
সর্বশেষ স্লিপার বসানোর মধ্য দিয়ে শেষ
হয়েছে পদ্মা সেতুর ওপর দেশের প্রথম পাথরবিহীন (ব্রাসলেস) রেলপথের নির্মাণ। ৬ দশমিক
১৫ কিলোমিটার এই রেলপথ এক সুতোয় যুক্ত করেছে পদ্মার দুই প্রান্ত মুন্সিগঞ্জের মাওয়া
ও শরীয়তপুরের জাজিরাকে।
মূল সেতুর ২৫ নাম্বার পিয়ারের উপর থাকা
৫ নং মুভমেন্ট জয়েন্টে গতকাল বুধবার (২৯ মার্চ) সন্ধা ৬টায় শেষ হয়েছে ৭ মিটারের সবশেষ
স্লিপার বসানোর কাজ।
আগামী ৪ এপ্রিল সেতুর ওপর পরীক্ষামূলক
ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা প্রকৌশলীদের। এ নেটওয়ার্ক চালু হলে রাজধানীর সঙ্গে রেলপথে
যুক্ত হবে যশোর-বেনাপোলসহ পায়রা ও মংলা বন্দর।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রকল্পের সব
কাজ শেষ হওয়া নিয়ে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।
গত ২৮ মার্চ চীন থেকে উড়িয়ে আনা হয় সবশেষ
স্লিপারটি। পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে রাতেই স্লিপারটি বসিয়ে দেয়া হয় ৫ নং মুভমেন্ট
জয়েন্টে। এরপর রাখা হয় পর্যবেক্ষণে।
গতকাল বিকেল ৪টায় শুরু হয় শেষ মুহূর্তের
ঢালাইয়ের প্রস্তুতি। পরে দেড় ঘণ্টার মধ্যে সমাপ্তি ঘটে সবশেষ স্লিপার বসানোর কার্যক্রমের।
এ সময় ‘ভি’ প্রতীক দেখিয়ে
নিজেদের ক্যামেরাবন্দী করেন কর্মীরা।
এ সেতুর উপর দিয়ে ঘণ্টায় ১২০ মাইল গতি
বেগে ছুটবে ট্রেন। রাজধানী থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সময় লাগবে
দুই ঘণ্টা। আশা করা হচ্ছে, যাতায়াতের পাশাপাশি উৎপাদিত পণ্য স্থানাস্তরের মাধ্যমে
দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে এই সেতু।
প্রথম ধাপে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৪১
কিলোমিটার রেলপথ চালু করতে আরো ৬ মাস সময় লাগবে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই শেষ হবে রেল স্টেশন
নির্মাণ। পাশাপাশি আগামী ৪ এপ্রিল সেতুতে পরীক্ষামূলক রেল চলাচলের কথা জানিয়েছেন প্রকল্প
ব্যবস্থাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ।