দেশে জিনিসপত্রের দাম কমছে: ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি: বণিক বার্তা

দেশে দ্রব্যমূল্যের দাম কমছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দাম আরো কমবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। আজ বুধবার (২৯ মার্চ) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এ মন্তব্য করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জিনিসপত্রের দাম এখন কমছে। বেশকিছু ক্ষেত্রে কমছে, ধীরে ধীরে আরো কমবে। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে। সারা দুনিয়ায় বেড়েছে, এটা শুধু বাংলাদেশের পিকচার না। শুধু বাংলাদেশেই জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে না। দাম বাড়ছে সারা বিশ্বে। কস্ট অব লিভিংয়ের জন্য সারা দুনিয়া কষ্টে আছে। বাস্তবতাকে অস্বীকার তো আমরা করছি না। কিন্তু জিনিসপত্রের দাম কয়েকটার কমেছে। আরো কিছু কমবে। সে ব্যাপারে সরকারের চেষ্টা রয়েছে। আন্তরিকভাবে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, রমজান এলে এ সময়টাতে অসাধু ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে। এসব বিষয় আমাদের দেশে নতুন না। আগেও হয়েছে, এখনো হচ্ছে। সরকার কিন্তু চুপ করে বসে নেই। ব্যবস্থা নিচ্ছে।

সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য দিয়ে মন্ত্রণালয়ের সাফল্য বা ব্যর্থতা বিচার করা সঠিক নয় মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, অ্যাক্সিডেন্ট নিয়ে কথা বলবেন। চাকা ব্লাস্ট হয়ে অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে, এটা হতেই পারে। এরকম অ্যাক্সিডেন্ট হতেই পারে। একটা মন্ত্রণালয়ের যতগুলো মেগা প্রজেক্ট এ পর্যন্ত উদ্বোধন হয়েছে এ সরকারের আমলে, যতগুলো মেগা প্রজেক্ট এখানে হচ্ছে, অনেকগুলোর কাজ প্রায় শেষ। এত সাফল্য, সেটাকে ম্লান করে শুধু অ্যাক্সিডেন্ট?

তিনি বলেন,  সৌদি আরবে দুজন মারা গেছে, এটি নিয়ে কেউ কোনো কথা বলছে এমন কিছু আমরা দেখিনি। ভারতে প্রতিদিন কত লোক মারা যাচ্ছে। এক্সিডেন্ট নিয়ে একটা মন্ত্রণালয় সাফল্যের বিচার করা, একটা মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতা বিচার করা এটা সঠিক নয়।

সাভার থেকে প্রথম আলোর একজন সংবাদকর্মীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। আমি যেটা জানি না, সেটার জবাব কিভাবে দেব।

তিনি আরো বলেন, ‘ছেলের নাম সবুজ, তাকে বানানো হল জাকির হোসেন। ছেলে স্কুলের ছাত্র তাকে বানানো হল দিন মজুর। এটা কোনো সাংবাদিকতা নয়। একটা ফলস নিউজ দিল একটা বাচ্চার নামে, সেটাকে নিয়ে রিঅ্যাক্ট করছেন না। আপনি রিঅ্যাক্ট করছেন কাকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে। সেটা তো আমি জানি না। আপনি একটা বাচ্চার নামে ভুল নিউজ দেবেন, ভুল নিউজ না ইচ্ছে করে পলিটিক্যালি মোটিভেটেড নিউজ দেবেন, এটা জঘন্য। এত বড় মিথ্যা রিপোর্ট, সরি বললেই কি সমস্যার সমাধান হয়ে যায়?’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন