আঞ্চলিক রাজনীতিতে ক্ষমতার মহল

নারায়ণগঞ্জে ওসমান পরিবারের রাজনৈতিক অর্থনৈতিক বন্দোবস্ত

আনিকা মাহজাবিন

ছবি: সংগৃহীত

দেশের বিভিন্ন স্থানে আঞ্চলিক রাজনীতিতে সবচেয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠছেন কোনো একক ব্যক্তিত্ব। অনেক ক্ষেত্রেই স্থানীয় রাজনীতির নিয়ন্ত্রণকারীর ভূমিকা নিচ্ছেন তারা। আঞ্চলিক রাজনীতির দোর্দণ্ড প্রতাপশালী ব্যক্তিদের নিয়ে ধারাবাহিকের শেষ পর্ব  

নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে দাপুটে এক পরিবার ওসমান পরিবার। পরিবারটির সদস্যরা ব্যবসা রাজনীতি দুই ক্ষেত্রেই পরিচিতি পেয়েছেন প্রচণ্ড প্রতাপশালী হিসেবে। পর্যন্ত পরিবারটির তিন প্রজন্মের পাঁচ সদস্য সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

ওসমান পরিবারের সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তিত্ব শামীম ওসমান এমপি। নারায়ণগঞ্জ নগরে মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব গোটা দেশে আলোচনার বিষয়বস্তু। যদিও জেলার রাজনীতিতে এখনো তাকে ধরা হয় অপ্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে। তার ভাই সেলিম ওসমান এমপি রাজনীতিবিদের পাশাপাশি ব্যবসায়ী হিসেবেও পরিচিত। পোশাক খাতের নিটওয়্যার উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তাদের প্রয়াত ভাই নাসিম ওসমানও ছিলেন জাতীয় সংসদের সদস্য। তাদের পিতা একেএম শামসুজ্জোহা ছিলেন সত্তরের নির্বাচনে বিজয়ী জনপ্রতিনিধিদের একজন। একেএম শামসুজ্জোহার পিতা খান সাহেব ওসমান আলীও ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য।

ব্রিটিশ আমল থেকেই দেশের সার্বিক জিডিপিতে বড় একটি অবদান রাখছে শিল্প বাণিজ্যের অন্যতম বৃহৎ হাব নারায়ণগঞ্জ। জেলার নগর-মফস্বল সবখানেই এখন ওসমান পরিবারের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক বন্দোবস্ত দৃশ্যমান।

সম্পদের উৎপাদন প্রক্রিয়ায় কোনো ভূমিকা না রেখে যারা কৌশল বা বলপ্রয়োগের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে চায়, অর্থনীতিবিদদের কাছে তারা পরিচিত রেন্ট সিকার হিসেবে। অভিযোগ রয়েছে, ওসমান পরিবারের সদস্যরা নিজেরা শিল্প উদ্যোক্তা বড় ব্যবসায়ী হলেও নারায়ণগঞ্জের যেসব ব্যক্তি রেন্ট সিকিং চর্চার প্রদর্শন করছেন, তারা তা করছেন ওসমান পরিবারের ছত্রচ্ছায়ায় থেকেই।

এখানকার শিল্পপ্রতিষ্ঠান, পরিবহন, ফুটপাতসহ বিভিন্ন স্থানে নানা খাত থেকে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় করছেন স্থানীয় কিছু নেতা প্রভাবশালী। নগরীতে হকার রয়েছে কমপক্ষে আড়াই হাজার। অভিযোগ আছেপ্রতিদিন হকারদের কাছ থেকে মাথাপিছু চাঁদা তোলা হচ্ছে ১৫০-২০০ টাকা। পরিবহন খাতেও রয়েছে একই ধরনের চর্চা। নারায়ণগঞ্জের বাস ভাড়া নির্ধারণ করা হয় এখানকার বিভিন্ন রুটের দূরত্ব বেশি দেখিয়ে।

পাটকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা নারায়ণগঞ্জ নগরীর আধিপত্য এখন গার্মেন্টস শিল্পে মোড় নিয়েছে। ছোট-বড় সব মিলিয়ে পাঁচ শতাধিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে অঞ্চলে। এখানকার ঝুট (গার্মেন্টসের পরিত্যক্ত কাপড়) ব্যবসা থেকে বড় অংকের টাকা আদায় করে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। প্রতি মাসে থেকে ১০ লাখ টন ঝুট থেকে কমপক্ষে কোটি টাকা আয় হয়। বছর শেষে শুধু ঝুট খাত থেকেই আদায়কৃত টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় অর্ধশত কোটি টাকার কাছাকাছি।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে স্থানীয় অনেকেই দাবি করেছেন; টাকা যায় স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী নেতার পকেটে, যারা স্থানীয়দের কাছে পরিচিত শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ অনুসারী হিসেবে।

স্থানীয় কয়েক ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জে ফতুল্লা, পাগলা, নয়ামাটি, ভুইঘর এবং বিসিকের রাজনীতি অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ রয়েছে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজামের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে ওসমান পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ রয়েছে মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনুর বিরুদ্ধে। একইভাবে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলীর বিরুদ্ধেও বিভিন্ন সময়ে জমি দখলসহ আরো নানা অভিযোগ উঠেছে। তারা সবাই শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত।

দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক কাঠামোয় নায়ায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবারের মতো প্রতিপত্তিশালী পরিবারগুলোর ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন সময় নানা ধরনের গবেষণা হয়েছে। এসব গবেষণায় তাদের উত্থানকে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে রাজনীতি সমাজ বিশ্লেষকদের ভাষ্যে উঠে এসেছে, ধরনের শক্তিশালী নেতা পরিবারের উত্থানের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে সামাজিক দায়বদ্ধতাহীন রাজনীতি। টিকে থাকা সাংগঠনিক কলেবর বাড়ানোর জন্য রাজনৈতিক দলগুলোও পরিবারকেন্দ্রিক রাজনীতিকে প্রশ্রয় দিয়ে থাকে। পরিবারের নামের ব্র্যান্ডভ্যালু থেকেই সমাজে স্থান করে নেয়ার পথ খোঁজা হয়। এসব পরিবারকে বিশেষভাবে মূল্যায়ন করে থাকে রাজনৈতিক দলগুলো। একই কারণে সমাজে প্রভাব বিস্তারকারী অন্যান্য গোষ্ঠীও এগিয়ে আসে তাদের সহায়ক শক্তি হিসেবে। এভাবেই পরিবারগুলো টিকে থাকে পেট্রন-ক্লায়েন্ট বা পোষক-আশ্রিতের সম্পর্কের ভিত্তিতে। রাজনীতিতে প্রচণ্ড প্রভাব শক্তি তাদের অর্থনৈতিকভাবেও অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে।

ওসমান পরিবারের প্রভাব-প্রতিপত্তির শুরু খান সাহেব ওসমান আলীর হাতে। তিনি ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য। একই সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের ধনাঢ্য ব্যক্তিদের একজনে পরিণত হন। তার এক ছেলে মোস্তফা সরওয়ার যুক্ত হন পাট ব্যবসায়। অন্য ছেলে একেএম শামসুজ্জোহা ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জয়ের মাধ্যমে ধরে রাখেন রাজনৈতিক প্রভাব। শামসুজ্জোহার তিন ছেলেই যুক্ত হন রাজনীতি ব্যবসায়, যা তাদের পারিবারিক ভিতকে আরো মজবুত করেছে।

পঁচাত্তর-পরবর্তী সময়ে প্রতাপশালী পরিবারটি এক প্রকার বিপত্তিতে পড়ে। সে সময় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য। অবস্থা ছিল ১৯৮১ সাল পর্যন্ত। এরপর নতুন করে নিজেদের গড়তে শুরু করেন পরিবারটির সদস্যরা। যেখানে ত্রাণকর্তা হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন নাসিম ওসমান। সে সময় জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে নাসিম ওসমান সংসদ সদস্য হন। তখনই ব্যবসার দিক দিয়ে সবচেয়ে প্রভাবশালী অবস্থা তৈরি করেন তার আরেক ভাই সেলিম ওসমান। আরেক ভাই শামীম ওসমানও রাজনীতিতে নিজের আলাদা জায়গা তৈরিতে সক্ষম হন।

পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের কনিষ্ঠতম সদস্য শামীম ওসমান নিজেদের প্রভাবের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে কয়েকদিন আগে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেছিলেন, আমাদের ওসমানীয় সাম্রাজ্য বলা হয়। আমার দাদা এমপি ছিলেন, বাবা এমপি ছিলেন। আমরা তিন ভাই এমপি হয়েছি। আমরা সাম্রাজ্য কায়েম করেছি সত্যি। কারো জমি দখল করে করিনি। মানুষের মনে জায়গা করে সাম্রাজ্য গড়েছি।

শামীম ওসমানকেই দেখা হয় ওসমান পরিবারের রাজনৈতিক সক্ষমতা নিয়ন্ত্রণের প্রতীক হিসেবে। তোলারাম কলেজে ছাত্র-রাজনীতির মধ্য দিয়ে উত্থান ঘটে তার। দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার বিনিময়ে নিরাপত্তা দেয়ারও অভিযোগ ওঠে। বিভিন্ন সময়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত নানা প্রতিবেদন-নিবন্ধে তাকে গডফাদারের তকমাও দেয়া হয়েছে।

গত এক দশকে দুটি ঘটনা তাকে গোটা দেশজুড়ে বড় ধরনের সমালোচনার মুখোমুখি করেছে। এর একটি একটি ত্বকী হত্যার ঘটনা অন্যটি চাঞ্চল্যকর সাত খুনের ঘটনা। পরিবারের চতুর্থ প্রজন্মের সদস্য আজমেরী ওসমানের বিরুদ্ধে ত্বকী হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি ওসমান পরিবারের সদস্যদের সে সময় বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেয়। ঠিক এর পরের বছরই নারায়ণগঞ্জে সাত খুনও ওসমান পরিবারকে আরো প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে। সাত খুনের মামলায় ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। তাদের একজন নূর হোসেন। কাউন্সিলর নূর হোসেন শামীম ওসমানের লোক হিসেবে পরিচিত।

ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি বণিক বার্তাকে বলেন, ত্বকী হত্যার আগেও ওসমান পরিবার অনেকগুলো হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। যেগুলোর তেমন কোনো প্রমাণ নেই। রকমও ঘটেছে হত্যাকাণ্ডের পর ভুক্তভোগী যারা তারা মামলা করতে গিয়েছে কিন্তু ওসমান পরিবারের নাম থাকায় মামলা নেয়া হয়নি। যার ফলে স্বচ্ছ রাজনৈতিক পরিবারের তকমা তাদের ছিল। কিন্তু ত্বকী হত্যার পর যখন র্যাব অভিযোগপত্রটি সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, দুজন ঘাতক ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়, তখনই মূলত ওসমান পরিবার যে হত্যা খুন করে সেটি সারা দেশের মানুষ জানতে পারে। তাদের যে পাঁচটা টর্চার সেল ছিল, এগুলো ভেঙে ফেলার জন্য মানুষ উদ্যোগ নেয়। পরবর্তী সময়ে প্রশাসন থেকেই টর্চার সেলগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। নারায়ণগঞ্জে যারা তাদের বিরুদ্ধে টুঁ-শব্দটি করার সাহস রাখত না, ওই মানুষগুলো হরহামেশাই তাদের চাঁদাবাজি, মাদক, খুনের বিরুদ্ধে কথা বলছে। মানুষের মধ্যে তারা যে আতঙ্ক তৈরি করে রেখেছিল, তাদের বিরুদ্ধে কিছু বললেই লাশ ফেলে দেবে, সে বাস্তবতাটা এখন আর নেই। তবে শামীম ওসমানদের পরবর্তী প্রজন্ম রাজনীতিকে ধারণ করে বলে নারায়ণগঞ্জের মানুষ মনে করে না। তারা নানা ধরনের অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত আছে। গডফাদারের পরিবার তকমাটিই তাদের আছে। এটি নিয়েই তারা গর্ববোধ করে। নারায়ণগঞ্জের মানুষ এটি জানে, ওসমান পরিবারের অধঃপতন সন্নিকটে।

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন এমপি সমালোচিত হন। সে সময় তাদেরকে গডফাদার হিসেবে আখ্যায়িত করা হতো। তাদের মধ্যে জয়নাল হাজারী শামীম ওসমানের নাম উল্লেখযোগ্য। জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন আমির গোলাম আযমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা, এমনকি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লংমার্চ পর্যন্ত আটকে দিয়ে নিজের শক্তির জানান দিয়েছিলেন শামীম ওসমান। পরবর্তী সময়ে ক্ষমতার পটপরিবর্তন হলে জয়নাল হাজারী শামীম ওসমান দেশ ছেড়ে পাড়ি জমান ভারতে। দেশে ফিরে এসে রাজনৈতিক প্রভাব-প্রতিপত্তি পুনরুদ্ধারের চেষ্টায় পুরোপুরি ব্যর্থ হন জয়নাল হাজারী। তখনকার অন্য নেতাদের মধ্যে একমাত্র শামীম ওসমানই দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর সেই প্রতাপশালী অবস্থা ফিরে পান, যা এখনো দোর্দণ্ড প্রতাপে ধরে রেখেছেন।

স্বাধীনতা-উত্তর রাজনীতির ময়দানে ওসমান পরিবারের ক্ষমতাকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তভাবে চ্যালেঞ্জ করতে সক্ষম হয়েছেন স্থানীয় সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী। ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামীম ওসমানের বিপক্ষে জয়লাভ করেন। এর পর থেকে অঞ্চলে দুই নেতার প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে নানা আলোচনা-সমালোচনা দেখে আসছে নারায়ণগঞ্জবাসী।

তিন প্রজন্মের পর চতুর্থ প্রজন্মে এসে ওসমান পরিবারের রাজনৈতিক প্রভাব কেমন হবে তা নিয়ে এখন পর্যন্ত চলছে আলোচনা। প্রজন্মের রাজনৈতিক সম্ভাবনা নিয়ে জানতে চাইলে সেলিম ওসমান এমপি বণিক বার্তাকে বলেন, ওসমান পরিবারের চতুর্থ প্রজন্ম নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা সম্ভব না। আমরা সব ভাই-বোন তো রাজনীতিবিদ হইনি। আমাদের ছেলে-মেয়েরা প্রাপ্তবয়স্ক হলে তারা তাদের মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে। আমি কাউকে রাজনীতির পথে আনব না। তারা যদি স্বেচ্ছায় আসে তাহলে আসবে। আমার বাবাও আমাকে রাজনীতিতে আনেননি। আমি স্বেচ্ছায় এসেছি। আমার বাবা মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার কথা আমাকে বলেননি। বরং মার্চের ভাষণ শুনে আমি উদ্বুদ্ধ হই।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন