
জাতীয় পরিবেশ পদকের জন্য তিন ব্যক্তি ও দুটি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত মনোনয়ন
দেয়া হয়েছে। পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ, পরিবেশ বিষয়ক শিক্ষা ও প্রচার এবং পরিবেশ
বিষয়ক গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে অসামান্য ও অনুসরণীয় অবদান রাখায় মোট তিনটি ক্যাটাগরিতে তাদের এ পুরস্কারের
জন্য মনোনীত করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব
উদ্দিনের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় পরিবেশ পদক, ২০২২ চূড়ান্ত
মনোনয়নের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার,
সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু
পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, পরিবেশ অধিদপ্তরের
মহাপরিচালক ডক্টর আবদুল হামিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস ছামাদ এবং জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ
কে এম মাহবুব হাসানসহ কমিটির সদস্য হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিরা।
পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ ক্যাটাগরিতে ব্যক্তিগত পর্যায়ে মনোনীত
হয়েছেন খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার উপসহকারী কৃষি অফিসার জীবানন্দ রায়। আর প্রাতিষ্ঠানিক
পর্যায়ে মনোনীত হয়েছে ধামরাইয়ের ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
পরিবেশ বিষয়ক শিক্ষা ও প্রচার ক্যাটাগরিতে ব্যক্তিগত পর্যায়ে মনোনীত হয়েছেন
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ডক্টর তুহিন ওয়াদুদ (ড. আবু ছালেহ মোহাম্মদ
ওয়াদুদুর রহমান) এবং এ ক্যাটাগরিতে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে মনোনীত করা হয়েছে খুলনার
বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সোসাইটিকে (বেডস)।
এছাড়া পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন ক্যাটাগরিতে ব্যক্তিগত পর্যায়ে মনোনীত হয়েছেন সাতক্ষীরার বাংলাদেশ ধান গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং প্রধান ড. এস এম মফিজুল ইসলাম।
জাতীয় পরিবেশ পদক পাওয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে
আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাইশ ক্যারেট মানের দুই তোলা ওজনের স্বর্ণের বাজার মূল্য ও অতিরিক্ত আরো ৫০ হাজার টাকার চেক, ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেয়া
হবে বলে জানিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।