কার্বন নিঃসরণকারী গাড়ি

বাজারজাত বন্ধে চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে ইইউ

বণিক বার্তা ডেস্ক

২০৩৫ সাল নাগাদ কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণকারী গাড়ির বাজারজাত বন্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলো। -ফুয়েলে গাড়ি চালানোর জন্য জার্মানি অনুমোদন পাওয়ায় দেশগুলোর জ্বালানিবিষয়ক মন্ত্রীরা সিদ্ধান্ত গ্রহণে সম্মত হন। খবর রয়টার্স।

জলবায়ু পরিবর্তনগত কারণে গাড়ি বাজারজাতে ইইউর যে মূল নীতিমালা সেটির সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় জার্মানির পরিবহন মন্ত্রণালয় শেষ মুহূর্তে আইনের বিরোধিতা করে। ফলে নির্ধারিত সময়ের তিন সপ্তাহ পর ভোটের বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। সপ্তাহের শেষে ইউরোপিয়ান কমিশন জার্মানির সঙ্গে নতুন একটি চুক্তি করেছে। সেখানে আশ্বাস দেয়া হয়, যেসব গাড়ি -ফুয়েলে চলে, সেগুলোকে ২০৩৫ সালের নিষেধাজ্ঞা থেকে রেহাই দেয়া হবে।

বেশির ভাগ দেশ আইনটিকে সমর্থন করবে বলে জানিয়েছে ইইউর কর্মকর্তারা। ফলে এটি কার্যকর করা সহজ হবে। ইতালি পোল্যান্ড বিরোধিতা করতে পারে। অন্যদিকে রোমানিয়া বুলগেরিয়া থেকে বিরত থাকবে বলে ধারণা করছে সংশ্লিষ্টরা।

ইইউ নতুন আইন অনুযায়ী ২০৩৫ সাল থেকে যেসব গাড়ি বিক্রি করা হবে, সেগুলোর কার্বন নিঃসরণ হার শূন্য থাকতে হবে। এছাড়া ২০৩০ সাল নাগাদ নিঃসরণের হার ২০২১ সালের তুলনায় ৫৫ শতাংশ কমাতে হবে। নীতিমালার কারণে ২০৩৫ সাল থেকে অঞ্চলটিতে কমবাশন ইঞ্জিনের গাড়ি বিক্রি একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়বে। কিন্তু জার্মানি যে ছাড় পেয়েছে, সেটি পুরনো গাড়িগুলোকে আশার আলো দেখাচ্ছে। যদিও এখনো বড় পরিসরে -ফুয়েলের উৎপাদন হচ্ছে না।

হাইড্রোজেনের মাধ্যমে উৎপাদিত বিদ্যুৎ নিঃসরণকৃত কার্বনকে পরিশোধনের মাধ্যমে -ফুয়েল তৈরি করা হয়। জ্বালানিকে কার্বনমুক্ত বলা হয়। ইইউতে যে পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ হয়, তার প্রায় এক-চতুর্থাংশ পরিবহন খাত থেকেই হয়।

একটি গাড়ির সাধারণ আয়ুষ্কাল ১৫ বছর। কারণে ২০৩৫ সালের মধ্যে ইইউ কার্বন নিঃসরণকারী গাড়ি বিক্রি শেষের কথা জানিয়েছে। ফলে ২০৫০ সাল নাগাদ শূন্য কার্বন নিঃসরণকারী দেশে পরিণত হওয়ার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা পূরণে সহায়ক হবে।

-ফুয়েল সমর্থনকারীদের অন্যতম দুটি কোম্পানি হলো পোরশে মাজদা। অন্যদিকে ফক্সওয়াগন, মার্সিডিজ বেঞ্জ কার্বন নিঃসরণ মোকাবেলায় ব্যাটারিচালিত গাড়ির ওপর নির্ভর করছে। পাশাপাশি ২০৩৫ সাল থেকে যে নীতি কার্যকর করতে চাইছে সেখান থেকে না পেছানোর আহ্বান জানিয়েছে।

অন্যদিকে  ইইউভুক্ত দেশগুলোর জ্বালানিমন্ত্রীরা এক বছরের জন্য গ্যাসের ব্যবহার ১৫ শতাংশ কমানোর একটি স্বেচ্ছাসেবী লক্ষ্য নির্ধারণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। মূলত ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার প্রতিশোধ হিসেবে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া। সংকটে যেন আগামী শীতে দুর্ভোগ পোহাতে না হয় সেজন্য উদ্যোগ।

ইইউর কিছু কর্মকর্তা আশা করেছিলেন, পুনর্বায়নযোগ্য শক্তি হিসেবে পারমাণবিক শক্তিকে গণ্য করা হবে কী সে বিষয়ে দেশগুলোর মধ্যে যে বিরোধ চলছে তা নিরসনে ভূমিকা রাখবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন