লভ্যাংশ ঘোষণায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্মতি পেয়েছে ইবিএল

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডকে (ইবিএল) সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণার সম্মতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২৮ মার্চ এ-সম্পর্কিত সম্মতিপত্র পেয়েছে ইবিএল। এর আগে ২৩ মার্চ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে এ বিষয়ে সম্মতি চেয়ে আবেদন জানায় বেসরকারি ব্যাংকটি। গতকাল এক মূল্যসংবেদনশীল তথ্যে বিষয়টি জানিয়েছে ইস্টার্ন ব্যাংক। 

এদিকে এ সম্মতি পাওয়ার পর গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সভার তারিখ জানানো হয়েছে। আগামী ৫ এপ্রিল বিকাল ৪টায় এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভা থেকে সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদনের পাশাপাশি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশের সুপারিশ করা হতে পারে। 

সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ইস্টার্ন ব্যাংকের সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৬০ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩ টাকা ৭৪ পয়সা। আর সর্বশেষ তৃতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৩৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৪৭ পয়সা। গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩২ টাকা ৪ পয়সায়। 

৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে ইস্টার্ন ব্যাংক। এর মধ্যে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ ও ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। সমাপ্ত হিসাব বছরে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ৩ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৪ টাকা ৩৮ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংকটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৩৩ টাকা ১৭ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৩০ টাকা ৮৭ পয়সা।

৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল ইবিএল। এর মধ্যে সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১৭ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। আলোচ্য হিসাব বছরে ইবিএলের সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ৩৮ পয়সা, যা আগের হিসাব বছরে ছিল ৪ টাকা ৯২ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ শেষে ব্যাংকটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৩৬ টাকা ২৮ পয়সায়। ২০১৯ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য প্রথমে ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছিল ইবিএলের পর্ষদ। যদিও পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসারে ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ বিতরণ করেছে ব্যাংকটি।

১৯৯৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইস্টার্ন ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার ২০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৭৩ কোটি ১০ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ২ হাজার ৯০ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। ব্যাংকের মোট শেয়ার সংখ্যা ১০৭ কোটি ৩০ লাখ ৯৭ হাজার ৫২৫। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৩০ দশমিক ৬৭ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক ১৯ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ২০ দশমিক ৬৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

ডিএসইতে গতকাল ইবিএলের শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ৩২ টাকা ৮০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৩১ টাকা ৩০ ও ৩৯ টাকা ৮০ পয়সা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন