আছে, এগুলোকে প্রকৃতার্থে কার্যকর হতে হবে। বিষয়ে আরো সচেতন হতে হবে। এসব সুবিধা আমরা যদি পাই, তাহলে বাংলাদেশের শিল্পের জন্য অনেক বড় অর্জন হবে। 

 

শ্রুতলিখন: আরফিন শরিয়ত

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন