মুন্সিগঞ্জ ও লক্ষ্মীপুরে হত্যার দায়ে দুজনের যাবজ্জীবন

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, মুন্সিগঞ্জ ও লক্ষ্মীপুর

মুন্সিগঞ্জে ও লক্ষ্মীপুরে দুটি আলাদা মামলায় স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীকে এবং স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী ও তার সহযোগীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মুন্সিগঞ্জ ও লক্ষ্মীপুর জেলা এবং দায়রা জজ আদালত গতকাল মঙ্গলবার এ দুটি মামলার রায় দেন। 

মুন্সিগঞ্জ শহরের মাঠপাড়া এলাকায় স্বামী নাজির হোসেনকে হত্যার ঘটনায় স্ত্রী নীলা আক্তারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক কাজী আবদুর হান্নান। সেই সঙ্গে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কোর্ট পুলিশের ইনচার্জ জামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মামলা ও কোর্ট পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২০ জুন মুন্সিগঞ্জ শহরের মাঠপাড়া এলাকা থেকে দুই সন্তানের বাবা নাজির হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পারিবারিক কলহের জেরে বৈদ্যুতিক তার ব্যবহার করে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে নাজিরকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রী নীলাকে আসামি করে পরদিন মামলা করেন নিহতের ভাই মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। 

মুন্সিগঞ্জ আদালতের পুলিশের পরিদর্শক জামাল উদ্দিন বলেন, ‘‌ঘটনার পর ২০১৫ সালেই নীলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তখন থেকে তিনি জেলহাজতে ছিলেন। গ্রেফতারের পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন তিনি।’

অন্যদিকে লক্ষ্মীপুরে স্ত্রী আয়েশা আক্তার লিপি (২৬) হত্যা মামলায় স্বামী হারুন ও তার সহযোগী সোহেলকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় নৈশ্যপ্রহরী নুর মোহাম্মদ ও সোহেল নামে দুই আসামিকে মামলা থেকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত সোহেল আদালতে উপস্থিত থাকলেও পলাতক ছিলেন নিহতের স্বামী হারুন। 

লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) আ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৯ নভেম্বর দুপুরে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের সুতার গোপটা এলাকার তালগাছ তলাসংলগ্ন একটি ড্রেনে অজ্ঞাতনামা নারীর মৃতদেহ দেখে স্থানীয়রা। প্রাথমিকভাবে শ্বাসরোধে হত্যা ধারণা করে ওইদিনই পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। পুরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহন এলাকার নিলুপা আক্তার ও তার স্বামী আসলাম মিয়া লক্ষ্মীপুর সদর থানায় এসে নিহতের ছবি দেখে তাদের মেয়ে আয়েশা আক্তার বলে শনাক্ত করেন। দীর্ঘ শুনানিতে ১৩ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন