ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ১০৯ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আবাসন খাতের কোম্পানি ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের ১০৯ কোটি টাকার বেশি মূল্যমানের শেয়ার গত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে। এ লেনদেন নিয়ে আলোচ্য সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সর্বোচ্চ লেনদেন তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কোম্পানিটি। স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুসারে, গত সপ্তাহে ইস্টার্ন হাইজিংয়ের মোট ১ কোটি ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪৯টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যার আর্থিক মূল্য ১০৯ কোটি ২৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান ছিল ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ। গত বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে ডিএসইতে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর দাঁড়িয়েছে ১০৮ টাকা ৭০ পয়সায়। গত এক বছরে শেয়ারটির দর ৫১ টাকা ৪০ থেকে ১৪৭ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করেছে।

চলতি ২০২২-২৩ হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মোট বিক্রি হয়েছে ৬৮ কোটি ১ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে এ বিক্রি ছিল ১৬১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির বিক্রি কমেছে ৫৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এক্ষেত্রে কোম্পানিটির অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি কমে যাওয়ায় উল্লেখযোগ্য হারে নেতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি হয়েছে ৮ কোটি ২১ লাখ টাকার। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে এ বিক্রি ছিল ১১১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। সে হিসাবে কোম্পানিটির অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি কমেছে ৯২ দশমিক ৬৭ শতাংশ। তবে আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির জমি বিক্রি বেড়েছে ৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। এ সময়ে মোট জমি বিক্রি হয়েছে ৫৯ কোটি ৮০ লাখ টাকার। আগের হিসাব বছরে এ বিক্রি ছিল ৪৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে এ মুনাফা ছিল ১৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা। আলোচ্য প্রান্তিকে প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরে একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৮৯ পয়সা। মূলত বিক্রি কম হওয়া সত্ত্বেও আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির আর্থিক আয় উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ায় নিট মুনাফা ও ইপিএস বেড়েছে। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৭৫ টাকা ৮৪ পয়সায়। 

এদিকে চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির বিক্রি হয়েছে ১০১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে এ বিক্রি ছিল ১৯১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আলোচ্য বছরের প্রথমার্ধে কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ২৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা। আলোচ্য প্রথমার্ধে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ১৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ৬৪ পয়সা। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন