রোডম্যাপ থেকে পিছিয়ে না পড়তে কর্মকর্তাদের ইসির কড়া নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) রোডম্যাপ থেকে যেন কর্মকর্তারা কোনোভাবেই পিছিয়ে না পড়েন সে বিষয়ে কড়া নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) চার কমিশনার। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে মাসিক সমন্বয় সভা শেষে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম এ তথ্য জানান।

জাহাংগীর আলম বলেন, মাসিক সমন্বয় সভা ছিল। ইসির সব কর্মকর্তা এবং আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়ে বসেছিলাম। সেখানে নির্বাচন কমিশনাররাও ছিলেন। কমিশনাররা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। তারা বলেছেন, আমরা যেন ইসির ঘোষিত রোডম্যাপ থেকে পিছিয়ে না পড়ি।

তিনি বলেন, নির্বাচনের আপ টু বটম, মালামাল কেনা থেকে শুরু করে ভোটকেন্দ্র স্থাপন পর্যন্ত সব বিষয়ের ওপর তারা রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্দেশনা দিয়েছেন যে, কোন কোন বিষয়ে আমরা পিছিয়ে আছি। মাঠ পর্যায় থেকে আমরা জানতে চেয়েছি ব্যালট বাক্সগুলো কোথায় আছে, কীভাবে আছে, সেগুলোকে কীভাবে যাচাই করে তারা আমাদের রিপোর্ট দেবে। এগুলো বাস্তবিক অর্থেই ইসির অভ্যন্তরীণ কাজ।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, আরপিও নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়েছে। সেখানে মন্ত্রিসভা নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। নীতিগত অনুমোদন বলতে যে প্রস্তাবনাগুলো আছে সেগুলো আইন মন্ত্রণালয় আরও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখবে। তারপর পরবর্তী সভায় উত্থাপন করবে। কোন অংশ বাতিল বা কোনটা রাখা হবে সেটা কিন্তু নীতিগত অনুমোদনের সময় সিদ্ধান্ত দেওয়া হয় না। মিডিয়াতে দুটি বিষয়ে ভিন্নরকম প্রতিবেদন এসেছে।

জাহাংগীর আলম বলেন, যদি কোথাও গুরুতর অনিয়মের কারণে নির্বাচন স্থগিত করতে হয়, তা নির্বাচন কমিশন করতে পারে। এটা আগে থেকে বলা আছে। এখন বলা হয়েছে, কোনো একটি ফল তৈরির সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা সেই বিবরণী কমিশনে পাঠাবেন, তখন যদি গুরুতর কোনো অনিয়ম হয় তখন নির্বাচন কমিশন যথাযথ তদন্ত করবে। তদন্তে যদি মনে হয় ভোটের ফলাফল ঠিক আছে তাহলে তারা তা প্রকাশ করবে। অন্যথায় যদি মনে হয় ফল ঠিক নেই, ফল সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয়নি, তখন তারা বাতিল করতে পারবে। এখানে গেজেট প্রজ্ঞাপনের পরে বাতিল কথাটা কিন্তু না।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন