রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

এক ওয়ার্ডের ছয় দরজাসহ জানালার থাই গ্লাস উধাও

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, রংপুর

রমেক হাসপাতালে একটি ওয়াশরুম থেকে চুরি হয়ে গেছে দরজা ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী

রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার একটি  ওয়ার্ড থেকে সদ্য স্থাপনকৃত ছয়টি দরজা ও নিচতলার জানালার  দুটি থাই গ্লাস চুরি হয়ে গেছে। কবে কখন চুরি হয়েছে তা নির্দিষ্ট করে বলতে না পারলেও মঙ্গলবার রহস্যজনক চুরির ঘটনাটি জানাজানি হয়। নিরাপত্তা প্রহরী থাকা সত্ত্বেও দরজার মতো বড় কাঠামো কীভাবে চুরি হলো তা প্রশ্ন তুলেছেন সংশ্লিষ্টরা।

চোরাই মাল উদ্ধার ও চোর শনাক্ত করার জন্য থানায় লিখিত অভিযোগসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল প্রশাসন। হাসপাতালে প্রায়ই ছোটখাট চুরির ঘটনা ঘটলেও বিভিন্ন পয়েন্টে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা এখনো স্থাপন না করায় রোগীর স্বজনরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
রমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় তলার ৪০নং ওয়ার্ডের (কিডনি বিভাগ) টয়লেটে সদ্য স্থাপন করা ছয়টি  দরজা এবং নিচতলার পেছন দিকের জানালায় লাগানো দুটি থাই গ্লাস চুরি হয় গেছে। মঙ্গলবার বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হয় হাসপাতাল প্রশাসনের। এদিকে আনসারের পাহারা থাকার পরও চুরি হওয়ায় রোগীর স্বজনরা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। 
এক রোগীর স্বজন ইউনুস আলী বলেন, ‘হাসপাতালে সেলফোন প্রায়ই চুরি হয়। সেলফোন না হয় সহজে যে কেউ পকেটে বহন করতে পারে। কিন্তু পাহারা থাকার পর একটি ব্যস্ততম ওয়ার্ড থেকে স্থাপন করা দরজা খুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা রহস্যজনক।’ 
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণপূর্ত উপবিভাগ-২-এর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সাকিউজ্জামান বলেন, ‘‌২০২২-২৩ অর্থবছরে চলমান কাজের অংশ হিসেবে ১৫টি সলিড ডোর এবং নিচতলায় ২১টি থাই গ্লাস স্থাপন করা হয়। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গত মঙ্গলবার চুরির বিষয়টি আমাদের অবগত করে। অথচ চলমান কাজে এখনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টাকা পায়নি। এ সলিড ডোরগুলোর প্রতিটির মূল্য ১২-১৪ হাজার টাকা। জানালায় থাই গ্লাস স্থাপনে খরচ পড়ে ১৫-১৯ হাজার টাকা।’ 
একটি সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন হাসপাতালে চুরির ঘটনা ঘটছে। এখন পর্যন্ত ১৫টির মতো জানালার থাই গ্লাস চুরি হয়েছে। চালু পানির পাইপ চুরি হচ্ছে সবসময়। এছাড়া কোয়ার্টার ভবনের জানালার গ্রিল চুরি অব্যাহত রয়েছে। 
রমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ ইউনুস আলী বলেন,  ‘ঘটনাটি জানার পর বৃহস্পতিবার ক্ষতিগ্রস্ত ওয়ার্ড পরিদর্শন করেছি। এখন আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পাশাপাশি ওই দিন ওয়ার্ডে কাদের ডিউটি ছিল তাদের কারণ দর্শানোর জন্য চিঠি দেয়া হবে। তিনি গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ৪০ নং ওয়ার্ডের ছয়টি দরজা এবং নিচতলার দুটি জানালার থাই গ্লাস চুরির বিষয়টি স্বীকার করেন।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন