আজ ওয়াশিংটনে মোমেন-ব্লিংকেন বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক

যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে আজ দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী . কে আব্দুল মোমেনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। স্থানীয় সময় বেলা ২টায় বৈঠকটি হতে পারে। আলোচনায় দুই দেশের অর্থনৈতিক, মানবিক সহযোগিতার মতো বিষয়গুলোসহ বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনও গুরুত্ব পাবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সরকারি আমন্ত্রণে সে দেশে পৌঁছেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী . কে আব্দুল মোমেন। এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন তিনি। ১৩ এপ্রিল তার ঢাকা ফেরার কথা।

সফর শুরুর আগে এপ্রিল রাজধানীর একটি হোটেলে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অংশ নেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। অনুষ্ঠান শেষে যুক্তরাষ্ট্র সফর সেখানে আলোচনা প্রসঙ্গে জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি যাব। ওনার রিকোয়েস্ট আমি সানন্দে গ্রহণ করেছি। আমেরিকা আমাদের সবচেয়ে বড় বন্ধু দেশ। তারা আমাদের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী দেশ। আমাদের রফতানির নম্বর সিঙ্গেল কান্ট্রি ডেসটিনেশন। আমেরিকা সম্প্রতি আমাদের দুর্যোগের সময়, আমাদের যখন কভিড হয়েছিল, আমেরিকাই একমাত্র কান্ট্রি, যারা প্রায় ১০০ মিলিয়ন ভ্যাকসিন দিয়েছে। বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছে। আমরা কিনেছি বা অনেকে আমাদের দান করেছেন। সেক্ষেত্রে তারা ট্রান্সপোর্টটা দিয়েছে। আমেরিকান ইজ সাচ জেনারাস কান্ট্রি। তারা সেইটা আমাদেরকে দেয়ার ফলে উই ম্যানেজড কভিড ভেরি এফিশিয়েন্টলি। আর রোহিঙ্গারা আসার পরে যে কান্ট্রি সবচেয়ে বেশি মানবিক সহায়তা করেছে সেটা আমেরিকা। এবং দিয়ে যাচ্ছে। তো সেই দেশে আমি যাচ্ছি। আমি নিশ্চিত তাদের প্রশংসা করব।

সেখানে অনেক কিছু আলাপ হবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলাপ হবে। আমাদের ট্রেড যাতে বাড়ানো যায়, সেই নিয়ে আলাপ হবে। তারা একটি ইস্যু আমাদের কাছে প্রায়ই  তোলে, তারা চায় বাংলাদেশে স্বচ্ছ, সুন্দর নির্বাচন। বাংলাদেশ সরকারও চায়। আমরা চাই একটা স্বচ্ছ, সুন্দর, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। আপনারা জেনে খুশি হবেন, আওয়ামী লীগের প্রিন্সিপালই হচ্ছে নির্বাচন। আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারে এসেছি। আমরাও চাই, আমেরিকাও চায় স্বচ্ছ একটি ইলেকশন হোক। আমাদের কোনো কোয়ারেল নাই। কোনো দ্বিমত নাই।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা যাতে একটা ক্রেডিবল ইলেকশন করতে পারি, সেজন্য যা যা দরকার, ইনস্টিটিউশনাল অ্যারেঞ্জমেন্ট, আমরা সেগুলো ঠিক করেছি। আমরা স্বচ্ছ ব্যালট বক্স করেছি। আমরা একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন করেছি। এখন ইলেকশন কমিশনের দায়দায়িত্ব একটি স্বচ্ছ, সুন্দর, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করবে, সরকার অবশ্যই তাদের সাহায্য করবে। শুধু সরকার সাহায্য করলে হবে না, সরকারের সঙ্গে জনগণ, ভোটার, সংবাদমাধ্যম এবং সে সঙ্গে যতগুলো দল আছে, সরকারি দল, বিরোধী দল, সব দল একসঙ্গে যৌথভাবে যাতে স্বচ্ছ, সুন্দর, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়, সেজন্য সাহায্য করতে হবে। বিরোধী দলেরও একই রকমের দায়দায়িত্ব সুন্দর নির্বাচনের। আর আমরা আমাদের শাসনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচন করব। অন্য কোনো ধরনের যদি কারো চিন্তা থাকে তাহলে ভুল। এটা আইনের দেশ। উই বিলিভ ইন রুল অব ল। উই বিলিভ ইন আওয়ার কনস্টিটিউশন।

যুক্তরাষ্ট্র সফরে বিষয়গুলো তুলে ধরবেন? সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই আমরা আমাদের কথা তুলে ধরব। ব্লিংকেন ছাড়া অন্য কারো সঙ্গে বৈঠক হবে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, বাকিগুলো ওয়ার্কআউট হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন