নিম্ন আয়ের ৯২ শতাংশ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার
ঝুঁকিতে রয়েছে, এ তথ্য উঠে এসেছে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকনোমিক মডেলিংয়ের (সানেম)
জরিপে। এর মধ্যে ২৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ মারাত্মক, ৩২ দশমিক ৮১ শতাংশ হালকা ও ৩৩ দশমিক ৬৯
শতাংশ মাঝারি মাত্রার খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
আজ বুধবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক ইন সেন্টারে জরিপ ফলাফল তুলে ধরেন সানেমের নিবার্হী পরিচালক ড. সেলিম
রায়হান।
নিম্ন আয়ের মানুষের জীবিকার
উপর মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব এ জরিপের মূল অনুষঙ্গ। দেশের আট বিভাগে গত ৯-১৯ মার্চ পরিচালিত
জরিপে অংশ নিয়েছে এক হাজার ৬০০ পরিবার। যেখানে শহর থেকে ৮০০ ও গ্রাম থেকে ৮০০ পরিবার
অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে।
মূল্যস্ফীতির চাপ নিম্ন আয়ের মানুষকে কীভাবে
প্রভাবিত করেছে ও তা কাটিয়ে উঠতে তারা কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন জরিপে বিষয়গুলো তুলে ধরা
হয়েছে। এ রকম পরিস্থিতি চলতে থাকলে ভবিষ্যৎে কীভাবে মূল্যস্ফীতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেবেন
তারা; এ বিষয়টিও এসেছে।
জরিপ প্রসঙ্গে সানেমের নির্বাহী পরিচালক
বলেন, সরকার ঘোষিত মূল্যস্ফীতির চেয়ে নিম্ন আয়ের মানুষ বেশি হারে মূল্যস্ফীতি অনুভব
করে।
ড. সেলিম রায়হান বলেন, দেশের বাজারেও বড়
ধরনের ত্রুটি রয়েছে। এটি বিভিন্ন সংবাদ প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে।
জরিপে দেখানো হয়েছে, ৫ জনের পরিবারে খরচ
গড়ে ১৩ শতাংশ হারে বেড়েছে। ৬ মাস আগেও যেখানে একটি পরিবারের খরচ ছিল ১২ হাজার ৮৮০ টাকা
তা এখন ১৪ হাজার ৫৬৯ টাকা।
জরিপে দেখা যাচ্ছে, পরিবারগুলোতে খাদ্যের
পেছনে ১৭ দশমিক ২ শতাংশ খরচ বেড়েছে। এই পরিস্থিতি সামলাতে ৯০ শতাংশের বেশি পরিবার খাবারের
অভ্যাস পরিবর্তন করেছে ও ৭৩ দশমিক ৮ শতাংশ ধার করে চলছে। শহরের বাসিন্দারা খাবারে অভ্যাস
পরিবর্তন করেছে সবচেয়ে বেশি, ৯৪ শতাংশ। এছাড়া নিম্ন আয়ের মানুষেরা নিম্নমানের খাবারের
দিকে ঝুঁকছেন।
পর্যাপ্ত খাবারের চাহিদা পূরণ হবে কিনা
তা নিয়ে প্রায় ৭২ দশমিক ৯৪ শতাংশ মানুষ চিন্তিত। এছাড়া ৩৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ মানুষ কোনো
না কোনো সময় একবেলার না খেয়ে থাকছেন।