ছবি: ভ্যারাইটি বহুল প্রতীক্ষিত হলিউড সিনেমা ‘কিলার অব দ্য ফ্লাওয়ার মুন’। লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও ও জেসি প্লেমন্স অভিনীত সিনেমাটি নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। এটি পরিচালনা করেছেন মার্টিন স্করসেসি। তার সঙ্গে ডিক্যাপ্রিওর যুগলবন্দি সিনেমা নিয়ে দর্শকের আগ্রহ বাড়িয়ে দেবে, এটাই স্বাভাবিক। অনেকদিন ধরেই সিনেমাটি নিয়ে নানা কথা হচ্ছে। অনেকে ধারণা করেছিল, ২০২৩ সালের অস্কারেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে এটি। কিন্তু মুক্তি পেতে দেরি হওয়ায় সে রকম কিছু হওয়ার সুযোগ ছিল না। সিনেমাটি মুক্তি পাবে আগামী অক্টোবরে। আগামী ৬ অক্টোবর প্রথম প্রদর্শনীর পর ২০ অক্টোবর বড় পরিসরে সিনেমাটি থিয়েটারে মুক্তি দেয়া হবে।
ডেভিড গ্রানের লেখা বেস্ট সেলার বই ‘কিলার অব দ্য ফ্লাওয়ার মুন: দ্য ওসেজ মার্ডারস অ্যান্ড দ্য বার্থ অব দ্য এফবিআই’ অবলম্বনে এ সিনেমা নির্মাণ হয়েছে। এটি ১৯২০-এর দশকের কাহিনী নিয়ে নির্মিত। সিনেমার শুটিংয়ের বেশির ভাগ করা হয়েছে নিউ মেক্সিকোয় আর বাকি অংশগুলোর কাজ হয়েছে ওকলাহোমায়। এ সিনেমার মধ্য দিয়ে ওসেজ ন্যাশন হত্যাকারীদের ঘটনা তুলে ধরা হবে, যারা তেল আবিষ্কারের পর নেটিভ আমেরিকানদের হত্যা করেছিল। হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হয়।
অ্যাপল টিভি প্রযোজনা করেছে সিনেমাটির। ২০২২ সালের অস্কারে কোডা সেরা সিনেমা হওয়ার পর অ্যাপলের সিনেমা নিয়ে আলোচনা বেড়েছিল। ওসেজ নেশন হত্যাকাণ্ড ছাড়া এ কারণেও সিনেমাটি নিয়ে আগ্রহ বেড়েছিল দর্শকসহ সিনেমা বিশ্লেষকদের। সিনেমাটির মুক্তি নিয়ে বেশকিছু সমস্যা হয়েছিল। সিদ্ধান্তহীনতাও বলা যায়। ২০২২ সালেই এটি মুক্তি দেয়ার কথা ছিল। পরে উইল স্মিথ অভিনীত ‘এম্যানসিপেশন’ সিনেমাটির প্রতি মনোযোগ ধরে রাখতে ফের সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আনা হয়। নির্মাতারা আবার সিদ্ধান্ত নেন সিনেমাটি ২০২৩ সালে মুক্তি দেয়া হবে।
মার্টিন স্করসেসি বেশির ভাগ সময় সিনেমা এডিটিংয়ের কাজ করেন থেলমা স্কুনমেকারের সঙ্গে। এডিটিং দক্ষতার জন্য সবসময় আলোচনায় থাকেন তারা। সিনেমার নান্দনিকতার পাশাপাশি সিরিয়াসনেসের দিকে তিনি বিশেষ মনোযোগ দেন। কিলার্স অব দ্য ফ্লাওয়ার মুন নির্মাণের জন্য তিনি যথেষ্ট সময় নিয়েছেন। ব্যয় করেছেন ২০ কোটি ডলারের বেশি। সিনেমাটিতে ডি ক্যাপ্রিওর পাশাপাশি অভিনয় করছেন রবার্ট ডি নিরো, জেসি প্লেমন্স, লিলি গ্ল্যাডস্টোন ও ৯৫তম অস্কারের সেরা অভিনেতা ব্রেন্ডন ফ্রেজার।
সূত্র: ভ্যারাইটি
