ইতালির চাল উৎপাদন কমবে

বণিক বার্তা ডেস্ক

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সবচেয়ে বড় চাল উৎপাদক ইতালিতে উৎপাদন কমছে। কৃষি পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ২৩ বছরের মধ্যে এ মৌসুমে ইতালিতে সবচেয়ে কম ফসল রোপণ করা হয়েছে। ফলে চালের চাহিদা পূরণ নিয়ে এরই মধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। খবর ওয়ার্ল্ড গ্রেইন।

চাল গবেষণা প্রতিষ্ঠান এন্তে নাজিওনেল রিসির ডিরেক্টর জেনারেল রবার্তো মাগনাঘি বলেন, ‘‌২ লাখ ১১ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে ২০২৩ সালে ধান বপন করা হবে, যা ২০২২ সালের চেয়ে ৭ হাজার ৪০০ হেক্টর কম এবং ২০২১ সালের তুলনায় ১৬ হাজার হেক্টর কম।’

ইইউতে উৎপাদিত মোট ধানের অর্ধেকই আসে ইতালি থেকে। ইউরোপিয়ান কমিশনের তথ্যানুযায়ী, ইতালিতে ২০২২ সালে ৭ লাখ ১৪ হাজার টন চাল উৎপাদন হয়েছে। ২০২১ সালে উৎপাদন হয়েছিল ৮ লাখ ৮৬ হাজার টন। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে ধানের উৎপাদন।

উল্লেখ্য, ইতালির বেশির ভাগ ধান উৎপাদন হয় উত্তরাঞ্চলের লমবার্ডিতে। আরবরিও ও কার্নারলি জাতের ধানের একমাত্র উৎপাদক দেশ ইতালি। যে দুটি জাত ব্যবহার হয় ইতালির জনপ্রিয় খাবার রিসোট্টো উৎপাদনে।

দেশটিতে এপ্রিল থেকে শুরু হবে ধান বপন মৌসুম। সে সময় মাটির ৩০-৪০ সেন্টিমিটার গভীরে ধানবীজ রোপণ করা হবে। এ বীজগুলোর অঙ্কুরোদগমের জন্য ক্রমাগত জমিতে সেচ দিয়ে যেতে হবে। তবে এবার সেচের পানি নিয়েই এক ধরনের সংকট সৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। জানুয়ারি থেকেই পানি সংকটের বিষয়টি সামনে আসে। সবশেষ শীতে পর্যাপ্ত তুষারপাত না হওয়া এবং গত বছরের খরার রেশ ধরেই এ সংকটের সৃষ্টি। ইউরোপিয়ান কমিশনের জয়েন্ট রিসার্চ সেন্টারের কৃষি বিশেষজ্ঞ আন্দ্রেয়া তোরেটি বলেন, ‘‌ইতালির মাটির আর্দ্রতা এখনো গত বছরের খরার ধকল কাটিয়ে উঠতে পারেনি। আবার ইতালির আল্পস পর্বতমালায়ও এবার ২০২২ সালের তুলনায় তুষারপাত কম হয়েছে। ফলে ফসল উৎপাদনেও এগুলো ভূমিকা রাখবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন